পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চীনের মহাপ্রাচীর তথা গ্রেট ওয়ালের একটি অংশ পর্যটকদের জন্য পুনরায় খুলে দেয়া হয়েছে। গতকাল অনেককে বেড়াতে দেখা গেছে এই জায়গায়। করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে উতরে ওঠা চীনে ধীরে ধীরে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। এর ধারাবাহিকতায় গ্রেট ওয়ালের ব্যাডালিং অংশ উন্মুক্ত করা হয়েছে। বেইজিয়ের উত্তর-পূর্বে প্রায় ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এটি।
চীনের মহাপ্রাচীরে পর্যটকদের সবচেয়ে জনপ্রিয় অংশ ব্যাডালিং। এর দেয়াল ২৬ ফুট উঁচু ও ১৬ ফুট প্রশস্ত। প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক ভ্রমণপ্রেমী এখানে ঘুরতে আসেন। তবে আপাতত আগের তুলনায় ৩০ শতাংশ দর্শনার্থীকে মহাপ্রাচীরে বেড়ানোর সুযোগ দেবে চীন সরকার।
প্রবেশপত্র পেতে অবশ্যই চীনের উইচ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে ব্যাডালিং গ্রেট ওয়ালের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রথমে টিকিট বুকিং দিতে হবে। এরপর পর্যটকরা প্রাচীরের ফটকে এলে তাদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করবে কর্তৃপক্ষ। তাই নিবন্ধিত হেলথ কিউআর কোড থাকা চাই প্রত্যেকের। এতে আলিপে অথবা উইচ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে আইডি কার্ড সংযুক্ত থাকে। এর মাধ্যমে সবুজ আলো জ্বললে বোঝা যায় দর্শনার্থী সুস্থ।
এছাড়া সবাইকে মাস্ক পরার পাশাপাশি সবসময় একে অপরের কাছ থেকে এক মিটারের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। প্রতিদিন স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা অবধি খোলা থাকবে গ্রেট ওয়াল অব ব্যাডালিং।
অফ-পিক মৌসুমে প্রতিটি প্রবেশপত্রের মূল্য থাকে ৫ ডলার। আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত এই দামে টিকিট বিক্রি করা হবে। ১ এপ্রিল থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত তা বেড়ে হবে ৫ দশমিক ৬৫ ডলার। মেডিক্যাল কর্মী ও সামরিক সদস্যরা বিনামূল্যে প্রবেশপত্র পাবেন। তবে তাদেরও একই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। তবে গ্রেট ওয়ালের অন্যান্য অংশ বন্ধ থাকবে। এছাড়া ব্যাডালিংয়ে ক্যাবল কার ও চায়না গ্রেট ওয়াল মিউজিয়াম আপাতত খুলছে না।
ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত গ্রেট ওয়ালে প্রতিবছর ১ কোটি মানুষ বেড়াতে আসেন। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে গত ২৫ জানুয়ারি থেকে এটি বন্ধ ছিল। বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম চীনের গ্রেট ওয়াল। এর মোট দৈর্ঘ্য ২১ হাজার ১৯৬ কিলোমিটার। চীনের উত্তর সীমান্তকে মঙ্গোলীয়দের হাত থেকে রক্ষার জন্য খ্রিষ্টপূর্ব ২২০-২০৬ সনে চীনের প্রথম সম্রাট কিন শি হুয়াং এটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। অনেকের ধারণা, ১০ লাখ শ্রমিক এতে কাজ করেছিল। তাদের মধ্যে ৩ লাখ শ্রমিক বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায়। মিং যুগেও এই প্রাচীরের অনেকাংশ নির্মাণ হয়। সূত্র : সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।