Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আছে

জীবাণুনাশক ছিটানোর কার্যক্রম পরিদর্শনকালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০২০, ১২:০৩ এএম

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা যে যার করণীয় করছি। আমাদের মেম্বর, চেয়ারম্যান, মেয়ররা সার্বক্ষণিক জনগণের পাশে আছে। আমরা সকলে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছি বলে বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্তে¡ও অন্যান্য দেশের তুলনায় করোনার সংক্রমণ বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জীবাণুনাশক ছিটানোর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র মো. জামাল মোস্তফা ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা। সকাল সাড়ে ১১টায় মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশের প্রধান সড়ক থেকে জীবাণুনাশক ছিটানোর কাজ শুরু হয়।
মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় কমিটি কাজ করছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে আমরা এই দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবো।
ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে প্রবাসীরা ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন, এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ গ্রামে গেছে এই মুহূর্তে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিরা কাজ করছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে প্রতিটি ওয়ার্ডে, পৌরসভায়, সিটি করপোরেশনে আমাদের কমিটি গঠন করা আছে। তারা কাজ করছে। প্রবাসীদের কমপক্ষে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে তারা স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় কাজ করছে। তিনি বলেন, প্রথম দিকে ওভাবে কাজ না করলেও এখন মনিটরিং ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। এখন প্রবাসীরাও বুঝতে সক্ষম হয়েছেন আর গ্রামবাসীও অবগত হয়েছেন। তাই আগের চেয়ে এখন বেশি কার্যকর হয়েছে।
মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়ার পরেও মেম্বর, চেয়ারম্যান বা কাউন্সিলরদের সেভাবে মাঠে দেখা যায় না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আসলে এখন একটা কঠিন সময়। এই সময়ে জনপ্রতিনিধিদের দৃশ্যমান হওয়া একটু কঠিন। কারণ সবাইতো নিজ নিজ আইসোলেশনে থেকে কাজ করছেন। জনপ্রতিনিধিরা টেলিফোনের মাধ্যমে কাজ করছেন। তবে তারা সবাই কাজ করছেন এই তথ্য আমার কাছে আছে।
রাস্তায় যে জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে তা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কতটুক কার্যকর এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, যেহেতু বিশ্বের কোথাও এখন পর্যন্ত সঠিক কোনো পদ্ধতি উদ্ভাবিত হয়নি। তাই অন্যান্য দেশ যে পদ্ধতি ব্যবহার করছে আমরা ৯৯ শতাংশ পানিতে ১ শতাংশ ক্লোরিন মিশিয়ে ছিটাচ্ছি। এটা জীবাণু ধ্বংসকারী।
মন্ত্রী বলেন, আজ স্বাধীনতা দিবস জাতীয় ছুটি। এবার স্বাধীনতা দিবসে সকল কার্যক্রম স্থগিত। তারপরেও এখানে এসেছি শুধু এটা বোঝানোর জন্য আমরা জনগণের পাশে আছি। করোনাভাইরাসের পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধেও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
নবনির্বাচিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা এবার তৎপর আছি, আমাদের ওষুধের সমস্যা নেই, জনবলের সমস্যা নেই। প্রয়োজন মনিটরিং। মশকনিধন কর্মীদের সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ওষুধ ছিটানোর কথা, সেই কাজ অনেক জায়গাতেই হচ্ছে না। এজন্য কাউন্সিলরদের নির্দেশনা দিয়েছি। পাশাপাশি প্রতিটি এলাকার সাধারণ জনগণকে বলব আপনার মনিটরিং করুন, আমাদেরকে জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিটি করপোরেশন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ