Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাভারে ফার্মেসীতে জ্বর-ঠান্ডার ওষুধ সঙ্কট

সেলিম আহমেদ, সাভার : | প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনাভাইরাসের কারনে ঢাকার সাভারে অঘোষিত লগডাউনের মধ্যে কয়েকটি ফার্মেসী খোলা থাকলেও পাওয়া যাচ্ছেনা জ্বর-ঠান্ডার ওষুধ। পাড়া-মহল্লা ঘুরে খোলা রাখা যে ক’টি ফার্মেসী পাওয়া গেছে কোনটিতেই পাওয়া যাচ্ছে না প্যারাসিটামল বা নাপা জাতীয় কোন ওষুধ। 

ওষুধ বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ না থাকায় তারা গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না। করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরু হওয়ার পর থেকে সাভার-আশুলিয়ায় দেখা দিয়েছে এ সঙ্কট।
তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জ¦র-ঠান্ডার সাধারণ ওষুধ খুচরা বাজারে না পাওয়া গেলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সরকারিভাবে এসব ওষুধের মজুদ রয়েছে। প্রয়োজন হলেই নাগরিকরা স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ওষুধ সংগ্রহ করতে পারবেন।
সাভার সিআরপি রোডের জামিল মেডিসিন কর্নারের মালিক উজ্জল হোসেন বলেন, দেশে হঠাৎ করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়ায় জ্বর-ঠান্ডার ওষুধ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। কারন- জ্বর হচ্ছে করোনার লক্ষণ। তাই নাপা-প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। আবার এক শ্রেনীর ব্যবসায়ী ওষুধ মজুদ করার কারনেও এ সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে তিনি ধারনা করছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শিশুস্বাস্থ্য ও প্রজনন স্বাস্থ্যে উচ্চতর প্রশিক্ষনরত ডা. আমজাদুল হক বলেন, এ সিজনে সাধারনত জ্বর-ঠান্ডা মানুষের এমনিতেই হয়। তার মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়ায় জ্বর-ঠান্ডা করোনার লক্ষণ মনে করছেন অনেকেই। তাই নাপা-প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের চাহিদা বেশি। করোনার সুযোগ নিয়ে অনেকেই জ্বর-ঠান্ডার ওষুধ মজুদ করে রেখেছেন, তাই ফামের্সীগুলোতে ওষুধ সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
জিরাবো এলাকার বিসমিল্লাহ ফার্মেসীর ওষুধ বিক্রেতা জুয়েল হোসেন বলেন, দেশে করোনার প্রভাবে জ্বর-ঠান্ডার ওষুধের চাহিদা বেড়ে যায়। দোকানে এ জাতীয় যা ওষুধ ছিল তা বিক্রী শেষ হয়ে গেছে।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা জানান, জ¦র-ঠান্ডার ওষুধের সঙ্কট রয়েছে ফার্মেসীগুলোতে। নাগরিকরা একযোগে বেশি বেশি ওষুধ ক্রয় করে রাখায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে সরকারিভাবে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে। প্রয়োজন হলেই এখান থেকে ওষুধ নিতে পারবেন নাগরিকরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ