বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আমতলী থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা সন্দেহভাজন হত্যা মামলার আসামি শানু হাওলাদারের (৫০) লাশ পাওয়া গেছে। পুলিশের দাবি সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহত শানু হাওলাদার আমতলীর কলাগাছিয়া গ্রামের হযরত আলী হাওলাদারের ছেলে।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রীর কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিলো। গতকাল সকালে রশি কেটে তার লাশ নামানো হয়। এ ঘটনায় আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রী ও ডিউটি অফিসার এসআই আরিফকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন তাদেরকে বরখাস্তের বিষয়টি জানান।
আমতলী থানার ওসি আবুল বাশার জানান, গত বছরের ৩ নভেম্বর আমতলীর গুলিশাখালী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া গ্রামের ধানক্ষেত থেকে ইব্রাহিম নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় এজাহারভুক্ত কোন আসামি না থাকলেও গত সোমবার রাতে সন্দেহভাজন হিসেবে শানু হাওলাদারকে আটক করে পুলিশ। রাতে ওসি (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রীর কক্ষে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাখা হয়। ওসি আবুল বাশার দাবি করেন, রাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছু ক্লু পাওয়া যায়। থানার সেন্ট্রি গতকাল সকালে শানুকে বাথরুমে নিয়ে যায়। তাদের দাবি, বাথরুম থেকে ফিরে এসে শানু দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী জানান, শানুর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শানুর ছেলে সাকিব হাওলাদার জানান, পুলিশ তাদের কাছে ৩ লাখ টাকা দাবি করেছিলো। তারা ১০ হাজার টাকা পুলিশকে দিয়েছেন। শানুর স্ত্রী ঝর্ণা বেগম অভিযোগ করেন, টাকা দিতে না পারায় পুলিশ তার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন জানান, বিষয়টি তদন্ত করার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মেদকে প্রধান করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম ও সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলামকে সদস্য করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।