Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনা দুর্যোগেও আবদার-দাবি

চট্টগ্রাম বন্দরে কাজ বিঘ্নের পাঁয়তারা

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০২০, ১২:০৩ এএম

টানা দশ দিনের ছুটি মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর সচল রেখে আপৎকালীন সময়ে সরকারী নির্দেশনা মেনে জীবন রক্ষাকারী অতিপ্রয়োজনীয় ওষুধসহ চিকিৎসা সামগ্রী এবং খাদ্যপণ্য খালাসে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। আর এই অবস্থায় নানা আবদার আর দাবির হুজুগ তুলে দেশের এই প্রধান সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম বিঘ্নিত করার পাঁয়তারা চলছে।
দেশে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি সকলে যখন একসাথে কাজ করছে তখন নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়কে সামনে এনে একটি মহল বন্দরের জরুরি সেবা কাজ ব্যাহত করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। জাতির চরম দুঃসময়ে জিম্মি করে স্বার্থ আদায়ের এই অপচেষ্টায় রীতিমত বিব্রত বন্দরের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং বন্দর ব্যবহারকারীরাও।
দেশের অন্যান্য সেবা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় চট্টগ্রাম বন্দরের শ্রমিক কর্মচারী থেকে শুরু করে বন্দর সংশ্লিষ্ট সবার সুযোগ সুবিধা অনেক বেশি। গেল বছর থেকে দাবি করার আগেই বন্দরের শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য বিশেষ বোনাসের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও তাদের কর্মীদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে। তাছাড়া এই দুর্যোগময় সময়ে যারা দায়িত্বপালন করছেন তাদের প্রতিও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
অথচ এতকিছুর পরও টানা বন্ধে যাতায়াতে যানবাহন সঙ্কটের অজুহাতে ওভার টাইমসহ নানা সুযোগ সুবিধার দাবিতে অচলাবস্থা সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে। রোববার দুই দিনের মাথায় চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম তিন ঘণ্টা বন্ধ ছিল। হুইন্সম্যানদের আন্দোলনের মুখে বন্দরের ২ নম্বর থেকে ১২ নম্বর বার্থ পর্যন্ত সবগুলো বার্থেই কন্টেনার এবং খোলা পণ্য হ্যান্ডলিং বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে হুইন্সম্যানদের দাবি মানার আশ্বাসে শর্তসাপেক্ষে কাজে যোগ দেয় হুইন্সম্যানেরা। অপরাপর শ্রমিকদেরকে গত ২৬ মার্চ থেকে সরকারঘোষিত সাধারণ ছুটি অনুযায়ী ওভারটাইমের মজুরি প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেয়।
একই দাবিতে শুক্রবার রাত ৮টা থেকে কাজ বন্ধ করে দেয় বন্দরের বিভিন্ন বার্থের কর্মরত শ্রমিকেরা। এতে বন্দরের দুই নম্বর থেকে ১২ নম্বর বার্থ পর্যন্ত ছয়টি জেনারেল কার্গো এবং ছয়টি কন্টেনার বার্থের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
রোববার বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেন বন্দরের শীর্ষ কর্মকর্তারা। বন্দর কর্তৃপক্ষ, বার্থ অপারেটর এবং শ্রমিকনেতাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত দীর্ঘ বৈঠকে আলাপ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয় সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি বন্দরের শ্রমিক কর্মচারীদের জন্যও কার্যকর হবে। তবে দেশের স্বার্থে শ্রমিকেরা বন্দর চালু রাখবে। এজন্য সাধারণ ছুটি চলাকালীন ওভারটাইম প্রদান করা হবে। আজ মঙ্গলবার এসব বিষয় নিয়ে বন্দরের বৈঠকের কথা রয়েছে।
বন্দরে কন্টেইনার সংখ্যা ধারণক্ষমতার নীচে এবং এখন কোন জাহাজ জট নেই বলেও জানান বন্দরের কর্মকর্তারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্দর

১৩ জানুয়ারি, ২০২৩
২৪ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ