পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা পরিস্থিতির কারনে প্রায় লকডাউন অবস্থা থাকায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোর ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা হঠাৎ কমেছে। আগে যেখানে প্রতিদিন গড়ে রোগী আসতো পাঁচ থেকে ছয় হাজার। সেখানে আসছে এক/দেড় হাজার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি তারা চিকিৎসা না দিয়ে কোনো রোগীকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন না।
এদিকে রোগী ও চিকিৎসাসেবা কর্মীদের নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে নগরীর প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকগুলোতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন। রাজশাহী নগরীর ক্লিনিক পাড়া হিসেবে পরিচিত লক্ষীপুর এলাকা এখন পুরোটাই স্তব্ধ। বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকগুলো বন্ধ। তবে ওষুধের দোকানগুলো খোলা আছে। অলস সময় কাটাচ্ছেন বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, রোগীদের আনাগোনা নেই। করোনা পরিস্থিতির কারণে সর্দি, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীদের আউটডোর ভবনের বাইরে প্যান্ডেল করে চিকিৎসকদের পৃথক ইউনিট দিয়ে সেবা ও ওষুধ দেয়া হচ্ছে। ভবনটির ভেতরে আউটডোর কাউন্টার ও চিকিৎসকদের চেম্বারের সামনে রোগীর সংখ্যা সামান্য। ইমার্জেন্সি হয়ে ওয়ার্ডে প্রবেশের গেটে আগে যেখানে লাইন ধরে ভেতরে প্রবেশ করতে হতো, সেই গেট পুরোটাই ফাঁকা। চার-পাঁচ জন আনসার ও গেটম্যান প্রবেশ গেটে দাঁড়িয়ে নিজেরা গল্প করছেন। ওয়ার্ডগুলোতে রোগী ও তাদের স্বজনদের ভিড় কম। মার্চের শুরুতেও ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর চাপে হাসপাতলের বারান্দায় রোগীদের শুয়ে থাকতে দেখা যেতো, এখন সেই বারান্দা ফাঁকা ও আগের তুলনায় পরিস্কার। যারা বিচরণ করছেন তাদের প্রায় প্রত্যেকেরই মুখে মাস্ক পরা।
রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, গত ২৪ ঘন্টায় মঙ্গলবার রামেক হাসপাতালের আউটডোরে ৪০০ রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেছে। এ সময় বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি হয়েছে ৬৫০জন। অন্যান্য সময় আউটডোরে গড়ে ৪ হাজার রোগী সেবা নিতো। আর ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি হতো গড়ে ২২শ। কোনো রোগীকে চিকিৎসা সেবা না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে না। ২৪ ঘন্টাই হাসপাতাল খোলা আছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বা লক্ষণ নিয়ে আসা রোগীদেরও রামেক হাসপাতাল থেকে ফিরে যেতে হবে না। তবে সরকারি নির্দেশনার কারণে আউটডোর সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে রোগীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতল কর্তৃপক্ষ হটলাইন নম্বর চালু করেছে। যে কেউ ঘরে বসে মোবাইলে কল করেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিষয়ে পরামর্শ নিতে পারবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।