বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না দেয়ায় এক স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগ জেলার উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের টারীপাড়া গ্রামের মৃত এশার আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০) এর বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, প্রায় ১৭ বছর আগে মো. রফিকুল ইসলাম এর সাথে একই ইউনিয়নের দিগলহাইলা গ্রামের মো. আবু জাফরের মেয়ে মোছা. জাহেনুর বেগম জেমীর সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের কিছুদিন পর থেকেই রফিকুল ২য় বিয়ে করার জন্য তার স্ত্রী জেমীর কাছ অনুমতি চেয়ে চাপ দিতে থাকে। কিন্ত জেমী বেগমের অনুমতি না পেয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিসী বৈঠকে মীমাংসা করা হয়। সর্বশেষ গত ২২ মার্চ সকালে রফিকুল তার নিজ বাড়িতে স্ত্রী জেমী বেগমকে মারপিট করে বাড়িতে আটকে রাখে।
সংবাদ পেয়ে পরিবারের লোকজন জেমীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতনের শিকার জেমী বেগম জানান, দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না পাওয়ায় আমার স্বামী আমাকে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন করে আসছে। কিন্তু আমি কোন অনুমতি দিতে রাজি না হওয়ায় ৩/৪ মাস ধরে সে শারীরিক নির্যাতন মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। আমার তিনটি সন্তান আছে। দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য সে স্বাক্ষর চায়। স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রতি রাতেই আমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রফিকুল বলেন, আমার স্ত্রীর অভিযোগ সব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, নির্যাতনের এরকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে তদন্ত হয়েছে। যা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মীমাংসার জন্য সময় নিয়েছেন। মীমাংসা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। হাতিয়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, যেহেতু বিষয়টি স্বামী-স্ত্রীর এবং তাদের সন্তান রয়েছে। বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।