পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোভিড-১৯ আতঙ্ক কি শহর কি গ্রাম সবাইকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। কৃষি প্রধান বরেন্দ্র অঞ্চলেও কটাদিন ঘরবন্দী থাকার নির্দেশনা মেনে চলার জন্য চলছে প্রচার প্রচারনা। সম্প্রতি যারা বিদেশ থেকে এসেছেন তেমনি কয়েক হাজার মানুষকে গৃহবন্দী করার তৎপরতা কম নয়। যাদের নাগাল পেয়েছে তাদের গৃহবন্দী বা কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। অন্যদের খোঁজা হচ্ছে। দেয়া হচ্ছে পাসপোর্ট বাতিলসহ নানা রকম সতর্ক বার্তা। যারা নিয়ম ভেঙ্গে ঘরের বাইরে এসেছেন তাদের কাউকে কাউকে গুনতে হয়েছে জরিমানা। কারো বাড়িতে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে লাল পতাকা। বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছসেবী সংগঠনকে মাস্ক, শ্যানিটাইজার বিতরণ করতে দেখা যায়। কেউ কেউ পোটলা করে খাদ্য বিতরণ করেন। কারো কাজ একদম নীরবে। অনেকে ব্যাক্তিগতভাবে পরিমানে অল্প হলেও অসহায় মানুষের পাশে চুপি চুপি খাদ্য সামগ্রী নিয়ে দাড়াচ্ছেন।
সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী আর আর্তমানবতার সেবায় সদা নিয়োজিত রেডক্রিসেন্ট দেশজুড়ে কাজ করছে। রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সর্বত্র বিতরণ করেছে সাবান, মাস্ক, স্যানিটাইজার। চারিদিকে লকডাউন অবস্থার মত। রাস্তাঘাট ফাঁকা। কাঁচাবাজার ছাড়া সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ।
এখন মাঠ ভরা বোরো ধান। রয়েছে গ্রীস্মকালীন শাকসবজির ক্ষেত। রোদের তাপ বাড়ছে। ফলে সেচের চাহিদাও বাড়ছে। মাঠের গ্রীস্মকালিন শাকসবজি নিয়ে আবাদকারিদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে। তাদের উৎপাদিত পণ্য নেবার লোক নেই। মাঠে রকমারী গ্রীস্মকালিন শাকসবজি। ক্রেতার অভাবে মাচানে ঝুলছে এসব। এসব শাকসবজি রাজশাহীর উপকন্ঠে খড়খড়ি বাজারসহ দূর্গাপুর পবা থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে চালান যেত। এখন বন্ধ।
রাজশাহীর সবচেয়ে বড় কাঁচামালের বাজার সাহেব বাজার মাষ্টারপাড়া গতকাল রাতে পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় মালামালের আমদানি অনেক কম। নেই চিরচেনা হাঁক-ডাক। আড়তগুলোয় ফাঁকা ফাঁকা ভাব। ভোররাতে আশেপাশের ছোট ছোট বাজারের ব্যবসায়ীরা আসছেন কিছু মাল কিনে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু তাদের ব্যবসা ভাল নয়, জানালেন অনেকে।
সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। সবকিছু বন্ধ। কাজ নেই। তারপর কাজের আশায় সাইকেলে চেপে ডালি কোদাল নিয়ে ভীড় করছেন শ্রমবিক্রির স্থান তালাইমারী রেলগেট আর ল²ীপুর এলাকায়। কিন্তু কাজ জুটছেনা। আর কাজ না পাওয়া মানে অনাহার অর্ধাহার। এসব শ্রমজীবী মানুষের পেটে টান ধরতে শুরু করেছে। অনেকে আছে যারা না পারে সইতে না পারে বলতে। তাদের খুঁজে পাশে দাঁড়ানো এখন সময়ের দাবি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।