পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস ঠেকাতে কে বেশি কার্যকর? বাসা-বাড়ি থেকে অলিগলি হয়ে রাজপথ। সর্বত্রই চলছে তর্ক। বর্তমানে চাহিদায় এগিয়ে রয়েছে সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দুটোই। মুদি দোকান, জেনারেল স্টোর ও ফার্মেসী সব জায়গায় হ্যান্ড স্যানিটাইজারের জন্য হাহাকার। চাহিদার তুলনায় সাবান অনেকটাই ব্যাকফুটে। যদিও ডাক্তাররা সাবানকেই বেশি নম্বর দিচ্ছেন।
ডাক্তারদের মতে, কোভিড-১৯ ঠেকাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের থেকে সাবান পানি বেশি কাজের! কারণ? প্রধানত তিনটি উপাদানে গঠিত এই নভেল করোনাভাইরাস। সবচেয়ে বাইরের অংশে থাকে গ্লাইকোপ্রোটিনের কাঁটা, যেগুলোর সাহায্যে ভাইরাসটা জীবন্ত কোষে আটকে গিয়ে সংক্রামিত হয়।
দ্বিতীয় উপাদান, রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড বা আরএনএ। যখন কোনও জীবন্ত কোষের ভেতরে ভাইরাসটি ঢোকে, তখন সে বংশবিস্তার করে আরএনএ-র প্রতিলিপি তৈরির মাধ্যম। তৃতীয় উপাদানটি একটি লিপিড স্তর, যা ভাইরাসের অন্যান্য অংশকে ধরে রাখে। এই লিপিড স্তর ভাঙতে পারলে ভাইরাসটাকে মারা সম্ভব। এমনটাই জানালেন ভারতের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কৌশিক লাহিড়ী। তার পর্যবেক্ষণ, সাবানের আণবিক গঠন দেখলে বোঝা যায় যে, এদের দুটো অংশ। হাইড্রোফিলিক ও হাইড্রোফোবিক। হাইড্রোফিলিক অংশের পানির অণুর প্রতি আকর্ষণ প্রবল। অন্যদিকে, হাইড্রোফোবিক অংশের পানি একেবারেই না পছন্দ।
গবেষণা বলছে, সাবান পানি দিয়ে হাত ধুলে ভাইরাসের লিপিড স্তরের প্রতি পানি গোলা সাবানের অণুর হাইড্রোফোবিক অংশের আকর্ষণ প্রবল হয়। অন্যদিকে পানির অণু সাবানের অণুর হাইড্রোফিলিক অংশকে আকর্ষণ করে। এই টানাপোড়েনে ভাইরাসের লিপিড স্তর যায় ভেঙে। ফলে ভাইরাসটা নিষ্ক্রিয় হয়ে মারা যায়।
একই বক্তব্য কলকাতার ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ’-এর ডিরেক্টর ও প্রোফেসর ডা. মধুমিতা দুবের। তার মতে, ‘স্বাস্থ্য পরিষেবায় নিযুক্ত ডাক্তার বা নার্সের পক্ষে বারবার উঠে গিয়ে সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া সম্ভব হয় না। এদের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার অনেক বেশি সুবিধাজনক। তবে যারা বাড়িতে আছেন তারা বারবার সাবান আর পরিষ্কার পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।’
গবেষণা বলছে, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মূল উপাদান অ্যালকোহল। যা করোনা ভাইরাসের লিপিড স্তর ভেঙে ফেলতে সক্ষম। কিন্তু সাবানের মতো ভাইরাসের লিপিড স্তরের সঙ্গে অ্যালকোহলের দ্রুত বন্ধন গঠন হয় না। ফলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে অনেক বেশি সময় নেয়। তাই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের থেকে সাবান ভাইরাস নষ্ট করতে বেশি কার্যকর।
সাবান ও পানি ব্যবহারের সুযোগ না থাকলে তখন হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিকল্প হতে পারে। কিন্তু হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাচ্ছি না বলে হাহুতাশ না করে, ভাল করে সাবান পানি দিয়ে হাত ধুলেই ভাল হয়!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।