পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে ঢাকার বাইরে প্রথম চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে করোনা সনাক্তকরণ পরীক্ষা। গতকাল বৃহস্পতিবার বন্দরনগরীর অদূরে ফৌজদারহাট বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-এ সাতজনের নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে সীমিত আকারে এই টেস্ট শুরু করা হয় বলে জানিয়েছেন সেখানকার কর্মকর্তারা। সীমিত এই উদ্যোগ ছাড়াও বন্দরগরী বৃহত্তর চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম বিভাগে করোনা রোগী সনাক্তে টেস্ট, চিকিৎসা সেবা এবং আইসিইউ সুবিধা প্রদানসহ বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে ঘাটতি। পদে পদে আছে নানা অসঙ্গতি। রয়েছে সমন্বয়ের অভাব।
বিআইটিআইডির একজন কর্মকর্তা জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি পাবার পর আগে থেকে মজুদ ১০০ করোনা শনাক্তকরণ কিট দিয়েই করোনাভাইরাস আক্রান্ত হিসেবে সন্দেহভাজনদের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ঢাকার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আরও কিট নিয়ে পাঠানো হচ্ছে।
এর আগে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে ১৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে বিআইটিআইডির মাধ্যমে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরীক্ষায় তাদের মধ্যে সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রামে যাদের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে তাদের রিপোর্ট দ্রæত প্রকাশ করা যাবে বলেও জানান কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রামে করোনা টেস্টের ফলে কিছুটা হলেও স্বস্থি এলো। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা, চিকিৎসার জন্য বিআইটিআইডি এখনও কতটুকু উপযোগী এবং প্রস্তুত হয়েছে এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে। চট্টগ্রাম করোনায় বড় ঝুঁকির এলাকা হলেও এখানে চিকিৎসার ক্ষেত্রে আইসিইউ সঙ্কট রয়েছে। আছে চিকিৎসকদের সুরক্ষা সরঞ্জামেরও অভাব। তাছাড়া আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও সমন্বয়ের অভাবও প্রকট। বিশেষ করে মফস্বল তথা উপজেলা পর্যায়ে এখনও প্রস্তুতির কোন ছোঁয়া নেই বলে জানান মাঠ পর্যায়ের চিকিৎসকেরা।
তারা বলছেন, বৃহত্তর চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনেক প্রবাসি কোয়ারেন্টাইন না মেনে সাধারণ মানুষের সাথে মিশে গেছেন। এই কারণে এসব এলাকায় সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরী হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে ডাক্তার, নার্সদের সুরক্ষা সরঞ্জামও নেই। কিছু শয্যা আলাদা করে রাখার মধ্যেই সীমিত উপজেলা পর্যায়ের প্রস্তুতি। যদিও স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে বলা হচ্ছে প্রস্তুতির কোন ঘাটতি নেই। এমনিতেই সুরক্ষা সরঞ্জাম না থাকায় বৃহত্তর চট্টগ্রামে সার্বিক চিকিৎসা ব্যবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। করোনা সন্দেহে চিকিৎসকেরা অনেক রোগী ফিরিয়ে দিচ্ছেন। লকডাউনের পর সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগী আসার হার আরও কমে গেছে। চমেক হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায় আগে প্রতিদিন আউটঢোরে দেড় থেকে দুই হাজার রোগী আসতো এখন সেটা পাঁচ থেকে সাতশ-তে নেমে এসেছে। আর জরুরি বিভাগে রোগীর সংখ্যা আরও কমেছে।
এদিকে চট্টগ্রাম বিভাগে গতকাল পর্যন্ত চব্বিশ ঘণ্টায় নতুন করে ৮০১ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে সমুদ্রপথে জাহাজে আসা ১৪৭ জনসহ ১৫৯ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় থেকে এ সব তথ্য জানানো হয়। এ নিয়ে বিভাগের ১১ জেলায় বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১১ হাজার ৩৬৪ জন। চব্বিশ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন শেষ করে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৩৪১ জন প্রবাসী। তারা সবাই সুস্থ্য আছেন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১৮ জন, বাড়ি ফিরেছেন পাঁচ জন। আইসোলেশনে আছেন দুই জন। এই বিভাগে নতুন করে কেউ করোনা আক্রান্ত হওয়ার তথ্য নেই বলেও জানান কর্মকর্তারা। এই বিভাগে প্রথম করোনা সনাক্ত হওয়া কক্সবাজারের এক বৃদ্ধার অবস্থাও উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে করোনা সনাক্তকরণ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সেখানে চট্টগ্রাম বিভাগের সব এলাকার সনাক্তকরণ পরীক্ষা হবে। চট্টগ্রামে এখনও কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হননি বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।