Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

করোনায় এটিএম বুথে গ্রাহক ভোগান্তি চরমে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০২০, ১২:১০ এএম

করোনাভাইরাসের কারণে সরকারি ছুটি ঘোষণার পর নগদ টাকা তুলতে ব্যাংকে না গিয়ে এটিএম বুথে ভিড় করছে গ্রাহক। কিন্তু নেট সমস্যা, পর্যাপ্ত টাকা না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে ভোক্তান্তিতে পড়ছেন গ্রাহকরা। গতকাল মঙ্গলবার রাজাধানীর মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন, দৈনিক বাংলা, মুগদা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র।
এসব এলাকায় বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথে নগদ টাকা তুলতে গ্রাহকদের ভিড় করতে দেখা যায়। কিন্তু অনেক বুথেই নাগদ টাকার সংকট, নেট সমস্যার কারণে গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়েন।

মতিঝিলের সেনাকল্যাণ ভবনের পাশে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের দায়িত্বরত এক কর্মচারী জানান, অন্যান্য দিনের তুলনায় মঙ্গলবার টাকা উত্তোলনের পরিমাণ বেশি। কারণ আগের দিন এমনিতেই সার্ভারের সমস্যা থাকার কারণে গ্রাহকরা টাকা উঠাতে পারিনি। তার প্রভাবে লেনদেন বেড়েছে। এছাড়াও সরকারি সাধারণ ছুটি ঘোষণার কারণে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় বেশি টাকা উঠাচ্ছে মানুষ।

মতিঝিল সিটি সেন্টারের ডাচ-বাংলা ব্যাংক ফাস্ট ট্র্যাকে টাকা তুলতে এসেছেন মো. কবির নামের এক ব্যক্তি। কিন্তু টাকা তুলতে পারেনি। তিনি জানান, জরুরি টাকা দরকার। এটিএম বুথে এসে দেখি টাকা নেই। এটিএম বুথে যদি প্রয়োজনে টাকা তুলতে না পারি তাহলে কেমন লাগে বলেন? তারপরও আবার এখন করোনার বিশেষ সময় চলছে। একই তথ্য দিলেন ঢাকা বারের সদস্য অ্যাডভোকেট মু. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, এটিএম বুথেও লাইন লেগে গেছে।

জানতে চাইলে বুথে থাকা ব্যাংকের কর্মী জানান, দুপুরের টাকা শেষ হয়ে গেছে। অফিসে জানানো হয়েছে। তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে। একই অবস্থা আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের দৈনিক বাংলা শাখার বুথে। টাকা শেষ হওয়ায় বুথ থেকে ফিরে যাচ্ছেন গ্রাহকরা। নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, দুপুর ১২টার মধ্যে শেষ হয়ে যায় সব টাকা। প্রয়োজনে পাশের বুথ টাকা তোলার পরামর্শ দেন তিনি।

এদিকে গ্রাহক সুবিধার্থে প্রতিটি ব্যাংকের শাখার ক্যাশ কাউন্টার, এটিএম, এজেন্ট ব্যাংকিং, ইন্টারনেট, অ্যাপ ও ইউএসএসডি ভিত্তিক সব লেনদেন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি লেনদেনের স্থানে নিয়মিতভাবে জীবাণুমুক্ত রাখতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা সত্তে¡ও এটিএম বুথের লেনদেন কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছে না গ্রাহক। উল্টো টাকা না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে অনেককে।

গতকাল ব্যাংকগুলোতে বাড়তি সতর্কতায় লেনদেন করতে দেখা গেছে। তবে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহক উপস্থিতি কম ছিল। জরুরি প্রয়োজনে টাকা তুলতে কেউ ব্যাংকে আসেননি। ব্যাংক কর্মীদেরকেও বেশ সতর্ক থাকতে দেখা গেছে। ব্যাংকের শাখায় ঢুকতেই প্রধান গেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়া হচ্ছে গ্রাহকদের। থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে নির্ণয় করা হচ্ছে গ্রাহকের শরীরের তাপমাত্রা। এদিকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বেশ সতর্ক। মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরে অফিস করতে দেখা গেছে অনেককে। তবে গ্রহকের মত ব্যাংক কর্মী উপস্থিতিও কম লক্ষ্য করা গেছে।

ব্যাংকার জানান, অন্যান্য দিনের তুলনায় গ্রাহক উপস্থিতি কম। জরুরি কাজ ছাড়া কেউ আসছেন না। যারা আসছেন তারা শুধু নগদ টাকা তুলতেই আসছেন। জমা দেয়ার হার খুবই কম।
এদিকে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। তবে এ সময়ে নগদ লেনদেনের সুবিধার্থে ব্যাংক খোলা রাখার নিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইসরাস

২৫ মার্চ, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ