Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘মানবতার ঘর’ করোনায় অসহায় মানুষের সেবায় সিলেটে যাত্রা

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০২০, ৯:৩২ পিএম

করোনার ধাক্কায় অসহায় মানুষের পাশে সেবার দরজা খুলে দিতে সিলেটে যাত্রা শুরু করেছে ‘মানবতার ঘর’। এই প্রথম সিলেট নগরীতে হত দরিদ্রদের খাদ্য ও বস্ত্রের যোগানে নেমে তারা। খাদ্য ও বস্ত্র নিয়ে কারো বাসায় নয়, রাখা থাকবে একটি ছোট্র ঘরে। এখানে রাখা খাদ্য ও কাপড় নিজ দায়িত্বে নিয়ে যেতে পারবে যেকোনো হত দরিদ্র লোক। এমনি এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি (গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা) সিলেট বিভাগীয় শাখা। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) বাদ আসর এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। সিলেটের প্রথম মুসলমান হযরত গাজী বুরহান উদ্দিন এর স্মৃতি বিজড়িত ২৪ নং ওয়ার্ডের হাজী হালু মাঝি জামে মসজিদের সম্মুখে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। মসজিদের পাশে ষ্টীল দিয়ে নির্মাণ করা একটি ঘরে খাদ্য সামগ্রী রাখা থাকবে একপাশে। অন্যপাশে রাখা থাকবে বিভিন্ন ধরণের কাপড়। ব্যতিক্রমী এ ধরণের কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্টান দোয়ার মাধ্যমে শুরু করা হয়। ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি (গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা) সিলেট বিভাগীয় শাখার সভাপতি মো. জুম্মানের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলামের পরিচালনায় এতে দোয়া পরিচালনা করেন হাজী হালু মাঝি জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মোঃ সিরাজ উদ্দিন আনসারি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, হাজী হালু মাঝি জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লি ফারুক আহমদ মটু, পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মো. শফিক মিয়া, সহকারি মোতাওয়াল্লি নিজাম মিয়া, পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, কোষাদক্ষ হোসেন আহমদ, প্রবীণ মুরব্বী গিয়াস উদ্দিন, সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক জুনেদ আহমদ চৌধুরী, সুরমা সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি মাসুম আহমদ। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখানে রাখা থাকবে একেকটি খাদ্যের প্যাকেটে ২ কেজি চাল, আধা কেজি ডাল, আধা কেজি পেয়াজ, আধা লিটার তেল, এক কেজি লবন ও ২ কেজি আলু। খাদ্য সামগ্রীর পাশাপাশি রাখা থাকবে বিভিন্ন ধরণের কাপড়। যেকোন হত দরিদ্ররা নিয়ে যেতে পারবে ষ্টীলের তৈরী এই ঘর থেকে।
আপাতত: ২৪ নং ওয়ার্ডে এই কার্যক্রম শুরু করা হলেও পর্যায়ক্রমে সিলেট নগরীর সকল ওয়ার্ডে এটি চালু করা হবে। সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি মো. জুম্মান জানিয়েছেন, যেকেউ এখানে খাদ্য ও কাপড় রাখতে পারবেন। এছাড়া কেউ খাদ্য ও কাপড় (নতুন কিংবা পুরাতন) দিতে চাইলে তারা সংগ্রহ করবেন বাসা থেকে ।

 



 

Show all comments
  • মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ ১ এপ্রিল, ২০২০, ৭:৫৯ এএম says : 0
    ভালো উদ্যোগ। আল্লাহ তায়ালা সংশ্লিষ্ট সকলকে এর বিনিময় দান করেন। চাল এর পরিমাণ 4 কেজি হলে একটি পরিবার মোটামোটি এক সপ্তাহ চলে যেতে পারত। লবণ বেশী হয়ে গেছে। লবণ আধা কেজিই যথেষ্ট।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ