পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঋণের ক্ষেত্রে এক অঙ্কের সুদহার আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে। নতুন এ হার বাস্তবায়ন নিয়ে বিপাকে পড়েছে ব্যাংক খাত। বেশি সুদে আমানত নিয়ে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া করোনাভাইরাসের প্রভাবে অর্থনীতিতে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ব্যাংকিং খাতেও। সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে (এসএমই) বেশি ঋণ প্রদানকারী ব্যাংকগুলো। তাদের কেউ ব্যয় সঙ্কোচন নীতি গ্রহণ করেও আয়-ব্যয়ের হিসাব মিলাতে পারছেন না। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ বুধবার ১ এপ্রিল থেকেই সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ হবে ঋণের সুদহার। ব্যাংকগুলো এ জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে।
ব্যাংকাররা জানান, গত ২৪ ফেব্রæয়ারি নিয়ন্ত্রণমূলক সুদহার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার জারির পর থেকে ব্যাংকগুলো নড়েচড়ে বসেছে। অধিকাংশ ব্যাংক এ নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করে শাখা পর্যায়ে নির্দেশনা দিয়েছে। তবে করোনার কারণে অনেক ব্যাংকের কর্মকর্তারা বিষয়টি বাস্তবায়নে খুব বেশি আগ্রহী নয়। তাদের ধারণা, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক্ষেত্রে হয়তো শিথিলতা দেখাতে পারে। অধিকাংশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা ৯-৬ নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, আমানতের সুদহার ৬ শতাংশ চাউর হওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন থেকে ডিপোজিট পাওয়া যাচ্ছে না। একই সঙ্গে করোনাভাইরাসের কারণে দেশ কার্যত লকডাউন হওয়ায় সবাই নগদ টাকা হাতে রাখতে ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে নিয়েছে। পাশাপাশি করোনার কারণে ঋণগ্রহীতাদের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আগামী জুন পর্যন্ত ঋণ শোধ না করলেও ঋণের শ্রেণিমানে কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না বলে জানিয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবে ব্যাংগুলো বিপাকে আছে। আর এ জন্য অনেক ব্যাংক বাধ্য হয়ে এখনও আমানত নিচ্ছে ৮ থেকে ৯ শতাংশ সুদে। বিশেষ করে নতুন ও আর্থিকভাবে দুর্বল ব্যাংকগুলো আমানতে উচ্চ সুদ দিয়ে গ্রাহক আকর্ষণের চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের একটা সার্কুলার জারি হয়েছিল। সেই সার্কুলারের প্রেক্ষাপট তখন এক অবস্থায় ছিল, এখন তার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। সুতরাং এখনো সেই সার্কুলারের হিসেব ধরে রেখেছি। কি হবে- না হবে তা কয়েকদিন পরেই বলা যাবে। এখন এই বিষয়ে তেমন কিছু বলতে পারছি না।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি জেনারেল খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেন, এখন বাস্তবায়নের আর প্রয়োজন হবে না। কারণ নতুন করে ব্যাংকগুলো ঋণ দিতেই পারবে না। ৬ শতাংশে ডিপোজিট পাওয়া যাচ্ছে না। সুতরাং ডিপোজিট না হলে ঋন কিভাবে দিবে। তাই ঋন দিতে না পারলে ৯ শতাংশ আর ১২ শতাংশের মধ্যে কোন তফাৎ নেই। যারা ৯-৬ শতাংশের উদ্যোগ নিয়েছেন তারা তো লাভবান হবেন। কারণ তারা তো এক থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা লোন নিয়েছেন। সুতরাং ৯ শতাংশ সুদহারে তারাই লাভবান হবেন- যারা ঋণ পুন:তফসিল করিয়েছেন, যারা বড় বড় ইচ্ছাকৃত খেলাপি তারাই বরং এতে উপকারি হবে। সব ক্ষেত্রে খেলাপিরাই উপকৃত হচ্ছে। যারা ভালো লোক, তারা কখনো ঋণ খেলাপি হবেন না, ৯ শতাংশ সুদহারে উপকৃতও হবেন না। করোনার প্রভাবে ব্যবসা বানিজ্য তো এক প্রকার গতি কমে যাবে। ব্যাংকের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য করোনাভাইরাসের প্রভাবকে দায়ী করবো না। এ জন্য নয়-ছয়ই দায়ী। এই নয়-ছয়ই ব্যাংকগুলোকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নামিয়ে নিয়ে এসেছে।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ঋণে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদ কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগে দেওয়া ঋণেও সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনতে হবে। তবে আমানতের ক্ষেত্রে নিজেদের মতো করে সুদহার নির্ধারণ করতে পারবে। যদিও এর আগে ব্যাংকগুলো নিজেরা বসে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মেয়াদি আমানতে আর ৬ শতাংশের বেশি সুদ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এ সিদ্ধান্ত অনেক ব্যাংক মানছে না বলে জানা গেছে।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।