Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামের সংবাদপত্র হকারদের দিনযাপন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনা আতঙ্কে চট্টগ্রামেও চলমান লকডাউনে সংবাদপত্র হকাররা প্রায়ই নিজগ্রামে। হকার কম। পত্রিকার বান্ডিলও ছোট হয়ে গেছে। ইনকিলাব পেলাম ৮ পাতার, সুন্দরই তো। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম সংবাদপত্র হকার্স বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম লিটন আরও বললেন, বাড়িঘরে গিয়েও কাজের অভাবে পড়ে গেছেন হকাররা। ফিরে আসতে চান। এদের সুবিধার্থে ‘সংবাদপত্র’ স্টিকারযুক্ত দুয়েকটি বাস-মিনিবাস পাঠানোর চেষ্টা করছি। সহসা ব্যবস্থা হবে। পত্রিকা বিলিও বাড়বে। হকাররাও উপকৃত হবেন।
চট্টগ্রাম নগরীর পত্রিকা পাড়া চেরাগী পাহাড়, কে সি দে রোড, ষোলশহর ২ নম্বর গেইটে গত তিন দিনে হকারদের আগমন বেড়েছে। স্বাভাবিক না হলেও কিছুটা বেড়েছে বিলি-বন্টন। দেশের সবখাতের মতো সংবাদপত্রেও করোনার ধাক্কা। সংবাদপত্রসেবীগণ তাকিয়ে আছেন জরুরি আর্থিক সহযোগিতার আশায় সাংবাদিক-বান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি’র দিকে। চট্টগ্রামের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ইতোমধ্যে তথ্যমন্ত্রীর সুদৃষ্টি চেয়েছেন।
চট্টগ্রামের সংবাদপত্র হকাররা জানান, সবাই বাড়িঘরে অলস কাটাচ্ছেন। এ সময় পত্রিকার পাতা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ার আগ্রহ অনেকেরই। নিজ নিজ হকারকে পছন্দের পত্রিকাটি ঠিকমতো পৌঁছে দিতে তারা অনুরোধও করছেন। গ্রাহকরা বকশিশও দেন হকারদের এ দুর্দিনে।
তবে হকারদের সমস্যা হলো শহরে থাকা-খাওয়ার ঝামেলা। হোটেল খোলা পাওয়া যায় কম। তাছাড়া পত্রিকা থেকে করোনা সংক্রমণের ভয়-হুজুগ কাটেনি পুরোপুরি। অনেক বাসাবাড়ি বিশেষত ফ্ল্যাট-এপার্টমেন্টে মালিকের নিষেধ হকার প্রবেশ। অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকান-পাট, স্টেশন সবকিছু বন্ধ। সেখানেও বাদ যাচ্ছে পত্রিকা বিলির বড় অংশ।
তারা বলেন, করোনার কারণে লকডাউন চলতে থাকলে (উপায়ও নেই) আমাদের মতো গরিব মানুষদের কষ্ট বাড়বে। ঢাকার জাতীয় এবং চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংবাদপত্র বাজারজাত করে চট্টগ্রাম সংবাদপত্র এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন এবং চিটাগাং সংবাদপত্র হকার্স বহুমুখী সমবায় সমিতি লি.। উভয় চ্যানেলে চট্টগ্রামে দেড় হাজার হকার লাখো পত্র-পত্রিকা পাঠকদের হাতে তুলে দেন। এখন হকার শ’এ নেমেছে।
ইনকিলাব গ্রাহকরা কী বলেন? হকার্স সমিতি নেতা লিটনসহ আরও ক’জন বললেন, দেশের প্রাচীন ও পাঠকপ্রিয় পত্রিকা ইনকিলাবের চাহিদা সার্কুলেশন জারি থাকবেই। এর নির্দিষ্ট ও পুরনো গ্রাহকদের অন্য পত্রিকায় মন ভরে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ