Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

করোনা ঠেকাতে ভারত থেকে শিক্ষা নিন

অনলাইন প্রেস কনফারেন্সে মান্না

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০২০, ১২:১০ এএম

করোনাভাইরাস থেকে দূরে থাকতে এবং বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে এখনই পুরো দেশ লকডাউন করার আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। গতকাল মঙ্গলবার অনলাইন প্রেস কনফারেন্সে তিনি এ আহ্বান জানান।

ভারত থেকে শিক্ষা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, চীন, ইতালি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা বা ইরান থেকে শিক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। ভারতের ১৯ রাজ্য ও ৮৫টি শহর লকডাউন করা হয়েছে। ভারত থেকে শিক্ষা নিন। পশ্চিমবঙ্গে মাত্র দুইজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য লকডাউন করে দিয়েছেন। ঘোষণা দিয়েছেন আট কোটি মানুষ বিনামূল্যে চাল পাবেন ছয় মাস। আরেক রাজ্য কেরালা তার সকল নাগরিককে বিনামূল্যে খাবার সরবারহের ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া নাগরিকদের জন্য ২০ হাজার কোটি রুপি অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে ছয় লাখ মানুষ বিদেশ থেকে এসেছে। এর মধ্যে চলতি মাসের প্রথম ২০ দিনে এসেছে ২ লাখ ৯৩ হাজার। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক এসেছেন করোনা আক্রান্ত দেশগুলো থেকে।

তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আসার সময় অনেকেই দেশে তাদের সঠিক ঠিকানা দেননি। ফলে পুলিশ তাদের খুঁজে পাচ্ছে না। বিদেশ থেকে এসে এরা বিধিনিষেধ না মেনে ঘোরাঘুরি করে মানুষের মধ্যে করোনা ছড়িয়ে দিয়েছে। ফলে পরিস্থিতি একটা ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেছে তা বলাই যায়।
নাগরিক ঐক্যের এই নেতা বলেন, সরকার ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। অনুমিতভাবেই বহু লোক বাস ও ট্রেনে ঢাকা ছেড়ে যাবে। এ ঘটনা খুব খারাপভাবেই করোনার বিস্তৃতি ঘটাবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে এখনই সারাদেশ লকডাউন করা উচিত। কেবল মাত্র লকডাউনই পারে মরণঘাতী এই করোনাভাইরাস বিস্তার রোধ।

ভারতের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ভারতের ১৯ রাজ্য ও ৮৫টি শহর লকডাউন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন ইরান এবং ইতালিতে করোনাভাইরাস এতো ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে কারণ, তারা সব কিছু দেরিতে বুঝেছে, লকডাউন করেনি এবং ব্যবস্থা নেয়নি। দেশ লকডাউন করলে গরীব মানুষ খাওয়ার অর্থ সংগ্রহে যেকোনো মূল্যে ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করবে। এদের ঘরে আটকে রাখা সম্ভব হবে না। ফলে তারা নানাভাবে করোনা ছড়িয়ে দেবেন। তাই লকডাউনের সময় এ মানুষগুলোর জন্য ন্যুনতম খাবারের ব্যবস্থা করলে এদের জীবন নিশ্চিত হবে এবং করোনাভাইরাস বিস্তাররোধে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে।
দেশ লকডাউনের পর সরকারের করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ তুলে ধরে মান্না বলেন, আগামী তিন মাস দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করা মানুষদের এবং কম আয়ের মানুষদের চাল-ডাল দিতে হবে। গার্মেন্ট মালিকদের সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে। এনজিওগুলোকে বলতে হবে দরিদ্র্য মানুষের কিস্তি জুন মাস পর্যন্ত যেন মওকুফ করে। নির্দিষ্ট আয়ের মানুষকে আগামী তিন মাস গ্যাস-বিদ্যুতের বিল মওকুফ করতে হবে। যেসব লোক বাড়ি ভাড়া দিতে পারবে না, তাদের বাড়িভাড়া বাবদ বাড়ির মালিককে ভর্তুকি দিতে হবে। এটার জন্য একটা নীতিমালা তৈরি করতে হবে দ্রুত। একই সঙ্গে ডাক্তার ও নার্সদের জন্য পিপিই, হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ইক্যুপমেন্ট, আইসোলেশন ইউনিট ও আইসিইউ বাড়ানোর ব্যাপারে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ারও পরামর্শ দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইসরাস

২৫ মার্চ, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ