Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনায় ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হয়নি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আর কারো শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। এই সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আরও ৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মোট ১৫ জনই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। সুস্থ হওয়া ১৫ জনের মধ্যে নয় জন পুরুষ ও ছয় জন নারী। তাদের গড় বয়স ২৯ বছর। সর্বনিম্ন বয়স দুই বছর। দেশে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৮ জন। একই সঙ্গে ৪৭ জন আইসোলেশনে আছেন।

গতকাল রাজধানীর মহাখালী থেকে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সরকারের রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর’র পরিচালক প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি জানান, আইইডিসিআর’র পাশাপাশি চট্টগ্রামেও করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

আইইডিসিআর পরিচালক সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআরে ৩ হাজার ৪৫০ কল এসেছে। এদের মধ্যে ৪২ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজে (বিআইটিআইডি) গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচটি নমুনা পরীক্ষা করে মোট আট জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। মোট ৫০ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের কারো মধ্যে করোনার সংক্রমণ ঘটেনি। অতএব আক্রান্ত যা ছিল তাই আছে। দেশে মোট নিশ্চিত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৮। আমরা বরং একটা সুখবর বলতে চাই, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজন করোনায় আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অর্থাৎ এ পর্যন্ত ১৫ জন কোভিড মুক্ত হয়েছেন। আইইডিসিআরে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬৮টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, আমরা এখন কেউ ঘরের বাইরে যাব না, এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা পদ্ধতি প্রসারিত করা হয়েছে। কাজেই সবাইকে সেখানকার হটলাইনে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। আইইডিসিআরের হটলাইনগুলো সবসময় খোলা রয়েছে। একই সঙ্গে আইইডিসিআরসহ ৫টি স্থানে করোনা টেস্ট করা হচ্ছে।

আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, আপনারা সবাই ঘরের ভেতর থাকুন। জরুরি কাজে বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। কাশি শিষ্টাচার মেনে চলুন। সাবান পানিতে হাত ধুতে হবে। অসুস্থ ও বয়ষ্করা অবশ্যই ঘরের ভেতর থাকুন।

এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য তথ্য ইউনিটের পরিচালক ডা. মোহাম্মাদ হাবিবুর রহমান বলেন, ৬৪টি জেলা ও ৬১টি উপজেলায় সব ধরনের ল্যাব টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণ দেওয়াচ্ছি। ঢাকায় আইইডিসিআর ছাড়াও আইপিএস, আইসিসিডিডিআরবি, শিশু হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগিরই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়, আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হবে। ঢাকার বাইরে প্রত্যেকটি বিভাগে পিসিআর টেস্ট স¤প্রসারণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের বিআইটিআইডিতে নমুনা পরীক্ষা করা শুরু হয়েছে। রংপুর ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পিসিআর মেশিন বসানোর কাজ চলছে। এ ছাড়া, গতকাল শনিবার ময়মনসিংহে অভিজ্ঞদের পাঠিয়েছি। তারা সেখানে পিসিআর মেশিন স্থাপনকাজের তদারকি করছেন। আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে অন্য বিভাগগুলোতেও পিসিআর টেস্ট হবে বলে আমরা আশা করছি।

‘কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে অতিরিক্ত ১৬টি ভেন্টিলেটর বসানো হয়েছে। শেখ রাসেল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডায়জেস্টিভ ডিজিসেস, সেখানেও আটটি ভেন্টিলেটর বসানোর কাজ চলছে উল্লেখ করেন তিনি।

ড. হাবিবুর রহমান জানান, করোনা প্রতিরোধের প্রস্তুতি হিসেবে বাড়ছে নমুনা সংগ্রহের পরিসর। সব কার্যক্রমের সফলতা নির্ভর করবে, সাধারণ মানুষ কতটুকু স্বাস্থ্য সতর্কতা পালন করছে, তার ওপর।######

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ