পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশে সবকিছু বন্ধ রয়েছে। এ সময় জনগণের কোনো ধরনের সমস্যা না হয় সেজন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে সরকার। এ লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও গ্রাহকদের সেবা দিতে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
গ্যাসের প্রি-পেইড মিটারের ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স ২০০ থেকে বাড়িয়ে দুই হাজার টাকা করা হয়েছে। সবকিছু বন্ধ থাকায় কেনো গ্রাহক যদি মিটার রিচার্জ করতে না পারেন, তারা দুই হাজার টাকা পর্যন্ত ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স ব্যবহার করতে পারবেন। গতকাল রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিতাস গ্যাস কোম্পানি এ তথ্য জানিয়েছে।
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ পেতে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে তথা ০২-৯৫৫৩১০০, ০১৮১৯২২৮৬১৬ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় অভিযোগ ও গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের- ০২-৪৭১২০২২৪, ০২-৪৭১২০২২৫, ০১৭০৮১৪৯৫০২, ০১৭০৮১৪৯৫০৩ নম্বরেও যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
গত ২২ মার্চ একই কারণে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিলের সারচার্জ বা বিলম্ব মাশুল না আদায়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যানের নিকট পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে বলা হয়, বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থা- কোম্পানিগুলো গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে। গ্রাহকগণ বিভিন্ন ব্যাংক এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সরবরাহকৃত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে থাকেন।
বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে অনেক গ্রাহকই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসা-বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। এর পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ফেব্রয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসে অনেক গ্রাহকই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারবেন না মর্মে প্রতীয়মান হচ্ছে। উপযুক্ত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে সারচার্জ বা বিলম্ব মাশুল ব্যতিরেকে পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হলো।
এদিকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে গ্যাস বিতরণকারী কোম্পানি কর্ণফুলি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিও গ্রাহকদের ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করেছে। তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মো. আল মামুন ইনকিলাবকে বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিভিন্ন সেবা বন্ধ থাকায় অনেক গ্রাহক রিচার্জ করতে না পেরে বিপদে পড়তে পারেন। এ অবস্থায় গ্রাহকের সুবিধার জন্য ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। কারো যদি কার্ডের টাকা ফুরিয়ে যায় তাহলে তারা এই ব্যালেন্স ব্যবহার করতে পারবেন।
গ্রাহকদের সুবিধার জন্য তারা জরুরি যোগাযোগের জন্য বেশ কিছু মোবাইল নম্বরের তালিকা করেছে। যেমন- কেউ কার্ড হারিয়ে ফেললে তিতাসের প্রধান কার্যালয়ের আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে ০১৭৩৯৯৮৯৮৬১ এবং ০১৬২০০১০৯৬৯ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন। এছাড়া গ্রাহকরা যেকোনো প্রয়োজনে তিতাসের কল সেন্টার ১৬৪৯৬ নম্বরে ফোন দিতে পারবেন। গ্রাহক পর্যায়ে জরুরি সেবা পৌঁছাতে পাঁচটি টিম প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানায় তিতাস কর্তৃপক্ষ।
এরপরেও থাকছে তিনটি হটলাইন মোবাইল নম্বর। বিশেষ ক্ষেত্রে যোগাযোগের জন্যও দেয়া হয়েছে আরো তিন কর্মকর্তার নম্বর। তারা হচ্ছেন, প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফয়জার রহমান (০১৯৩৯৯২১০৪৬), ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন (০১৯৩৯৯২১০৭২) এবং উপ-ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মীর মোবারক হোসেন (০১৯৫২২৭৭৩৭৯)। ছুটিকালীন মিটার কার্ড রিচার্জে জন্য ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের উত্তরা শাখা (জসিমউদ্দিন মোড়), বসুন্ধরা শাখা এবং ইউ ক্যাশের এজেন্টগুলো খোলা থাকবে বলে তিতাস জানিয়েছে। অন্যদিকে রিচার্জ পয়েন্টের ফোন নম্বরগুলোও তালিকা করে দিয়েছে তিতাস। তিতাসের ওয়েবসাইটে গেলে এসব নম্বর পাওয়া যাবে।
গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতসহ যানচলাচলও বন্ধ করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। অনেকটা স্বেচ্ছায় ঘরবন্দি রয়েছেন মানুষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।