পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এফআর টাওয়ার অগ্নিকান্ডের তিন মামলা
এক বছরে সময় নেয়া হয়েছে ৯ বার
তারিখের পর তারিখ দিয়েই বছর পার করে দেয়া হয়েছে বনানীর এফ.আর.টাওয়ার অগ্নিকান্ড মামলার। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে ১২ মাসে সময় নেয়া হয়েছে ৯ বার। তারপরও কবে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা সম্ভব হবে-বলতে পারছেনা প্রসিকিউশন। যদিও তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বার বার স্বীকার করছেন-মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ। আর সময়ও লাগছে নাকি এ কারণেই। এক ঘটনায় ভিন্ন ধারায় পৃথক তিনটি মামলা হয়। এর মধ্যে দুটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটি একটি মামলার প্রতিবেদন দাখিল করলেও আরেকটির প্রতিবেদন দাখিলে সময়ক্ষেপণ করছে।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, গতবছর ২৮ মার্চ বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ন (এফআর) টাওয়ারের ভয়াবহ আগুনে ঘটনাস্থলে ২৫ জন ও হাসপাতালে একজন নিহত হন। আহত হন ৭৩ জন। ঘটনার কয়েক দিন পর বনানী থানায় মামলা করে পুলিশ। আসামি করা হয় ভবনের বর্ধিত অংশের মালিক তাসভীর-উল-ইসলাম, জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক ও রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল। এছাড়া এফআর টাওয়ারের ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতাসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়। মামলায় এজহারভুক্ত তিন আসামিই এখন জামিনে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে মানুষের জানমালের ক্ষতি, অবহেলা ও তাচ্ছিল্যপূর্ণ কার্যকলাপের ফলে অপরাধজনক অগ্নিকান্ডে মানুষের প্রাণহানি, মারাত্মক জখমসহ সম্পদের ক্ষতিসাধন করেন।
আদালত সূত্র জানায়, চলতি মাসের ১২ তারিখ মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের কথা ছিলো। কিন্তু পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। বরং আরও সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী প্রতিবেদনের জন্য ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেন। মামলাটি তদন্ত করছেন মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক ফজলুল হক। এফআর টাওয়ার অগ্নিকান্ডের বছর পূর্তিতে সাংবাদিকদের তিনি জানান, মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অনেকে মারা গেছেন। আশা করছি খুব দ্রুত মামলাটির তদন্ত সম্পন্ন হবে। এদিকে এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতির মামলায় ভবনের অন্যতম মালিক এসএমএইচআই ফারুক ও তাসভীর-উল-ইসলামসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে ভিন্ন ধারায় পৃথক দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে একটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল নিয়ে চলছে কালক্ষেপণ। আগামি ২২ এপ্রিল মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য রয়েছে বলেন দুদকের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক। এ মামলা আসামিদের বিরুদ্ধে নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ভবনটির কয়েকটি তলা বাড়ানোর অভিযো আনা হয়। গত ২৫ জুন তাসভীরসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুদক কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দিক দুটি মামলা করেন। একটি মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ভুয়া ছাড়পত্রের মাধ্যমে এফআর টাওয়ারকে ১৯ তলা থেকে বাড়িয়ে ২৩ তলা করা, উপরের ফ্লোরগুলো বন্ধক দেয়া ও বিক্রির অভিযোগে ২০ জনকে আসামি করা হয়। অপর মামলায় এফআর টাওয়ারের ১৫ তলা পর্যন্ত নির্মাণের ক্ষেত্রে ইমারত বিধিমালা লঙ্ঘন এবং নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮ তলা পর্যন্ত বাড়ানোর অভিযোগ করা হয়। দ্বিতীয়োক্ত মামলাটির তদন্ত শেষে গতবছর ২৯ অক্টোবর ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে দুদক। আসামিরা হলেন রাজউকের তৎকালিন চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেম, এফআর টাওয়ারের মালিক এসএমএইচআই ফারুক, রূপায়ন গ্রুপের মালিক লিয়াকত আলী খান মুকুল, রাজউকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো.সাইদুর রহমান ও সাবেক অথরাইজড অফিসার সৈয়দ মকবুল আহমেদ।
হুমায়ুন খাদেম ছাড়া বাকিরা জামিনে রয়েছেন। দুদকের আরেকটি মামলার প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য রয়েছে আগামি ২২ এপ্রিল। এ বিষয়ের দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক শনিবার ‘ইনকিলাব’কে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের লক্ষ্যে কার্যক্রম চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।