পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দেশের যে কোন সংকটের মুহুর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দূরদর্শী চিন্তা দিয়ে খুব সহজে এর সমাধান নিয়ে আসেন এবং জাতিকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেন। বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের দূর্যোগের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির সাথে বাংলাদেশের অর্থনীতিও সমস্যার সম্মুখীন। বিশেষ করে রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পসহ অন্যান্য শিল্পখাত নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। কারণ, বিদেশী ক্রেতারা প্রতিনিয়ত ক্রয় আদেশ বাতিলসহ স্থগিত করে চলেছে। এতে দেশের রপ্তানি নির্ভর শিল্প কারখানা চালু রাখা ও শ্রমিক কর্মচারীদের বেতনভাতা প্রদান করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। ঠিক সে মুহুর্তে প্রধানমন্ত্রী তাঁর দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে রপ্তানিমূখী শিল্পের মালিকরা যাতে করে শ্রমিক কর্মচারীদের বেতনভাতা প্রদান করতে পারে সে জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষনা করেছেন। বিজিএপিএমইএ ১৭শ’র অধিক গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্যের শতভাগ রপ্তানিমূখী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের একটি বাণিজ্যিক সংগঠন যা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ৯৫ ভাগ এক্সেসরিজ পণ্য স্থানীয়ভাবে সরবরাহ করে থাকে। এছাড়াও ওষুধ, ক্রোকারিজ, হিমায়িত খাদ্য, সিরামিক, চামড়া ইত্যাদি রপ্তানি খাতের সকল ধরণের মোড়কজাত পণ্যের চাহিদা পূরণ করে থাকে। প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই এবং তাঁর নির্দেশনায় কাজ করে উন্নত সোনার বাংলা গড়তে চাই। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিজিএপিএমইএ’র অনুরোধ, যাতে করে ঘোষিত প্রণোদনা হতে বরাদ্দ পেয়ে এ সেক্টরের সকল শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতন ভাতাদি প্রদান করে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে পারি। বৃহষ্পতিবার (২৬ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান বিজিএপিএমইএ’র সভাপতি মো. আব্দুল কাদের খান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।