Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশে আরও একজনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৩

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০৪ এএম

করোনাভাইরাসে দেশে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ছয়। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন তিনজন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গতকাল পর্যন্ত ৫৪ জন।

গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস আছে বলে শনাক্ত হয়েছে। ফলে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ জনে।

তিনি বলেন, আগে থেকে যারা আক্রান্ত ছিলেন, তাদের মধ্যে আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আরও একজন। এ নিয়ে মোট ২৬ জন সুস্থ হলেন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে আছেন ৭৩ জন।

জাহিদ মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় দেশবাসী আশ্বস্ত হয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়ন করছি। হাসপাতালে ভেন্টিলেটর বসাচ্ছি। সরকারি হাসপাতালে ৫০০ ভেন্টিলেটর বসানোর কাজ চলছে। তিনশ’ আনা হচ্ছে। হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে কুর্মিটোলাকে প্রস্তুত করেছি। যেখানে ভেন্টিলেটর থাকবে, আমরা গ্যাস্ট্রোলিভারকে প্রস্তুত করেছি। সেখানে ভেন্টিলেটর ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থাকবে। পাশাপাশি ঢাকা ও ঢাকার বাইরের অনেক হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত পিপিই বিতরণ করছি। ইতোমধ্যে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪৫০টি পিপিই দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করেছি। আমাদের কাছে পিপিই মজুদ রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ভাইরোলজিস্ট ডা. খন্দকার মাহবুবা জামিল বলেন, কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হচ্ছে, তবে তা মৃদু লেভেলে। আইইডিসিআরের নমুনার তথ্য দেখলে আপনি জানতে পারবেন কত শতাংশ করোনা পজেটিভ পাওয়া যাচ্ছে। সেটা আপনারা নিজেরাও হিসাব করতে পারবেন। সুতরাং, যদি কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বেশি হতো তাহলে এর প্রায় সবগুলোতেই আমরা পজেটিভ পেতাম। ইতোমধ্যে ছয়টি জায়গায় পরীক্ষা করা শুরু হয়েছে জানিয়ে ব্রিফিংয়ে বলা হয়, পরীক্ষা আরও বাড়ানোর জন্য আরও বেশি কেন্দ্র চালু হওয়ার অপেক্ষায় আছে।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে। এরপর ১৮ মার্চ প্রথম ব্যক্তির মৃত্যুর কথা জানায় আইইডিসিআর।



 

Show all comments
  • Shaheb A Zaman ২ এপ্রিল, ২০২০, ১:৩৪ এএম says : 0
    যেভাবে রোগটা মহামারীর রুপ নিয়েছে....এখন এক আল্লাহ ছাড়া আর কোন ভরসা নাই....যে যে ধর্মেরই হোন না কেন ....সামাজিক দুরতত বজায় রেখে প্রার্থনা করতে থাকুন
    Total Reply(0) Reply
  • Refaul Islam ২ এপ্রিল, ২০২০, ১:৩৫ এএম says : 0
    সরকারের করোনানীতি নো কীট – নো টেস্ট নো টেস্ট - নো রোগী নো রোগী - নো মৃত্যু নো মৃত্যু - নো ব্যর্থতা নো ব্যর্থতা - আরো ক্ষমতা
    Total Reply(0) Reply
  • MD Hanif - feni ২ এপ্রিল, ২০২০, ১:৩৫ এএম says : 0
    আমার মতে বাংলাদেশে সাধারণ দিন গুলোতে, প্রতিদিন যে মৃত্যুর হার বয়স্ক মৃত্যু, রোগব্যাধি মৃত্যু, গাড়ি এক্সিডেন্ট মৃত্যুর সব মিলে যত সংখ্যাক হয়। সব গুলোকে করোনা ভাইরাসের মৃত্যু বলে চালিয়ে দেওয়া হোক। তাহলে কিছু লোক বলে এত কম মৃত্যু কেনো এই প্রশ্নটা আর থাকবে না, কারণ ইউরোপ দেশ গুলোতে প্রতিদিন ৮০০/৯০০ জন মৃত্যু হচ্ছে আমাদের দেশে কম কেনো তাদের এই প্রশ্ন।
    Total Reply(0) Reply
  • Sohug Dewan ২ এপ্রিল, ২০২০, ১:৩৬ এএম says : 0
    আমরা বসে আছি কখন রুগি ফোন দিবে ৩০০০ ফোন আসলে ১৫০টা টেস্ট!! কিন্তু W.H.O বলেছে লক ডাউন করার মানে হচ্ছে এই লক্ষন এর রুগি পেলেই টেস্ট করতে হবে চিকিৎসা করতে হবে, যত বেশি টেস্ট করে রুগি সনাক্ত করে চিকিৎসার জন্য আলাদা করা যাবে ততই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে,এই লক ডাউনে তো শুধুই দেশের অর্থনিতিক ক্ষতি হচ্ছে, এই সময় দয়া নস্ট করিয়েন না পরে হায় হায় করতে হবে,
    Total Reply(0) Reply
  • Joynal Abedin ২ এপ্রিল, ২০২০, ১:৩৬ এএম says : 0
    We are falling into the same curve where other developed countries had fallen and facing now. We as public are responsible for community spreading.
    Total Reply(0) Reply
  • Sheikh Mawla ২ এপ্রিল, ২০২০, ১:৩৬ এএম says : 0
    বাহরাইনে ছয়শত রোগীদের মধ্যে গতকালের একজন সহ মোট ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। যা মৃত্যুর হার ১% । আর আমাদের বাংলাদেশে প্রায় ৫০ জনের মধ্যে ছয়জন
    Total Reply(0) Reply
  • সাব্বির রহমান ২ এপ্রিল, ২০২০, ১:৩৭ এএম says : 0
    আগামী দুই সপ্তাহ করোনা বিস্তারের পিক টাইম! এখনো সচেতন না হলে, বাংলাদেশের জনগণের সামনে কঠিন বিপদ! দুঃখজনক হলেও সত্য, বাঙ্গালিরা এখনো করোনাকে সিরিয়াসলি নেয়নি! সরকারের একার পক্ষে এই বিপদ মোকাবেলা করা সম্ভব নয়!
    Total Reply(0) Reply
  • দেশের গ্রামীন এলাকার জনসাধারনকে সচেতন করা প্রত্যেকেরই স্ব স্ব দায়িত্ব।
    Total Reply(0) Reply
  • দেশের গ্রামীন এলাকার জনসাধারনকে সচেতন করা প্রত্যেকেরই স্ব স্ব দায়িত্ব।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ