Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রামে ব্যাহত সামাজিক বিচ্ছিন্নতা

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

সেনা-প্রশাসনের অভিযান, নানান প্রচার ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির পরও ঘরে আটকে রাখা যাচ্ছে না সাধারণ মানুষকে। বিশেষ করে তরুণ, কিশোররা দলবেঁধে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন। বিকেল থেকে সন্ধ্যা কোথাও রাত অবধি অলিগলিতে জড়ো হচ্ছেন তারা।
কারো মুখে মাস্ক, হাতে গøাভস, কারো কিছুই নেই। গোল হয়ে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে তুমুল আড্ডা। হাসি-ঠাট্টা, রসিকতা, খোশগল্প। চট্টগ্রাম নগরীর কয়েকটি এলাকা ঘুরে শনিবার এমন চিত্র দেখা গেছে। নগরীর জিইসি মোড়ের অদূরে বাটাগলি, মহিলা কলেজ মোড়, আলফালাহ গলি, এনায়েত বাজার মোড়, বাটালি রোড, জামালখান, মাদারবাড়ি, সদরঘাট, আগ্রাবাদ, বড়পোল, ফকিরহাট, বন্দর-নিমতলা, চট্টগ্রাম ইপিজেড, বন্দরটিলা, স্টিল মিল, কাটগড়, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, কালামিয়া বাজারসহ অনেক এলাকায় সড়ক ফাঁকা থাকলেও অলিগলিতে মানুষের জটলা দেখা যায়।

আবাসিক এলাকা এবং কলোনিগুলোতেও বাসাবাড়ির বাইরে সড়ক আর খোলা জায়গায় আড্ডায়রত থাকতে দেখা যায় নানা বয়সের মানুষকে। নগরীর শিশু পার্কগুলো বন্ধ। তবে খোলা জায়গা এবং বিভিন্ন চত্বরে মানুষের জটলা দেখা যায়। টহলরত সেনাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি দেখে দ্রæত এসব জটলা আবার ভেঙেও যায়। বড় বড় সড়কে সতর্ক টহল থাকায় মানুষের আনাগোনা সীমিত। পাড়া-মহল্লা এবং অলিগলি, মুদি দোকান, ডিসপেনসারিকে ঘিরে মানুষের জটলা হচ্ছে।

পাড়ায়, মহল্লায় আগত লোকজনের হাত ধোঁয়ানোর নামেও দলবেঁধে যুবকরা নানা আয়োজনে মেতেছে। সেখানেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে না কেউ। জরুরি প্রয়োজনে হাটে-বাজারে যাওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেকে বাজারে ঘুরছেন। গতকাল বিকেলে রেয়াজুদ্দিন বাজারের সবকটি প্রবেশপথে মানুষের ভিড় দেখা যায়। নিরাপদ দূরত্ব নিয়ে কেনাকাটা করার নির্দেশনা থাকলেও মানছে না অনেকে। ব্যবসা, বিক্রেতারাও নিজেদের সুরক্ষায় সচেতন না। এতে করে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা প্রবল হচ্ছে। অন্যান্য বাজারগুলোর চিত্রও ছিল প্রায় একই রকম।

গোটা বিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বাজায় রাখা নিশ্চিত করতে নানা উদ্যোগের মধ্যেই চলছে এমন বেপরোয়া কারবার। এতে করে চলমান টানা দশদিনের অঘোষিত লকডাউনের মূল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মানুষকে ঘরে থাকার আহŸান জানানো হচ্ছে। সামাজিক বিচ্ছিন্নতা নিশ্চিতে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী। সেনা সদস্যদের সহযোগিতায় চলছে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান। সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক টহলের কারণে ফাঁকা নগরীর বেশির ভাগ সড়ক, ফ্লাইওভার। তবে অলিগলিতে ভিন্ন চিত্র। পাড়া-মহল্লার প্রবেশ পথে, মোড়ে, খালি জায়গায় তরুনদের আড্ডা থেমে নেই। কিশোর যুবকেরাও দল বেধে ঘুরছে।

দুপুরের সময় আড্ডাবাজি কিছুটা কমলেও সকাল-বিকেল এবং সন্ধ্যার পর থেকে রাত অবধি কোন কোন এলাকায় এমন জটলা, আড্ডাবাজি চলছে বলে জানান স্থানীয়রা। রাতে খালি সড়কে কতিপয় ধনীর দুলাল গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ছে। নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক বলেন, মানুষ ধীরে ধীরে সচেতন হচ্ছে। আগের চেয়ে রাস্তায় আড্ডা, ঘোরাফেরা অনেক কমে গেছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ