পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে আটকা ব্রিটেনের নাগরিকদের জন্য ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন এক জরুরি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন, যেখানে তিনি মূলত চার দফা নির্দেশনা দিয়েছেন। অন্যদিকে, ঢাকার ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেল এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশের পাশে থাকবে যুক্তরাজ্য। গতকাল শুক্রবার তিনি একথা বলেন।
জাভেদ প্যাটেল বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ সরকার কঠোর কোয়ারেন্টাইন নীতি গ্রহণ করেছে। আমরা একটি কঠিন সময় পার করছি। আমাদের দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত হচ্ছে। সে কারণে একতাবদ্ধ হয়ে আমাদের সবাইকে সরকারের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। তিনি বলেন, এই কঠিন সময়ে ব্রিটিশ হাইকমিশন এখনো বাংলাদেশে কাজ করছে। আমরা বাংলাদেশে সাহায্য অব্যাহত রাখবো। আমি প্রার্থনা করি, এই কঠিন সময়ের অবসান হোক।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার হাইকমিশনের অফিসিয়্যাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা ভিডিও বার্তায় ব্রিটিশ হাই কমিশনার ডিকসন বলেন, আমি চারটি বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে কথা বলব। প্রথমত, সময়টা আমাদের সবার জন্য কঠিন ও অনিশ্চয়তার। আর এটি ব্রিটেনের সেই সব নাগরিকের জন্য আরও কঠিন যারা বাংলাদেশে এসে আটকা পড়েছেন, চাইলেও এখন তাদের কাঙ্খিত গন্তব্যে ফিরতে পারছেন না। দ্বিতীয়ত: আমরা (হাই কমিশন)বাংলাদেশ সরকার ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি যেন পূর্বঘোষিত ৭ এপ্রিল থেকে প্লেন চলাচল পুনরায় শুরু হয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করছি এই ফ্লাইট আবার সচল হবে। তবে এই মুহূর্তে আমরা নিশ্চিত জানি না ফ্লাইটগুলো যথাসময়ে সচল হবে কি-না। তাই আমরা এ বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়েই আপনাদের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানাতে চাই।
তৃতীয়ত, আপনারা অনেকে জেনে থাকবেন বিভিন্ন দেশে আটকা নাগরিকদের ব্রিটেনে ফিরিয়ে নিতে ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিস বিশ্বব্যাপী বেশ বড় আকারের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ফিরিয়ে আনার ওই কার্যক্রমে সেই সব এলাকাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে যেখানে ব্রিটেনের নাগরিকদের বেশ বড় একটি সংখ্যা আটকা পড়েছেন অথবা আটকা ব্রিটিশ নাগরিকরা সেখানে চরম ঝুঁকিতে। তাদের ব্রিটেনে দ্রæত ফেরা ছাড়া সুরক্ষার উপায়ই নেই। ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশে আটকে পড়া নাগরিকেদের বিষয়ে লন্ডনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে যেনো, নীতিনির্ধারকরা বাংলাদেশে আটকে পড়া ব্রিটিশ নাগরিকদের দ্রুত ব্রিটেনে ফেরানোর উদ্যোগে আরও মনোযোগী হন। বিষয়গুলো যেন তাদের পরিকল্পনায় প্রতিফলিত হয়।
হাইকমিশনার বলেন, আমার আলোচনা করা চতুর্থ বিষয়টি আগে উল্লেখিত বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। আপনাদের অনুরোধ করছি, সব সময় আমাদের ট্র্যাভেল এ্যাডভাইসে চোখ রাখবেন। এই ট্র্যাভেল এ্যাডভাইস আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে পাবেন এবং একই সঙ্গে আমাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফলো করবেন। রুটিন কিংবা স্পেশাল ফ্লাইট সম্পর্কে জরুরী তথ্য পেলে আমরা আপনাদের অবশ্যই জানাব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।