পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিস্তারে আতঙ্কিত দেশবাসী। কাম না করলে খামু কী? ঘরে একবেলা খাবারের চাউল নাই। জমানো টাকা নাই। যাদের টাকা আছে, তারা চাউল, ডাউল কিইন্যা ঘরে আছে। আমার নাই। করোনায় মরমু কবে এর আগে তো খিদায় মরমু। বাধ্য হয়ে পেটের জ্বালায় রিকশা লইয়া রাস্তায় নামছি। আমাগো এমপি স্যারেরা, মোগো কথা ভাবে না।
করোনাভাইরাসের পরিস্থিতিতে কেমন চলছে জীবন যাত্রা? জিজ্ঞেস করতেই নোয়াখালী-কুমিল্লা মহাসড়ের পদুয়ার বাজার এলাকার লতিফ নামে এক রিকশা চালক ওইসব কথা বলেন। করোনাভাইরাসের কারণে খেটে খাওয়া মানুষরা বড় বিপাকে। তাদের ঝুঁকিটা শুধু স্বাস্থ্যগত নয়, বরং তার চেয়ে অনেক বেশি জীবন ধারণের। তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকিটাও অন্যদের থেকে বেশি। তবে করোনা মহামারীর কারণে নিম্ন আয়ের এ সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি নিয়ে যতটা উদ্বিগ্ন, তার থেকে বেশি উৎকণ্ঠিত ক্ষুধা নিবারণের জন্য।
এদিকে দেশে সাধারণ ছুটি শুরু হওয়ার পর থেকেই হঠাৎ যেন নেতাশূন্য হয়ে গেছে পুরো দেশেই। কোথাও কোনো নেতার আনাগোনা চোখে পড়ছে না। যেসব নেতাদের বড় বড় পোস্টার কিংবা ব্যানারে ছেয়ে থাকতো দেশের অলিগলি কিংবা বিভিন্ন মহাসড়কের দু›পাশজুড়ে। খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কায় থাকা দেশের লাখ লাখ মেহনতি মানুষের পাশে নেই ভোটের আগের সেই বন্ধুরা।
দেশের বিভিন্নস্থানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাতেগোনো কয়েকজন সংসদ সদস্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে চাল-ডাল বিতরণ করছেন। হাত গুটিয়ে বসে আছেন বেশির ভাগ এমপি।
তবে কয়েকজন এমপি জানালেন, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ায় তারা এলাকায় যেতে পারছেন না। আবার কেউ কেউ সরকারি উদ্যোগ পর্যবেক্ষণ এবং নির্দেশনার মাধ্যমে নিজেদের দায়িত্ব পালনের কথা জানালেও দেশের স্যোশাল মিডিয়ায় স্থানীয় এমপি কিংবা ক্ষমতাসীন দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে চলছে চুল চেরা বিশ্লেষণ। তবে আশার আলো এই, ঘরে থাকার ৭ম দিনে দুস্থ পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া অনুদান জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশেই বসা ভ্যানচালক রমিজ মিয়া (৪৫) বলেন, এখন ভ্যান চালাতি পারছি নে, আয় রোজগার নেই। প্রধানমন্ত্রীর এই অনুদান আমার জন্য আর্শীবাদ।
দেশের জেলা শহরগুলোতে নানা ধরনের সরকারি বেসরকারি বিত্তবানদের উদ্যোগে চাল-ডাল বিতরণের তথ্য মিলছে। তবে যারা শহর ছেড়ে গেছেন তারা খুবই নাজুক পরিস্থিতে রয়েছেন। কারণ এলাকয় গিয়ে কাজ পাচ্ছে না, খাবারও পাচ্ছেন না। হঠাৎ নেমে আসা এ বিপদের দিনে জনপ্রতিনিধিদের পাশে চান সাধারণ মানুষ। আর্থিকভাবে স্বচ্ছলরা নিত্য প্রয়োজনী দ্রব্য মজুদ করলেও দিনমজুদের সে সুযোগ নেই। কুমিল্লা সদর আসনের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার তার নিজ এলাকার খেটে খাওয়া মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবরসহ খাবার দাবার পৌঁছে দিচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।