পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণের চরম ঝুঁকি থাকলেও চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম এখনও অপ্রতুল। যদিও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, পর্যাপ্ত সংখ্যক পিপিই আসছে। তবে তাতে আশ্বস্ত হতে পারছেন চিকিৎসকেরা।
নিজেদের সুরক্ষা সরঞ্জাম না থাকায় শঙ্কা কাটছে না চিকিৎসক ও নার্সদের। এর ফলে স্বাভাবিক চিকিৎসা ব্যবস্থাও কার্যত ভেঙে পড়েছে। প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ, হাসপাতালগুলোতেও রোগী ভর্তি কমিয়ে দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের সর্ববৃহৎ সরকারি হাসপাতাল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল শনিবার মাত্র ১৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। অথচ গড়ে প্রতিদিন সহস্রাধিক রোগী ভর্তি হতো।
টানা ছুটিতে অঘোষিত লকডাউন, সবকিছু বন্ধ। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন নানা রোগে আক্রান্ত রোগীরা। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পরেই চিকিৎসকদের মধ্যে ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিয়ে উৎকণ্ঠা শুরু হয়। করোনা আতঙ্কে স্বাভাবিক জ্বর, সর্দি, কাশি রোগীদেরও এড়িয়ে চলতে শুরু করেন চিকিৎসকেরা।
চমেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, ১৩শ ১৩ শয্যার এ হাসপাতালে গত চব্বিশ ঘণ্টায় রোগী ভর্তি হয়েছে মাত্র ১৪ জন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আফতাবুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে সার্বিকভাবে রোগীর সংখ্যা কমে গেছে। এখন অনেক বেড খালি রয়েছে। চমেক হাসপাতালে সর্দি-কাশি নিয়ে যেসব রোগী আসছেন তাদের জন্য বহিঃর্বিভাগে একটি ফ্লু কর্নার খোলা হয়েছে। সেখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, গতকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে তিনদিনে ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে কারও করোনা সংক্রমণের আলামত মেলেনি।
করোনা রেসপন্স টিমের মহড়া
করোনা সংক্রমণে নগরবাসীকে জরুরি সেবা প্রদানে করোনাভাইরাস রেসপন্স টিম গঠন করেছে নগর পুলিশ। গতকাল নগরীর দামপাড়ায় এ টিমের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। সহকারী পুলিশ কমিশনার (ফোর্স) মোঃ আরিফ হোসেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে কর্মরত মেডিকেল অফিসার, ফার্মাসিস্ট ও পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে ১১ সদস্য বিশিষ্ট এই টিম করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পিপিই, অন্যান্য সরঞ্জাম ও ২টি এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে সর্বদা প্রস্তুত থাকবে। কোন পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হলে তাৎক্ষণিক প্রাথমিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ টিম নগরীতে যেকোন কাউকে আইসোলেশন বা হাসপাতালে প্রেরণের ব্যবস্থা করবে। এছাড়াও আইসোলেশন বা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের খাদ্য, ঔষধ ও অন্যান্য সহায়তা পৌঁছে দিবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।