পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কর্ম চাঞ্চল্য নেই মংলা বন্দরে। গড়ে জাহাজের সংখ্যাও দিনে দিনে কমছে। বন্দরের সাথে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক কর্মচারীরা রয়েছে বিপাকে। বন্দর কর্তৃপক্ষ বিদেশী জাহাজগুলোকে কোয়ারেন্টাইন ঘোষণা করলেও সেখানে চলছে শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের অবাধ যাতায়াত। ফলে সুরক্ষা এখানে সুদূর পরাহত।
ঢাকঢোল পিটিয়ে সচেতনতার সুবাতাস ছড়ানোর চেষ্টা করলেও তা সচেতনতার অভাব ও সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার কারনে ব্যর্থতায় পর্যবশিত হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে যে অনুদান দেয়া হচ্ছে তা যেমন পর্যাপ্ত নয়, তেমনি তা সবাই পাচ্ছে না। এমন মানবিক বিপর্যয়ে কর্মহীন শ্রমিক কর্মচারীরা পেটের তাগিদে করোনার কারফিউ ভাঙছে।
গতকাল শনিবার মংলা বন্দরে ১৪টি জাহাজ অবস্থান করছিল। ১৩ টি আগে থেকেই ছিল আর শনিবার নতুন আরও একটি জাহাজ যোগ হয়। জাহাজের নাবিক ক্রু বা অন্য ষ্টাফদের যেমন নেই পিপিই তেমনি তাদের কাছে বিভিন্ন কাজে সেখানে শিপিং এজেন্ট, বার্থ অপারেটরসহ সংশ্লিষ্টদের যাতায়াত থেমে নেই। অপরদিকে কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার প্রাথমিক কোন উপকরণও দেয়া হচ্ছে না শ্রমিক-কর্মচারীদের। ফলে করোনা ঝুঁকির শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
সূত্রমতে, বন্দরে কর্মরত প্রায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক-কর্মচারী দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে জাহাজ ও জেটিতে পণ্য বোঝাই-খালাস কাজ করে আসছিল। সে সময় মংলা বন্দরে প্রতিদিন গড়ে ১৬/১৭টি জাহাজের অবস্থান থাকতো। কিন্তু এখন চিত্র ভিন্ন। জাহাজের সংখ্যা ক্রমেই কমছে। আর মাল ওঠানামা করছে না বললেই চলে। ফলে শ্রমিক কর্মচারীদের কষ্টের যেন শেষ নেই। উপজেলা প্রশাসন, পৌর কর্তৃপক্ষ, কোষ্ট গার্ড, নৌ বাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে কিছু ত্রাণ ও সহযোগিতা শ্রমিকদের দেয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল।
মংলা বন্দর ব্যবহারকারি ও ষ্টিভিডরস কোম্পানির একজন স্বত্ত¡াধিকারি এইচ এম দুলাল বলেন, মংলার শ্রমিকরা এখন মানবিক বিপর্যয়ে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার কর্মক্ষেত্রে প্রাথমিক উপকরণ মাস্ক, হ্যান্ড গ্লালভস, হ্যান্ড ওয়াশ, সাবানসহ আনুসাঙ্গিক কিছুই তারা কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে পাচ্ছে না।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির মহাসচিব আশরাফ উজ জামান ইনকিলাবকে বলেন, চীনা নাগরিকসহ বিভিন্ন দেশের নাবিকদের যাতায়াত এ বন্দরে। ফলে পণ্য খালাস-বোঝাই করতে গিয়ে নাবিকদের সংস্পর্শে যাওয়া সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে প্রাণঘাতি এ ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।