পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের সংক্রম রোধে টানা ছুটি ঘোষণাতে বসে নেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতার জন্য ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। এই সময়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস ইনকিলাবকে বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে টানা ছুটি ঘোষণা দেয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বসে নেই। সারাক্ষণ দেশের মানুষের চিন্তা করছেন এবং প্রশাসনকে কাজে লাগাচ্ছেন। এছাড়া অসহায় মানুষদের খাদ্য ও চিকিৎসাসেবা প্রদানে সকলকে নির্দেশ প্রদান করছেন এবং খোঁজ-খবর রাখছেন। প্রতিটি জেলা মনিটরিং করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে নওগাঁ জেলার জেলা প্রশাসক হারুন রশিদ ইনকিলাবকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য এবং অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ কিছুই মানতে চায় না।
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকার প্রথম দফায় গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে। দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ এবং এর প্রাদুর্ভাবজনিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৫ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটির বর্ধিত করে সরকার। ১০ এবং ১১ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় এই ছুটি আরও দুদিন বেড়ে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে। এছাড়া পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। এতে টানা ১৮ দিন ছুটি চলছে সরকারী অফিস পাড়ায়। এ সময়ে সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ঘরে থাকাসহ ৩১টি নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রথম দফা ছুটি শুরু হওয়া ২৬ মার্চ থেকে সমন্বয়ের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঁচ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এবার বর্ধিত ছুটিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সমন্বয় এবং এ সংক্রান্ত প্রাপ্ত তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২১ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ এবং এর প্রাদুর্ভাবজনিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সাপ্তাহিক ও সাধারণ ছুটির দিনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় এবং এ সংক্রান্ত প্রাপ্ত তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার জন্য ২১ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেন বিষয়টি তদারকি করবেন এবং প্রশাসন-৪ শাখা সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে বলে জানা গেছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত প্রথম দফা ছুটির মধ্যে অফিস করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা। ছুটির দিনগুলোতে একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে পাঁচজন করে কর্মকর্তাকে একেক দিনের দায়িত্ব ভাগ করে দিয়ে ২৫ মার্চ অফিস আদেশ জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সাধারণ ছুটি থাকলেও সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অফিসে উপস্থিত থেকে তাঁরা দায়িত্ব পালন করেছেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ এবং এর প্রাদুর্ভাবজনিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাপ্তাহিক ও সাধারণ ছুটির দিনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে সংযোগ সাধনের জন্য দায়িত্ব দেয়া হলো। অপর একটি প্রজ্ঞাপনে মার্চ-এপ্রিল মাসে ছুটির দিনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিবীক্ষণের জন্য প্রতিদিন দুইজন করে কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ সময় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো বিরূপ অবস্থার সৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিকভাবে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্য বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হাসান ইনকিলাবকে বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এক টানা কাজ করে যাচ্ছি। আমার উপজেলার প্রশাসনের কর্মকর্তারাও বসে নেই। তারা সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় কাজ করে চলেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।