Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কমছে অপরাধ প্রবণতা

রফিকুল ইসলাম সেলিম | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০০ এএম

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে অঘোষিত লকডাউনে অপরাধ প্রবণতা কমেছে। কমে গেছে মামলার সংখ্যাও। সামাজিক অপরাধও আগের মতো নেই। তবে মাদকের কারবার এখনও থামেনি। অপরাধীরা কিছুটা আড়ালে গেলেও ফের তারা সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে এমন শঙ্কাও আছে।
অপরাধ দমনে ব্যস্ততা কমে যাওয়ায় পুলিশ মানবিক কাজে সময় পার করছে।
গেল ২৬ মার্চ শুরু লকডাউনের আগে থেকেই চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলায় অপরাধ কমতে থাকে। মহামারী আতঙ্কের পর থেকেই এ ইতিবাচক পরিবর্তন শুরু বলে জানান পুলিশ কমর্কতারা। লকডাউনের পর কোন কোন এলাকায় অপরাধ প্রায় শূণ্যে নেমে আসে।

নগরীর হালিশহর থানায় এক সপ্তাহে কোন মামলা রেকর্ড না হওয়ার রেকর্ড হয়। অন্যান্য থানার চিত্রও প্রায় এমন। কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, অপরাধ কমছে। সে সাথে মামলার সংখ্যা কমে গেছে। গত কয়েক দিনে থানায় একটি ছিনতাই মামলা হয়, ওই ছিনতাইকারি আটক হয়। এছাড়া কিছু মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাসহ মানবিক কাজের পাশাপাশি আমরা অপরাধীদের ব্যাপারে সতর্ক আছি।

বায়েজিদ থানার ওসি প্রিটন সরকার বলেন, অপরাধ কমছে, থানায় মামলা হচ্ছে হাতেগোনা। অপরাধীরাও ভয় আতঙ্কের মধ্যে আছে। তাই বলে আমরা বসে নেই। নিয়মিত টহল চলছে।
জেলা পুলিশের কমর্কর্তারা জানান, অপরাধীরা নীরব রয়েছে। তবে মাদক কারবারিরা কোথাও কোথাও সক্রিয়। সামাজিক অপরাধও আগের মতো নেই। কিছু পারিবারিক কলহের ঘটনা ঘটছে। তবে অপরাধীরা সক্রিয় হলে বাড়তে পারে চুরি-ডাকাতি দস্যুতার মতো ঘটনা। কারণ এখন বেশিরভাগ এলাকা ফাঁকা। এসব বিষয়ে পুলিশ সতর্ক আছে বলে জানান কর্মকর্তারা।

জেলা ও মহানগরে সংক্রমণরোধে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে পুলিশ। হোম কোয়রেন্টাইন নিশ্চিত এবং বাজার মনিটরিং কাজে প্রশাসনের সহযোগিতায়ও আছে তারা। আবার ঘরবন্দি দরিদ্র মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছাতে কাজ করছেন। পুলিশ কমর্কতারা বলছেন, অপরাধ দমনে এখন ব্যস্ততা কমে যাওয়ায় মানবিক কাজে সময় দিতে পারছেন।

একান্ত জরুরি না হলে ওয়ারেন্ট তামিল বন্ধ আছে। বন্ধ ভিআইপি প্রটোকল আর নানা ধরনের রাজনৈতিক, রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানের ব্যস্ততা। এ মহামারী পুলিশকে জনগণের কাছে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। সচেতন নাগরিক সমাজের অভিমত এ বাহিনীর বদনাম মুছে ফেলার উপযুক্ত সময়-সুযোগ এখনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ