পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে দুই দফায় সাপ্তাহিক ছুটিসহ ১৭ দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এই সময়ের মধ্যে জনগণকে ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সরকার হতদরিদ্রদের ঘরে সহায়তা পৌঁছে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। প্রথমদিকে ‘ঘরে থাকা’ নগরবাসী মানলেও ছুটির দিন যত গড়াচ্ছে রাজধানীর পাড়া-মহল্লার অলিগলি ও রাজপথে লোকসমাগম তত বাড়ছে। বাড়ছে ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যাও। একই সঙ্গে যারা সহায়তা করছেন তারা বাসায় বাসায় না গিয়ে রাস্তায় প্রকাশ্যে সহায়তা দেয়ায় দীর্ঘ লাইনে ঘেষাঘেষি করে দাঁড়িয়ে খাবার সংগ্রহ করছেন মানুষ। গতকাল বুধবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ি, আরামবাগ, স্বামীবাগ, সায়েদাবাদ, মিরপুরের পীরেরবাগ, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, সেনপাড়া, ভাষানটেক ও পল্লবী এলাকা ঘুরে দেখা যায় এ চিত্র।
এসব এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রধান সড়কগুলোতে অবস্থানরত দোকানপাট বন্ধ থাকলেও অলিগলির ভেতরে চায়ের দোকান, টেইলার্স, কসমেটিক্সসহ প্রায় সব দোকানই খোলা রয়েছে। সবাই মাস্ক ব্যবহার করলেও নিরাপদ দ‚রত্ব মানছেন না। এসব স্থানগুলোতে জনসাধারণের জমায়েত দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে জনসমাগম ও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে মোটরসাইকেলের সংখ্যা।
এদিকে জনসমাগম ঠেকাতে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট দেখা গেছে। প্রাইভেট গাড়ি ও মোটরসাইকেল থামিয়ে জনগণকে বাড়ি থেকে বের হতে নিরুৎসাহিত করতে করছেন তারা। তবে অধিকাংশই গাড়ির যাত্রীদের অজুহাত মেডিক্যালে যাচ্ছি রোগী আছে। এই বলে তারা গাড়ি নিয়ে ছুটেছেন রাজধানীতে। তবে বেশ কিছু পাঠাও চালককে চেকপোস্টগুলোতে আটকালেও পরে ছেড়ে দেয়া হয়।
মগবাজারে দেখা যায়, সহায়তার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন মানুষ। এতে করে করোনা সংক্রমণজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েই চলেছে। অবশ্য জনগণকে সচেতন ও বাসা থেকে বের না হতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর থেকে মিরপুরে বিভিন্ন সড়কে মাইকিং করতে দেখা গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে লোকসমাগম বাড়তে থাকলে প্রতিনিয়ত করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আরো বাড়বে। সহায়তা নিতে আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কেউ ঘরে খাবার পৌঁছে দেয় না। যারা সহায়তা করেন তারা টিভি ক্যামেরায় ছবি তোলার জন্য লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য করেন। কিছু পাওয়ার আশায় সংক্রমণের ঝুঁকি জেনেও পেটের ক্ষুধায় খাদ্য সংগ্রহ করতে লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।