Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডেসকোর প্রিপেইড মিটারে ভোগান্তিতে গ্রাহকরা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

সারাদেশে সব কিছু বন্ধ থাকায় জনগণের যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয় সেজন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশনা রয়েছে সরকারের। কিন্তু সরকারের সেই নির্দেশনা মানছে না ডেসকো। করোনা পরিস্থিতিতে রাজধানীর মিরপুর, আগারগাঁও, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডী, গুলশান, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় ডেসকোর বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা।
গতকাল শনিাবর সকালে নানা অভিযোগ নিয়ে রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকার গ্রাহকরা বারিধারা ডেসকো অফিসে হাজির হন। গ্রাহক সোহেল রানা বলেন, কার্ড রিচার্জ করার পরও মিটারে কার্যকর হচ্ছে না। ব্যাংক বন্ধ থাকায় এজেন্টদের কাছেও রিচার্জ সুবিধা পাচ্ছেন না তারা। বেশিরভাগ গ্রহকের অভিযোগ, রিচার্জ সার্ভিস দেয়ার নামে অতিরিক্ত টাকাও আদায় করা হচ্ছে তাদের কাছ থেকে। ভাটারা এলাকায় সোহাগ টেলিকম নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ডেসকোর প্রিপেইড মিটারের টাকা রির্চাজের ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

ডেসকোর বারিধারা ডিবিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মো. শফিকুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, আমরা গ্রাগককে বলেদিয়েছি এখন টাকা রির্চাজের দরকার নাই। আপনারা পরে মিটারে টাকা রির্চাজ করেন। তারপরও গ্রাহকরা মানছেন না। আমাদের তিন ধরনের মিটার রয়েছে। সমস্যা হতে পারে। আমাদের ফোন দিলেই সেই সমাধার করা হয়। তারপরও জরুরি সেবায় যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। গ্রাহকরা তা করছে না।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও গ্রাহকদের সেবা দিতে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ পেতে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে তথা ০২-৯৫৫৩১০০, ০১৮১৯২২৮৬১৬ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় অভিযোগ ও গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের- ০২-৪৭১২০২২৪, ০২-৪৭১২০২২৫, ০১৭০৮১৪৯৫০২, ০১৭০৮১৪৯৫০৩ নম্বরেও যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এর আগে, গত ২২ মার্চ একই কারণে চলতি বছরের ফেব্রæয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিলের সারচার্জ বা বিলম্ব মাশুল না আদায়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যানে কাছে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ কতে বলেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে বলা হয়, বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন বিদুৎ বিতরণকারী সংস্থা/ কোম্পানি গুলো গ্রাহক পর্যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে। গ্রাহকগণ বিভিন্ন ব্যাংক এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সরবরাহকৃত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে থাকেন।

বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে অনেক গ্রাহকই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসা-বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। এর পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ফেব্রæয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসে অনেক গ্রাহকই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারবেন না মর্মে প্রতীয়মান হচ্ছে। সেই আদেশ মানছে না ডেসকোর কর্মকর্তরা। তারা মিটার লক করে রাখার কারণে গ্রাহকরা প্রিপেইড মিটারে টাকা রির্চাজ করার পরও মিটার চালু হচ্ছে না। এ নিয়ে ডেসকোর বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার নিয়ে চমর ভোগান্তি পড়েছে গ্রাহকরা। গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি- বেসরকারি অফিস-আদালতসহ যানচলাচলও বন্ধ করা হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ