Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

রেণুপোনা উৎপাদনে ধস

করোনার ধাক্কায় নার্সারী হ্যাচারীতে কাজ বন্ধ

মিজানুর রহমান তোতা | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

মাছের রেণুপোনা উৎপাদনের সূতিকাগার যশোরের নার্সারী ও হ্যাচারীগুলো করোনাভাইরাসের ধাক্কায় মুখ থুবড়ে পড়েছে। মৎস্যপল্লী খাঁ খাঁ করছে। অথচ মার্চ মাস রেণুপোনা উৎপাদন ও বিপননের ভরা মৌসুম। এমনিতেই খাদ্য, মেডিসিন ও উপকরণের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ ও বাজার মূল্যের বিরাট ফারাক, শিল্প হিসেবে বিন্দুমাত্র সুযোগ সুবিধা না থাকাসহ নানা সঙ্কটে ছিল শিল্পটি। করোনাভাইরাস একেবারে ধস নামিয়ে দিয়েছে। কথাগুলো দৈনিক ইনকিলাবকে জানালেন, যশোর জেলা মৎস্য হ্যাচারী মালিক সমিতির সেক্রেটারি জাহিদুর রহমান গোলদার। তার কথা, দেশের মোট চাহিদার প্রায় ৭০ ভাগ রেণুপোনা উৎপাদনকারি যশোরের চাঁচড়া মৎস্যপল্লীতে হ্যাচারী ও নার্সারীগুলোর অবস্থা খুবই করুণ। ভরা মৌসুমে যে বিপর্যয়ে পড়েছি তার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে না।

গতকাল সরেজমিন দেখা গেছে, দিনরাত ২৪ ঘন্টা যেখানে হ্যাচারী ও নার্সারীগুলো তে থাকতো কর্মচাঞ্চল্য, সেখানে খুবই নাজুক অবস্থা। একরকম বন্ধই হয়ে গেছে। মালিকদের লোক ঘরবন্দি। শ্রমিকরাও রয়েছেন হাতগুটিয়ে ঘরবন্দি।
হ্যাচারী ও নার্সারী মালিকরা জানান, চরম দুর্দিন যাচ্ছে হ্যাচারী ও নার্সারী মালিকদের। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত যেখানে দেশের বিভিন্নস্থানের ক্রেতাদের ভিড় হতো মৎস্যপল্লীতে। জাহিদুর রহমান গোলদার বললেন, নার্সারী ও হ্যাচারীতে রেণুপোনা উৎপাদন না হলে মাছ হবে দুস্প্রাপ্য। কারণ নদ-নদী, খাল-বিল পানিশূন্য, প্রাকৃতিকভাবে রেণুপোনা আহরণ হচ্ছে না বললেই চলে। রেণুপোনা উৎপাদনের সূতিকাগার যশোর থেকে বছরের বারো মাস পোনা সরবরাহ করা হতো দেশের মোট চাহিদার ৭০ ভাগ। যদিও এখন দেশের বিভিন্নস্থানে হ্যাচারী ও নার্সারী গড়ে ওঠায় রেণুপোনা উৎপাদন যশোরে প্রায় ৫০শতাংশে নেমে আসে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গুরুত্বপূর্ণ খাতটিকে করোনাভাইরাস অপূরণীয় ক্ষতি করলো। আমিষের চাহিদা পুরণ ও জাতীয় অর্থনীতিতে বিরাট ভুমিকা রাখা যশোরের মৎস্যপল্লীর নার্সারী ও হ্যাচারীতে কাজকর্ম প্রায় বন্ধ। এমনিতেই একসময়ের জমজমাট মৎস্যশিল্প বছর তিনেকের ব্যবধানে হ্যাচারীর সংখ্যা ৮৪ থেকে ৩২টিতে এসে দাঁড়িয়েছে। আর নার্সারির সংখ্যাও ৩শ’১৫ থেকে হয়েছে ১শ’৪৫টি। করোনার বড় ধাক্কা দিল এ শিল্পটিকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ