Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিসিজি টিকা আমাদের করোনা থেকে বাঁচাবে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০২ এএম

শৈশবে যাদের শরীরে দেয়া হয়েছে বিসিজি বা ব্যাসিলাস ক্যালমেট-গুউরিন টিকা। এ মুহুর্তে নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান ভাবতে পারেন যদি আপনার বাম হাতে থাকে বিসিজি টিকার দাগ। এটি যক্ষার প্রতিষেধক হিসেবে শৈশবে দেয়া হয়েছিল। আর এই টিকাই প্রতিরোধ করতে পারে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। বিশ্বে বিভিন্ন দেশ থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি কলেজ অফ অস্টিওপ্যাথিক মেডিসিনের এক গবেষণায় এমনটি জানানো হয়েছে।

এটাকে প্রাথমিক গবেষণা বলছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ডা. মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি বিষয়টি দেখেছি। এটা একেবারেই প্রাথমিক ধারণা। এখনই সঠিকভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে যদি এটা সত্য হয় তাহলে আমাদের দেশের জন্য অবশ্যই ভালো এবং সুখবর। কারণ আমাদের শিশুদের প্রতিবছরই এই টিকা দেওয়া হয়। তাই করোনার ঝুঁকি কম হবে। এই দুর্যোগ থেকে আমাদের অনেকটাই বাঁচিয়ে দিবে।

ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বিসিজি টিকা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। টিকার মাধ্যমে শরীরে হিউমোরাল ও সেলুলার প্রবেশ করে। এর মধ্যে সেলুলার শরীর থেকে ভাইরাস বের করে দেয়। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

এ বিষয়ে নিউ ইয়র্ক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি কলেজ অফ অস্টিওপ্যাথিক মেডিসিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, পৃথিবীর যে সব দেশে বিসিজি টিকাদান কর্মসূচি নেই যেমন ইতালি, নেদারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে দীর্ঘস্থায়ী টিকাদান কর্মসূচি যে সব দেশে চালু আছে ওইসব দেশের মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কম।

গবেষণায় দাবি করা হয়, বিসিজি টিকা আসার পর থেকে বিশ্বে মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা হয়, মৃত্যুর হার বেশি হওয়ায় ১৯৮৪ সালে বিসিজি কার্যক্রম শুরু করে ইরান। দেশটিতে বিসিজি টিকা দেয়া মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি তেমন একটা পাওয়া যায়নি। এছাড়া ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে বিসিজি টিকা না দেয়ার কারণে চীন এবং ভারতের চেয়ে করোনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে গবেষণায় দাবি কর হয়। কারণ চীন এবং ভারতে বহুকাল ধরে বিসিজি টিকার প্রচলন রয়েছে।
আর এমন দাবির সঙ্গে মিলে যাচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতিও। চীন থেকে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি হলেও এই ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ইতালিতে। আর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। বিশ্বে গতকাল বৃহষ্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৯ লাখ ৬১ হাজার ৭৪৯ জন। মারা গেছেন ৪৯ হাজার ১৬৫ জন।

 



 

Show all comments
  • Babul ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১:৩৫ এএম says : 0
    Amader Jonno Bhalo khabar
    Total Reply(0) Reply
  • Shihabul Islam ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১:৫৭ এএম says : 0
    আমারও তো দেয়া আছে কিন্তু আল্লাহ চায়লে কি আর করার! আল্লাহ এই মহামারী থেকে সকলকে রক্ষা করুন
    Total Reply(0) Reply
  • Nijhum Jhum ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১:৫৭ এএম says : 0
    Amader desh er 99.73% manusher eta dewoa ace
    Total Reply(0) Reply
  • Sharmin Moni ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১:৫৮ এএম says : 0
    আল্লাহ সবাইকে রক্ষা করুক
    Total Reply(0) Reply
  • Mayar Badhon ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১:৫৮ এএম says : 0
    Alhamdulillah dewa ache
    Total Reply(0) Reply
  • Habibur Rahman ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১:৫৮ এএম says : 0
    দুবাইতে আমার মেয়েকে বিসিজি টিকা দিয়েছে। তার মানে দুবাই এর জনগণও বিসিজি টিকা দেয়। দুবাইতে গতকাল 150 জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া গত 3-4 দিন থেকে প্রতিদিন গড়ে 100 জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। তাহলে এই রিপোর্টটা কতটুকু সত্য ও নির্ভরযোগ্য?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ