Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাজারে ক্রেতা কম পচে যাচ্ছে সবজি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০১ এএম

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলছে টানা ১০ দিনের ছুটি। এর মধ্যে কেউ যেন ঘর থেকে বের না হন এ নির্দেশনা সরকারের পক্ষ থেকে বার বার দেওয়া হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বা সবার ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী রাস্তায় রাস্তায় কাজ করছে। সরকারের নির্দেশনা মতো ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ। জরুরি প্রয়োজনে যার বের হচ্ছেন তারাও কাজ সেরে দ্রæত ঘরে ফিরে যাচ্ছেন। এ অবস্থার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর কাঁচাবাজারে। উচ্চমাত্রার ছোঁয়াছে এ রোগের আতঙ্কে রাজধানীসহ সারাদেশে অঘোষিত লকডাউন চলছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও খাদ্য-পণ্যবাহী ট্রাকসহ অন্যান্য পরিবহন চালু রয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি বাজারে বেগুন, টমেটো, চিচিঙ্গা, পটল, লাউ ও কুমড়া, বরবটি, শশাসহ বিভিন্ন তরিতরকারির চালান আসছে। পাইকারী বাজার থেকে প্রতিদিনই এসব তরকারি বিভিন্ন খুচরা বাজারে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে করে রাজধানীর বিভিন্ন পড়া-মহল্লার কাঁচাবাজারেও এখন পর্য়াপ্ত তরিতরকারি পাওয়া যাচ্ছে। তবে সরকারের টানা ১০দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণার পর লাখ লাখ লোক রাজধানীর ছেড়ে গ্রামে যাওয়ায় এবং ঘরে থাকার নির্দেশে অনেকে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে বাজারমুখী না হওয়ায় বিক্রি আশঙ্কাজনকহারে কমে গেছে। অধিকাংশ তরিতরকারি দ্রæত পচনশীল হওয়ায প্রান্তিক চাষি থেকে বাজারে আসার পর স্বল্প সময়ের মধ্যে পঁচে যাচ্ছে। ফলে তরিতরকারি ব্যবসায়ীরা দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
গতকাল সকালে সরেজমিন রাজধানীর কাওরানবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকা সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা বাজার থেকে পঁচে যাওয়া তরিতরকারি ছোট ছোট ময়লার ঠেলাগাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। একটি ঠেলাগাড়ি ভর্তি চিচিঙ্গা দেখা যায়। প্রথম দৃষ্টিতে মনে হবে কেউ বোধহয় চিচিঙ্গাগুলো বিক্রির জন্য গাড়িতে রেখেছে।
একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী জানালেন, কারওয়ানবাজার থেকে প্রতিদিনই পঁচে যাওয়া তরিতরকারি বর্জ্যবাহী গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছেন। ইতোপূর্বে কখনও এত তরিতরকারি পঁচে যেতে ও ফেলে যেতে দেখেননি।
বাজারের একজন বেগুন ব্যবসায়ীকে ১০ টাকা কেজি দরে বেগুন বিক্রি করতে দেখা যায়। এ সময় বিক্রেতা কয়েকজন ক্রেতাকে উদ্দেশ্যে করে বলছিলেন , ঢাকা শহরে ১০ টাকা কেজিতে বেগুন বিক্রি করতে হচ্ছে, করোনার কারণে এমন দিনও দেখতে হলো।
বিভিন্ন পাড়ামহল্লার ভ্যানগাড়িতে করে জীবিকা নির্বাহ করেন অসংখ্য ক্ষুদ্র তরিতরকারি ব্যবসায়ী। শাহজাহানপুরে ভ্যানগাড়িতে তরকারি বিক্রি করেন আলমগীর। তার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ক্রেতার অভাবে তরিতরকারি বিক্রি করতে পারছেন না। পাইকারি বাজার থেকে বিক্রির জন্য খুব অল্প করে তরিতরকারি আনলেও তা সব বিক্রি হচ্ছে না। আগে প্রতিদিন এক দেড়মণ বেগুন বিক্রি করতে, টমেটো, শিম, আলু এসবও এক দেড় মণ করে বিক্রি করতেন। এখন ২০/২৫ কেজিও বিক্রি করতে পারেন না। এ অবস্থা চলতে থাকলে পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবন বাঁচানো মুশকিল হয়ে পড়বে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বাজারে তরিতরকারির দাম আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। বেগুন এখন ২০/২৫ টাকা কেজি, শিম ৩০টাকা, আলু ২০ টাকা. বরবটি ৪০টাকা, চিচিঙা ৩০/৪০টাকা, করলা ৪০/৫০টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। লাউ একটা ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, ফুলকপি ও পাতা কপি ২০/২৫ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। লাল শাক. পুঁই শাক, পালং শাক, কলমি শাকসহ অন্যান্য শাকও আগের চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাজার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ