Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ষড়যন্ত্রের শিকার বাংলাদেশ ও ইসলামী বিশ্ব

প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:০২ এএম, ১৫ জুলাই, ২০১৬

ড. ইশা মোহাম্মদ
ফালুজায় মানবিক বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেখানে দুই পক্ষ যুদ্ধ করছে এবং পঞ্চাশ হাজার সাধারণ মানুষ আটকা পড়েছে। আইএস এবং ইরাকি বাহিনী পরস্পরের সাথে মরণপণ যুদ্ধ করছে। শহরটি সরকারি বাহিনী উদ্ধার করবেই। এতে আইএসের কতজন মারা যাবে সেটা এক হিসাব কিন্তু সাধারণ মানুষ কতজন মরবে, সেটা অন্য হিসাব। ইরাকে ফালুজায় আইএসের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে যুদ্ধ শেষ হবে এমনটাও আশা করা যায় না। কেননা যারা আইএসকে অস্ত্র জোগান দিচ্ছে, তারা যে কোনো উপায়ে অন্য কোনো স্থানে আবার যুদ্ধ বাঁধাবে। তাই অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ইরাক আর কখনই যুদ্ধহীন অবস্থায় যাবে না। সিরিয়া যুদ্ধ শেষ করতে চায়। কিন্তু যারা বিদ্রোহীদের উসকানি দিচ্ছে, তারা তো যুদ্ধ শেষ করতে চায় না। ইরাক-সিরিয়াই কেবল নয়, তুর্কিরাও নানা কিসিমের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। আইএস পাকিস্তানে ছোট-বড় সব রকমের আক্রমণ পরিচালনা করার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। তারা ভারতেও আঘাত করবে। ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ইউরোপে আইএস হামলা মানেই সেখানকার মুসলমানদেরকে বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ করা। ইউরোপের খ্রিস্টানরা ক্ষেপে গিয়ে মুসলমানদের তাড়াবে, এটাই ষড়যন্ত্রকারীদের মূল উদ্দেশ্য। বিশ্বব্যাপী মুসলিম নিধনই তাদের উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্য সাধন করার জন্য তারা প্রথমেই পাকিস্তানকে টার্গেট করেছিল। কিন্তু সব পাকিস্তানিকে তারা হত্যা করতে চায় না। তারা ভারতের সাথে লাভজনক দোস্তি করার জন্য পাকিস্তানের পরিবেশকে ব্যবহার করতে চায়। ইতোমধ্যে ভালোভাবেই তারা এই মনস্তাত্ত্বিক অবস্থাকে কাজে লাগিয়েছে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমানদের জন্য তাদের অন্য হিসাব। সম্প্রতি জানা গেছে, রাশিয়া সিরিয়াকে রক্ষা করার জন্য বাহিনী নিয়ে যেতে চায়। আরো জানা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিদ্রোহীদের অস্ত্র সাহায্য পাঠিয়েছে। সিরিয়ার বিদ্রোহ সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তৎসত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি অস্ত্র দেয় কীভাবে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই মধ্যপ্রাচ্যের অশান্তির জন্য দায়ী। এটি আর গোপন নেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থীরা সব কথাই ফাঁস করছেন তর্কাতর্কির মাধ্যমে। ইরাক, লিবিয়ায় নৈরাজ্য মার্কিন আগ্রাসনের ফসল। এখন যে আইএসকে দিয়ে ইহুদিবাদীরা নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে তা কখনই সম্ভব হতো না সাদ্দাম ক্ষমতায় থাকলে। গাদ্দাফি যদি বেঁচে থাকতেন তবে লিবিয়া নৈরাজ্যিক হতো না। এই দুটো দেশ সব সময়ই মুসলিম ঐক্যের জন্য নানাবিধ তৎপরতা চালিয়েছিল। এখন তারা আত্মরক্ষার জন্য জীবন মরণ যুদ্ধ চালাচ্ছে।
মুসলিম তথাকথিত গণতন্ত্রকামীরা জানেই না যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিয়ে খেলছে। তারা প্রতিষ্ঠিত হোক বা না হোক, মার্কিনিদের উদ্দেশ্য সফল হবে। ফলে বড় ধরনের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে মধ্যপ্রাচ্য। বিশাল আকারে জনসংখ্যার হ্রাস পাবে সেখানে।
তুর্কিস্থান বর্তমানে বেশ গরমভাব দেখাচ্ছে। তাদের ভাবনা, যদি সবাই দুর্বল হয়ে যায়, তবে তারা আবার তাদের পূর্বের খেলাফত সা¤্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করবে। তারা পরিষ্কার ষড়যন্ত্রের শিকার। তাদেরকে যারা উসকানি দিয়েছে, সেই ইহুদিবাদীরা তাদেরকে পুরনো সা¤্রাজ্য উপহার দেবে না। যেটি হবে তা হচ্ছে, তারা সা¤্রাজ্য বিস্তারের লোভে সামরিক অভিযান চালাবে এবং অনেক মানুষের মৃত্যুর কারণ হবে। তুর্কিস্থানের অভিলাষের কারণে তারা নিজের দেশের অনেক মুসলমানের মৃত্যুর কারণ হবে। সেই অদৃশ্য শক্তির মূল উদ্দেশ্য মুসলিম জনসংখ্যা কমানো। মুসলমানরা নিজেরা নিজেরা মারামারি করে যদি নিজেদের জনসংখ্যা কমাতে পারে তবেই অদৃশ্য শক্তির মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হবে।
কেবলমাত্র মধ্যপ্রাচ্যেই এমনতর ঘটনা ঘটবে, তা ভাবার কারণ নেই। যারা ধনী হতে চায় সে রকম সব মুসলিম দেশেই তারা একই রকম কৌশলে জনসংখ্যা কমাবে। বেশ কিছু কৌশল নিয়েছে তারা। সরাসরি গণতন্ত্রের স্লোগান তুলে যেখানে কাজ হয় না, সেখানে ধনী হওয়ার লোভ দেখিয়ে তারা একদল লোভাতুরকে ধনী বানানোর উদ্যোগ নেয় এবং এই প্রক্রিয়ায় জাতিগত বিভেদ তৈরি হয়। এই লুম্পেন বুর্জোয়ারা নির্দ্বিধায় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সাথে ঘেঁষাঘেঁষি করে এবং নিজেদের আর্থিক ক্ষমতা বাড়ায়। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের সাথেই এদের দহরম মহরম এখন প্রকাশ্য। কিন্তু এরা যে জাতির শত্রু তা বুঝেও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না, কিংবা নিতে পারে না। এই দ্বিধাটাকেই অদৃশ্য শক্তি কাজে লাগায়।
গৃহযুদ্ধই তাদের সহজ পথ। যে দেশে বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদ আছে সে দেশে গৃহযুদ্ধ বাঁধিয়ে দিয়ে তারা আর্থিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে গেড়ে বসে। যেমন বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ দখলের জন্য তারা সমুদ্র দখল করছে অতি কৌশলে। যেসব চুক্তি হয়েছে সম্পদ আহরণ ও বিক্রি সংক্রান্ত সবই তাদের অনুকূলে। শুধু অনুকূলেই নয়, পুরো সম্পদই তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মধ্যপ্রাচ্যে আছে বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদ। কিন্তু সেই সম্পদের মহিমায় তারা উন্নত জাতি হবে, তা হচ্ছে না। তাদের সম্পদ দিয়েই তাদেরকে ধ্বংস করা হবে। ইতোমধ্যেই ইরাকের জীবাশ্ম সম্পদ ইহুদি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লুটপাট করছে। তথাকথিত খেলাফতের লোভ দেখিয়ে তারা আইএস বানিয়ে তাদের দিয়ে জ্বালানি পাচার করছে। কদিন আগে রাশিয়া অভিযোগ করে বলেছে, তুরস্ক আইএস’র কাছ থেকে সস্তায় তেল কিনেছে। এটি একটি টোপ। সা¤্রাজ্যবাদ তুরস্ককে কব্জা করতে চায় বলেই তাদের লোভাতুর করার পথ বেছে নিয়েছে। কিন্তু সস্তায় এই তেল দেয়াও এক সময় তারা বন্ধ করে দেবে।
সিরিয়া আত্মরক্ষা করার জন্য রাশিয়ার শরণাপন্ন হয়েছে। এ ছাড়া অন্য কোনো উপায় এখন আর দেখা যাচ্ছে না। চীনও তাদের বাঁচাতে পারত। কিন্তু চীনারা নিজের জাতির বড় ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে সরাসরি কোনো যুদ্ধে অংশ নেয় না। বহু শতাব্দী তারা বিচ্ছিন্ন ছিল। তাই তারা একা থাকতে ভয় পায় না।
যাই হোক, মধ্যপ্রাচ্যকে বাঁচাতে পারে একমাত্র চীন-রাশিয়া। রাশিয়া এককভাবে বাঁচাতে পারবে না। কেননা, রাশিয়ার ভাতৃবৎসল যুদ্ধাচরণকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ন্যাটো তার বর্ডারের খুব কাছাকাছি অস্ত্র মোতায়েন করেছে। যে কোনো মুহূর্তে পারমাণবিক আক্রমণ করার ভয়ও দেখাচ্ছে। রাশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনীকে আক্রমণ করলে তারা নিজেরাই আক্রান্ত হবে। নিজেদের ব্যাপারে তাদেরকে তো ভাবতেই হবে। চীনও এখন সমস্যায় আছে। চীন সাগর নিয়ে অহেতুক সমস্যা তৈরি করছে মার্কিনিরা। তারা সেখানে নৌবহর নিয়ে ঘোরাফেরা করছে। চীনের ব্যাপারে ভারত সব সময়েই স্পর্শকাতরতা দেখায়। সম্প্রতি ভারতের বন্দরগুলো মার্কিনিরা ব্যবহার করার চুক্তি করেছে। এর অর্থ কী? অর্থ একটাই, প্রয়োজনে ভারত ভূমি ব্যবহার করে চীনের প্রতি চোখ রাঙানো। ভারত-জাপান-মার্কিন যৌথ নৌ মহড়ায় অংশ নিয়েছে। এটি করা হয়েছে চীনকে বোঝানোর জন্য যে, তারা সবাই এক সাথে আছে।
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন থেকে সরে আমার অর্থ কী? ভারতও কি সা¤্রাজ্যবাদী লুটপাটের ভাগিদার হতে চায়? ভারতের পুঁজি বর্তমানে সা¤্রাজ্যবাদী পুঁজির অংশ। ব্যাপারটা তারা আর গোলা করতে চায় না। ভারতের পুঁজি যে সা¤্রাজ্যবাদী পুঁজি সেটি ভারতের তথাকথিত মার্কসবাদীরাও বোঝে না। তাদের মূল্যায়নে এ ধরনের বিভ্রান্তিও পরিলক্ষিত হয়েছে। বুর্জোয়ারা সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিতে মার্কসবাদীদের ভ্রমকে কাজে লাগিয়েছে। এখন বিশ্বময় অস্থির পরিস্থিতি। এ সময়ে ভারত-জাপান-মার্কিন যৌথ নৌমহড়া কিসের ইঙ্গিত দেয়?
আশঙ্কা করা হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্য কেন্দ্রিক ইসলামী বিশ্ব পারমাণবিক হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। এই হামলায় কারা অংশগ্রহণ করবে? সবাই জানে যে, ইহুদি পরিকল্পনাতেই ওই হামলা ঘটবে। মরবে কারা? বিশাল সংখ্যক মুসলমান। ওই এলাকার সবকটি দেশের মানুষই মরবে। তুর্কিরা ভাবছে তারা রেহাই পেয়ে যাবে। কিন্তু ঘটনা তা ঘটবে না। বর্তমানে আর্মেনিয়ার গণহত্যা নিয়ে তুরস্ক নাস্তানাবুদ অবস্থানে আছে। তুরস্ককে যুদ্ধে জড়ানোর জন্য এটি একটি ইহুদি ফাঁদ। তুরস্ক নিজেও যথেষ্ট লোভাতুর আচরণ করছে। দুইয়ে মিলে তুরস্কের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টিই নিশ্চিত করছে।
বিশ্ব মুসলিম হত্যার মিশন থেকে বাংলাদেশ কি রেহাই পাবে? না তা থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো কারণই নেই। গুলশান ট্রাজেডি এবং শোলাকিয়ার ময়দানের হামলা থেকে সে আলামতই স্পষ্ট হয়েছে। যথেষ্ট দক্ষতাপূর্ণ কূটনৈতিক কৌশল ব্যতিরেকে বাংলাদেশ নিজেকে বাঁচাতে পারবে না। কেননা বাংলাদেশকে মৃত্যুপুরী বানাতে চায় ইহুদিরা। তারা সা¤্রাজ্যবাদকে ব্যবহার করছে। আপাত দৃষ্টিতে দেখা যাচ্ছে, কেবলমাত্র সা¤্রাজ্যবাদী শক্তিই ছুতোনাতা খুঁজে বাংলাদেশে সেনাবাহিনী আনতে চায়। কিন্তু তারা একবার এলে আর যাবে না। জাতিকে বাঁচাতে এসে পুরোপুরি মেরে ফেলবে। বাংলাদেশ সব সময়ই ভারতের দিকে তাকিয়ে থাকে। কিন্তু ইহুদিরা সে পথেও বালি ঢেলে দিয়েছে। বিশ্ব সা¤্রাজ্যবাদের অংশী করছে ভারতকে। কেবলমাত্র অর্থনৈতিক সম্পর্ক থাকলেই বিপদের দিনে কেউ প্রকৃত বন্ধু হবে এমনটাও ভাবার কোনো কারণ নেই। সাদ্দাম শেষ মুহূর্তে রাশিয়াকে কাছে পায়নি। গাদ্দাফিও নিঃসঙ্গ হয়েই মরেছে। বিষয়গুলো থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আগামী দিনের ক্রাইসিস মোকাবেলার অন্যতম পথ হচ্ছে জোট কিংবা তার চেয়েও উৎকৃষ্ট মানের সুসম্পর্ক। স্টেটম্যানরা ঠিকই বুঝতে পারে কখন কী করতে হবে। পারস্যের বিরুদ্ধে গ্রিসের সবকটি দেশের ঐক্যই ছিল তাদের বাঁচার একমাত্র পথ। কেবলমাত্র বেঁচে থাকার জন্যই ইউরোপীয় ইউনিয়ন অর্থনৈতিক ঐক্য তৈরি করেছে। আধুনিক বিশ্বব্যবস্থার ধারণায় এ ধরনের ঐক্যও কনফেডারেশন। এ ধরনের ঐক্য এশিয়ায় অসম্ভব। আরবজাহানে হতে পারত। কিন্তু সেখানে ইহুদি ষড়যন্ত্র কার্যকর। তাই সেখানকার দেশগুলো পরস্পরের সাথে আস্থার সম্পর্ক গড়তে পারছে না। তাদের পক্ষে ঐক্যের চেয়েও হানাহানির রাস্তায় যাতায়াত করাই সহজ হয়ে পড়েছে। তারা সেটাই করছে।
বিশ্বব্যবস্থায় আর ঐক্যের জন্য আন্তঃসীমান্ত সম্পর্ক দরকার হয় না। ডিজিটাল পদ্ধতিতেই ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে তোলা সম্ভব। তবে জনসংখ্যা আদান-প্রদান ভিত্তি ভূমি তৈরি করতে পারে। বাংলাদেশ তার সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য উভয় পদ্ধতিরই অনুশীলন করতে পারে। এখন যা করতে হবে তা করতে হবে দৃঢ়চিত্ততার সাথে। কোনো রকম দোদুল্যমানতা থাকলে ওই সম্পর্কই বুমেরাং হয়ে যাবে। বঙ্গোপসাগর নিয়ে একটু ভাবা দরকার। বঙ্গোপসাগর নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ আছে। তাদের আগ্রহকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগানো যায়।
লেখক : সহযোগী সম্পাদক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ষড়যন্ত্রের শিকার বাংলাদেশ ও ইসলামী বিশ্ব
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ