ভয়ঙ্কর ভাইরাস করোনার ধাক্কায় যশোরে কোনরূপ খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কা নেই। খাদ্যে উদ্বৃত্ত যশোরে খাদ্য মজুদ পরিস্থিতি এবং মাসখানেকের মধ্যে বোরো ধান কৃষকের ঘরে উঠে যাবার তথ্য দিয়ে খাদ্য ও কৃষি বিভাগ বলেছে খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কা নেই। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা করোনার কারণে সবখানেই খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করায় প্রসঙ্গক্রমে জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ শফিউল আরিফ শনিবার দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, খাদ্যে উদ্বৃত্ত যশোর জেলায় খাদ্য সঙ্কট স্পর্শ করার কোন সুযোগ নেই।
জেলা ফুড কন্ট্রোলার মো. লিয়াকত আলী বললেন, জেলার ১০টি এলএসডি গোডাউনে প্রায় ২২হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। কৃষি বিপনন অধিদফতরের বাজার কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান বাজারের পণ্য সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল উল্লেখ করে বলেছেন, মার্কেটে পর্যাপ্ত চাল ও গম রয়েছে। সঙ্কটের আশঙ্কা নেই।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ ড. আখতারুজ্জামান জানান, যশোর জেলার মোট জনসংখ্যা (২০১৭-১৮ জরিপ অনুসারে) ৩২ লাখ ২৫ হাজার ৫৯২ জন। যে খাদ্য আছে তাতে সঙ্কটের আশঙ্কা নেই, কারণ এ বছর যশোর জেলায় খাদ্যশস্য হিসেবে ধান ১ লাখ ৫৪ হাজার ৬১৬ হেক্টর, গম ৫৪৫ হেক্টর ও ভুট্টা ১ হাজার ২৫৫ হেক্টর আবাদ হয়। যা কৃষকের ঘরে ও বাজারে রয়েছে। গত বছরও মোট খাদ্যশস্যের উৎপাদন ছিল ১১ লাখ ৬২ হাজার ৭৩৫ মেট্রিক টন। যা মোট চাহিদা অপেক্ষা ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৭০৬ মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত ছিল। এবারে বোরো মৌসুমে মোট খাদ্যশস্য উৎপাদন গতবারের চেয়েও বেশি হওয়ার আশা করছে কৃষি বিভাগ। তাতে করে অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারেও যশোরের মোট খাদ্য উৎপাদনের উদ্বৃত্তাংশ দিয়ে অন্যান্য খাদ্য ঘাটতি জেলার চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।
সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে গম সংগ্রহ শেষ হয়েছে। সহসাই শুরু হবে বোরো ধান সংগ্রহ। এবারে বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রার ৯৬% পূরণ হয়েছে। আসন্ন আউশ মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অপেক্ষা অনেক বেশি ফলনের আশা করা হচ্ছে। সরকারের সকল উইং দুর্যোগ মোকাবেলায় সর্বোতভাবে একযোগে কাজ করছে। ইতোমধ্যে জেলায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অনেকটাই ভালোর দিকে।