পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস নিয়ে নতুন আশঙ্কার কথা শোনাল আমেরিকা। মার্কিন প্রশাসনের আশঙ্কা কোভিড-১৯-এর দাপটে আমেরিকায় মৃত্যু হতে পারে ১ লাখ থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার পর্যন্ত। তাও, এখন আমেরিকানরা যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটা মেনে চললে। সামাজিক দূরত্ব না মানলে সংখ্যাটা আরও বেশি হতে পারে।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ৪৬ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। গতকাল ৫৩ হাজারের বেশি রোগী আক্রান্ত বলে শনাক্ত হওয়ায় এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ১২ হাজারের ওপর। আর চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে পরিবারে ফিরে গেছেন ১ লাখ ৯১ হাজার ৮২৬ জন। গতকাল ইউরোপে করোনাভাইরাসের প্রকোপ মারাত্মক আকার নিয়েছে। শীতপ্রধান এই মহাদেশের প্রায় প্রতিটি দেশে মৃত্যুর ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। দেশগুলো আগামী সপ্তাহগুলো নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছে। গতকাল মৃত্যুপুরী ইতালিতে মৃতের সংখ্যা দিনপ্রতি কিছুটা কমে হয়েছে ৭২৭ (মোট ১৩,১৫৫) এবং শনাক্ত ১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৪ জন। যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে এবং স্পেনে লাখ ছাড়িয়েছে। স্পেনে মৃত্যু হয়েছে ৫৮৯ জনের। ৬ হাজার ২১৩ নতুন শনাক্ত বেড়ে ১ লাখ ২ হাজার ১৩৬ এবং মোট মৃত ৯ হাজার ৫৩ জন হয়েছে। ব্রিটেনে ৫৬৩ আদম সন্তানের প্রাণ গেছে গতকাল। ফলে মৃত বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৩৫২ জন এবং শনাক্ত মোট রোগীর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৭৪ জন। যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল রাত সাড়ে ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৪৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৫ হাজার ৩৬ জন। এছাড়া অন্য যেসব দেশে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে সেগুলো হচ্ছে- হল্যান্ডে ১৩৪, বেলজিয়ামে ১২৩, সুইডেনে ৫৯, জার্মানিতে ৪৬, সুইজারল্যান্ডে ২৮, পর্তুগালে ২৭, অস্ট্রিয়ায় ১৮ এবং ডেনমার্কে ১৪ জন। ইরানে এদিন মারা গেছে ১৩৮ জন ও ইন্দোনেশিয়া ও ভারতেরও মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। গতকাল ইন্দোনেশিয়ায় ২১ জন (মোট ১৫৭) ও ভারতে ১০ (মোট ৪৫) জনের প্রাণহানি ঘটেছে। সউদী আরবে গতকাল একদিনে ৬ জনের মৃত্যু হওয়ায় দেশটিতে এ যাবৎ ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটলো।
ইউরোপের পর করোনার ভরকেন্দ্র এখন আমেরিকা। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে সদ্যই দেশজুড়ে আরও একমাস লকডাউন জারির সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প। করোনা রুখতে প্রাথমিকভাবে ১৫ দিনের জন্য যে ‘সামাজিক দূরত্ব’ চালু করা হয়েছিল, তার মেয়াদ গত সোমবার শেষ হয়েছে।
ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তারপর দেশের কিছু অংশে নিয়মকানুন শিথিল করা হবে। কিন্তু পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে তা করা সম্ভব হয়নি। উলটে আরও একমাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। মার্কিন প্রসাশনের আশঙ্কা, তাতেও কাজ হবে না। সামাজিক দূরত্ব মানলেও অন্তত ১ থেকে ২.৪ লাখ মানুষের মৃত্যু হবে। আমেরিকায় মোট আক্রান্তের প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষ মারা যেতে পারেন।
মঙ্গলবারই প্রথম সরকারিভাবে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাব্য খতিয়ান দিল মার্কিন প্রশাসন। ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক অ্যান্টনি ফৌসি বলছেন, এই সংখ্যাটা ধরেই আমাদের এগোতে হবে। তবে, এটা ধরে নেয়া ঠিক না যে, এত মানুষকে আমাদের হারাতেই হবে। সরকারের আরেক কর্মকর্তা বলছেন, আমরা এর কমে আটকে দিতে পারি। কিন্তু সেক্ষেত্রে প্রত্যেক আমেরিকানকে নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে করোনার জেরে এর থেকেও বড় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রোববারই তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এই মহামারিতে আমেরিকায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে ও লাখ লাখ সংক্রমিত হতে পারেন। মঙ্গলবার ট্রাম্প আমেরিকাবাসীর উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, ‘আগামী ২ সপ্তাহ নরকবাসের জন্য প্রস্তুত হন’। মার্কিন প্রশাসন বলছে, নাগরিকরা যদি আরও কঠোরভাবে নির্দেশিকা না মানে তাহলে সমূহ বিপদ অপেক্ষা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য। সূত্র : বিবিসি, ফিনান্সিয়াল টাইমস, ওয়ার্ল্ডমিটার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।