বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতাল। শুধু ঘোরাঘুরি। কেউ ভর্তি করে না। শুধু রেফার করে। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে অবশেষে বিনা চিকিৎসাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত ছোট্ট রিফাত। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
রিফাত খুলনা নগরীর খালিশপুর হাউজিংয়ে এক নম্বর বিহারি ক্যাম্পের বাসিন্দা পাটকল শ্রমিক মো. কাশেমের ছেলে। সে খালিশপুর ওব্যাট প্রাইমারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
স্বেচ্ছাসেবী বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওব্যাটের প্রকল্প কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর রিফাতের নানা মো. কলিমুদ্দীনের বরাত দিয়ে বলেন, রিফাত অনেক দিন থেকেই অসুস্থ। গত মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে সে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক নেই বলে সেখানে তাকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। এরপর নেওয়া হয় আদদ্বীন হাসপাতালে। সেখানেও তাকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। এরপর অবস্থার অবনতি হলে রিফাতকে খালিশপুর ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রিফাতকে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। গাজী মেডিকেলে নেওয়া হলে তারা জানায়, চিকিৎসক নেই। তাই রোগী ভর্তি করা যাবে না। হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তির জন্য ঘুরতে ঘুরতে সন্ধ্যায় রিফাত মারা যায়।
এই অভিযোগের বিষয়ে খালিশপুর ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, লিভার সিরোসিস রোগীর জন্য আইসিইউ দরকার হয়। জটিল অবস্থায় থাকায় রোগীকে এখানে ভর্তি না করে গাজী মেডিকেলে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক শেখ আতিয়ার রহমান দাবি করেন, ‘হাসপাতালের জরুরি বিভাগে খোঁজ নিয়ে দেখেছি রেজিস্ট্রার খাতায় লিভার সিরোসিস নিয়ে কোনো রোগী আসেনি। তবে সে দিন জরুরি বিভাগে যারা ছিলেন তাঁরা জানিয়েছেন, ওই ধরনের এক রোগীর স্বজন এসে হাসপাতালের একজন চিকিৎসকের রেফারেন্স দিয়ে রোগী ভর্তি করাতে বলেন। তখন তাদের আগের চিকিৎসার কাগজপত্র আনতে বলা হয়েছিল। পরে তাঁরা আর আসেননি।’
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আরও বলেন, ‘আগে যেমন হাসপাতালে এসে আমি ভর্তি হতে চাই বললেই ভর্তি করা হতো, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এখন তেমনটা হচ্ছে না। জরুরি প্রয়োজন যাদের, তাদেরই কেবল ভর্তি করা হচ্ছে। তবে কাউকে ভর্তি নেওয়া হবে না এমন হওয়ার সুযোগ নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।