পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একদিনে সর্বোচ্চ ৫২ হাজার আক্রান্তের মধ্য দিয়ে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৪০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে এবং একদিনে মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৩ হাজার ছাড়িয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৩২৯ জনে। বাংলাদেশ সময় গতকাল রাত ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিশ্বের আক্রান্ত সংখ্যা ৮ লাখ ৩৯ হাজার ৫শ’ ছাড়িয়েছে। তবে সুস্থ হয়ে পরিবারে ফেরা মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাড়িতে ফিরেছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৮৬ জন।
ওয়ার্ল্ড মিটারের তথ্য মতে, আক্রান্তদের মধ্যে ২ লাখ ১৫ হাজার ৭৪০ জনের ফাইল ক্লোজ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৪১ হাজার ২৩৮ জন (১৯ শতাংশ) এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫০২ জন (৮১ শতাংশ)।
এদিকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে থাকা ৬ লাখ ২১ হাজার ২৭৬ জন রোগীর মধ্যে ৩০ হাজার ৯৬৪ জন (৫ শতাংশ) শঙ্কামুক্ত নন এবং হাল্কা আক্রান্ত রয়েছেন ৫ লাখ ৯০ হাজার ৩১২ জন (৯৫ শতাংশ)।
ওদিকে মৃতের সংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে বরাবরের মতো এগিয়ে রয়েছে ইতালি। গতকাল আরো ৮৩৭ জনের মৃত্যুর পর দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১২ হাজার ৪২৮ এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৭৯২ জনে। আক্রান্তের প্রতিদিনের হার কমে আসায় আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন দেশটির জনগণ এবং একই সঙ্গে বিশ্বও। গতকাল আক্রান্ত হয়েছে মাত্র ৪ হাজার ৫৩ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে স্পেন। দেশটিতে গতকাল মারা গেছেন ৫৫৩ জন। এর ফলে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ হাজার ২৬৯ জন এবং মোট আক্রান্ত ৯৪ হাজার ৪১৭। গতকাল একদিনেই আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৪৬১ জন। ফ্রান্সেও গতকাল ৪৯৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৫২৩ এবং আক্রান্ত সাড়ে ৭ হাজার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ১২৮ জনে। ব্রিটেনে গতকাল মারা গেছে ৩৮১ জন। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৮৯ জনে। দেশটিতে আক্রান্ত মোট ২৫ হাজার ১৫০ জন।
মৃতের সংখ্যায় এর পরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ২৯০ জন মারা যাওয়ায় মৃত বেড়ে ২ হাজার ৪৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। বেলজিয়ামে গতকাল ১৯২ জন মারা যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০৫ জনে। ৮৭৬ জন আক্রান্ত মিলে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৭৭৫।
চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে নেদারল্যান্ড। দেশটিতে গতকাল আরো ১৭৫ জনের প্রাণহানির ফলে মৃতের মোট সংখ্যা ১ হাজার ৩৯ এবং আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ৫৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যুর তালিকায় এর পরের অবস্থানে রয়েছে ইরান (১৪১ জন)। দেশটিতে মোট মৃত ২ হাজার ৮৯৮ এবং আক্রান্ত ৩ হাজার ১১০ জন বেড়ে ৪৪ হাজার ৬০৫। এদিন আরো মারা গেছে সুইজারল্যান্ডে ৩৬, সুইডেনে ৩৪, যুক্তরাষ্ট্রে ২২, পর্তুগাল ও অস্ট্রিয়ায় ২০, ইন্দোনেশিয়া ১৪, ডেনমার্ক ১৩ এবং ফিলিপাইনে জন।
দিল্লিতে তাবলীগে যোগ দেয়া ৮ জনের মৃত্যু
দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকার তাবলীগে যোগ দেয়া ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। তাদের মধ্যে ৬ জন তেলেঙ্গানার বাসিন্দা। এর আগে শ্রীনগরেও এক তাবলীগ সদস্যের মৃত্যু হয়। রোববার মুম্বাইয়ে এক ফিলিপিনোর মৃত্যু হয়। তিনিও দিল্লি নিজামুদ্দীনের মসজিদে তাবলীগ জামাতে হাজির ছিলেন। এদিকে নমুনা পরীক্ষা করে ২৪ জনের দেহে জীবাণুর উপস্থিতি মিলেছে। এই পরিসংখ্যান সামনে আসতেই সামাজিক সংক্রমণের আশঙ্কা আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। আশঙ্কা, এক ধাক্কায় ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে সংক্রমণও। গোটা ঘটনা অনুষ্ঠানের আয়োজকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দিল্লি সরকার। পাশাপাশি মার্কাজ নিজামুদ্দিনে থাকা ৮০০ জনকে গতকাল সকালে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। সিল করে দেয়া হয়েছে তাবলীগ জামাতের মার্কাজ নিজামুদ্দিনের সদর দপ্তরও।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ থেকে ১৫ মার্চ দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকার এক মসজিদে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তো বটেই, এমনকি ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া কিরঘিজস্তানসহ একাধিক সংক্রমিত দেশ থেকে আসা প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছিলেন। এরপর তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েন। সবচেয়ে চিন্তার বিষয়, ২০-৩০টি বাসে গাদাগাদি করে তারা বিভিন্ন এলাকায় গেছেন। ফলে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। ইতোমধ্যে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ১২০০ পেরিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২২৭ জন। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া দিল্লির ৩০০ জন বাসিন্দার নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। রাখা হয়েছে আইসোলেশনে। এদিকে মসজিদের ভিতরে গতকাল সকাল পর্যন্ত ৮০০ জন জমায়েত করে ছিলেন বলে খবর।
ভারতের মূল ভূখন্রডে বাইরেও ছড়িয়েছে সংক্রমণ। আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা আরও ১০ জনের দেহেও করোনার উপসর্গ মিলেছে। জানা গিয়েছে, অনুষ্ঠান শেষে ইন্দোনেশিয়ার অন্তত ১০ জন নাগরিক তেলেঙ্গানায় গিয়েছিলেন। তারাও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই খবর সামনে আসতেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের কপালে। আমজনতার কাছে তিনি আবেদন জানিয়েছেন, যারা দিল্লির তাবলীগে যোগ দিয়েছিলেন, তারা যাতে দ্রুত প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এদিকে তেলেঙ্গানায় মৃত্যু হওয়া ছজনের সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। তাদের খোঁজ মিললেই পাঠানো হচ্ছে আইসোলেশনে পাঠানো হচ্ছে।
ছেঁড়া রেনকোট ও হেলমেট নিয়ে লড়ছেন চিকিৎসকরা, সমালোচনা নেটদুনিয়ায়
নোভেল করোনা ভাইরাসের প্রকোপে বিশ্বজুড়ে মৃত্যু মিছিল চলছে। প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালেও ভর্তি রয়েছেন। নিজেদের জীবন বিপন্ন করে সেই সব মরণাপন্ন রোগীদের চিকিৎসা করছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। স্নান ও খাওয়া ভুলে প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরেই পরিষেবা দিয়ে চলেছেন। বিশ্বের পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের হাসপাতালেও সেই একই ছবি ধরা পড়েছে। ইতিমধ্যে করোনা রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়ে কয়েকজন ডাক্তারও এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আরও এই বিষয়ে খোঁজখবর করতে গিয়ে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন, ওয়ার্ল্ড মিটার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।