পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিদেশি নাবিকদের শহরে প্রবেশ ও ডিউটি বদল বন্ধ : সমুদ্রে কোয়ারেন্টাইনে ৩ জাহাজ
টানা ছুটির মধ্যেও জেগে আছেই প্রধান চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর। আমদানি-রফতানি বৈদেশিক বাণিজ্য ও শিল্প-কারখানার চাকা যথাসাধ্য সচল রাখতে দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম সার্বক্ষণিক (২৪/৭) বজায় থাকছে।
তবে করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারী পরিস্থিতিতে বন্দরে বর্তমানে জাহাজের ভিড় কিংবা কন্টেইনার ও খোলা পণ্যের জট নেই। বন্দরভিত্তিক দেশের প্রধান রাজস্ব প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে সীমিত ডকুমেন্ট খালাস হচ্ছে। বেসরকারি, বিদেশি শিপিং কোম্পানি, এজেন্ট ও শিপিং লাইনস, রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মকর্তারা নিজ বাসায় বসেই শিপিং কার্যক্রম চালাচ্ছেন। গতকাল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক ইনকিলাবকে জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সম্ভাব্য সবরকম সতর্কতার সাথে চলছে বন্দর কার্যক্রম। সীমিত জনবল নিয়োজিত রেখে সার্বক্ষণিক কাজ চালানো হচ্ছে। আমদানি-রফতানি পণ্যবাহী জাহাজ আসা-যাওয়া, মালামাল লোডিং আনলোডিং, ডেলিভারি অব্যাহত থাকবে। সতর্কতার বিষয়ে তিনি বলেন, বন্দরে আগত জাহাজের বিদেশি নাবিকদের শহরে ঢোকা বন্ধ থাকবে। তাদের ডিউটি বদলও বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্দর হাসপাতাল, সী-অ্যাম্বুলেন্স, ৫০ শয্যার পৃথক ইউনিট ও ডাক্তার-নার্সদের নিয়ে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রস্তুত রয়েছে। শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে বন্দরের ভেতরে জরুরি প্রয়োজনে যেতে দেয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বন্দরে ৪ হাজার ৯১১ টিইইউএস কন্টেইনার ডেলিভারি হয়েছে। বর্তমানে বন্দরের জেটি-বার্থে ১০টি কন্টেইনার জাহাজ এবং ৫টি খোলা সাধারণ পণ্যভর্তি (ব্রেকবাল্ক কার্গো) জাহাজে কাজ চলছে। চীনসহ বিদেশের বন্দর হয়ে আসার কারণে নিয়ম-বিধিমাফিক ৩টি জাহাজকে সমুদ্রভাগে বহির্নোঙরে করোনা ভাইরাস সতর্কতায় (নাবিক ও জাহাজের) কোয়ারেন্টাইন পরীক্ষার জন্য অপেক্ষায় রাখা হয়েছে। ১৪ দিন শেষে কোয়ারেন্টাইন ঝুঁকিমুক্ত নিশ্চিত হলেই আগামী ২৯ থেকে ৩১ মার্চ জাহাজগুলো জেটি-বার্থে ভিড়ার অনুমতি পাবে।
শিপিং সূত্রে জানা গেছে, বন্দরের বহির্নোঙরে জাহাজ বাড়েিত অপেক্ষায় নেই। বন্দরে আমদানি ও রফতানি পণ্যভর্তি, খালি মিলিয়ে কন্টেইনারমজুদ রয়েছে ৩০ হাজার টিইইউএস’রও নিচে। ধারণক্ষমতা ৪৯ হাজারের বেশি। সড়ক মহাসড়কে ডেলিভারি পরিবহন বন্ধ। বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ আসা-যাওয়া এবং আমদানি-রফতানি প্রবাহ গত ফেব্রæয়ারি মাস থেকেই কমে আসছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, সরকার ঘোষিত ছুটির মাঝেও চট্টগ্রাম বন্দর কার্যক্রম চলবে। বন্দরে আসা দেশি-বিদেশি জাহাজ প্রচলিত নিয়মে ভিড়বে। এসব জাহাজের আমদানি রফতানি পণ্য হ্যান্ডলিং এবং ডেলিভারি কার্যক্রম পুরোদমে চালানোর সিদ্ধান্ত রয়েছে। এরফলে সরকার ঘোষিত গতকাল থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ছুটির দিনেও বিশেষায়িত এই কার্যক্রম সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিচালিত হবে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির দিনগুলেতেও সীমিত পরিসরে চলবে কাস্টমস কার্যক্রম। অনেক কর্মকর্তা ঘরে বসে কাজ সারবেন। ডকুমেন্টেশনও স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কমে গেছে। এ মুহূর্তে বন্দরের জরুরি চিকিৎসা সেবা সামগ্রী এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দ্রæত খালাসের দিকে জোর দেয়া হচ্ছে।
যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকলেও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকা আইসিডিমুখী কন্টেইনারবাহী ট্রেনে পণ্য পরিবহন চালু রয়েছে। মালামাল পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্ট রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পালাক্রমে কাজ করছেন। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের দফতরসহ (সিআরবি) খোলা রাখা হয়েছে প্রতিটি স্টেশন। বন্দর পেণ্য পরিবহন করবে রেলওয়ে। কন্টেইনারবাহী প্রতিদিন ৪ থেকে ৫টি ট্রেন চলাচল করতে পারে। সড়কপথে পণ্য পরিবহন বন্ধের কারণে রেলপথে কিছুটা চাপ বেড়ে যেতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।