Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

করোনা রোখা আগের চেয়ে সহজ হতে পারে

দি ইকোনোমিস্ট | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০২ এএম

করোনা মহামারী ঠেকাতে ১১টি দেশের সরকারি লকডাউন ইতিমধ্যে ৬০ হাজার জীবন বাঁচিয়েছে বলে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিটি দেশে ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাব্যতা সম্পর্কে সঠিক অনুমানের জন্য, গবেষকরা মহামারীর মডেল পর্যবেক্ষণ করে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর তথ্য ব্যবহার করে পিছনের দিকে গণনা করছেন। ফলাফলগুলিতে দেখা যাচ্ছে, ভাইরাসটি তার সম্ভাব্য সংক্রমণের গাণিতিক হারের চেয়ে অনেক কম ছড়িয়েছে।

জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের মতে, বিশ্বজুড়ে এখন করোনাভাইরাসের ৯ লাখ ৫০ সহস্রাধিক নিশ্চিত সংক্রমণ রয়েছে বা প্রতি ৯ হাজারে মোটামুটি একটি করে সংক্রমণের ঘটনা রয়েছে। ১১টি ইউরোপীয় দেশ জুড়ে চলা সরকারি পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে, সেখানে ৩ লাখ ১৯ হাজার ৫শ’ নিশ্চিত সংক্রমণ ঘটেছে, যা দেশগুলোর জনসংখ্যার ০.১ শতাংশেরও কম। তবে এই সংক্রমণের হার আংশিকভাবে ভাইরাসটির অত্যন্ত উচ্চমাত্রার সংক্রামক প্রকৃতির কারণে ঘটেছে। করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণারত মহামারীবিদদের জন্য একটি কৌশলগত কাজ হচ্ছে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ পদ্ধতি ক্ষতিয়ে দেখা।

মহামারী বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাসের মৌলিক প্রজনন সংখ্যা অনুমান করেছিলেন ৩.৯ এবং তা এমন জনসংখ্যায় যেখানে কারোর প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই ও প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যেখানে কোনো সতর্কতা অবলম্বন করা হয় না এবং প্রতিটি সংক্রমিত ব্যক্তির ভাইরাস আরো প্রায় ৪ জনের ভেতরে চলে যায়।
তারা বলছেন, দেশগুলি নন-ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্টারভেন্শন বা সামাজিক দূরত্ব পদ্ধতি যেমন, স্কুল বন্ধ, জনসমাবেশ নিষিদ্ধকরণ এবং দেশব্যাপী লকডাউন প্রয়োগ করে করোনাভাইরাসের প্রজনন সংখ্যা সাফল্যের সাথে হ্রাস করেছে।

গত মাসে সময়োপযোগী হস্তক্ষেপের ফলে ১১টি দেশে ভাইরাসটির প্রজনন সংখ্যা দুই-তৃতীয়াংশ থেকে ১.৪ নেমেছে এবং এরফলে প্রায় ২১ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার জীবন রক্ষা পেয়েেেছ।
গবেষকরা বলছেন, সামাজিক দূরত্ব পদ্ধতি একা ইতালিতেই প্রায় ৩৮ হাজার মৃত্যু ঠেকিয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মহামারীর কারণে যাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে গেছে, পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারতো জেনে তারা কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ