Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেসরকারি মেডিকেল কলেজের উপর আরোপিত ১৫% কর পরিহার চায় বিপিএমসিএ

প্রাক-বাজেট আলোচনা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০২০, ১:৩০ পিএম

সকল বেসরকারি মেডিকেল কলেজের উপর আরোপিত ১৫ শতাংশ আয়কর রহিত করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ)। এর যৌক্তিকতা হিসেবে বিপিএমসিএ জানিয়েছে, দেশে বিদ্যমান বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা-২০১১ অনুযায়ী সকল বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। ফলে এখান থেকে অর্জিত সকল আয় মেডিকেল কলেজের উন্নয়ন খাতে ব্যয় করা হয়।

রাজধানীর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) ২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাবনা নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিপিএমসিএর প্রাক বাজেট আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে এই প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

বিপিএমসিএর পক্ষে সংগঠনটির সভাপতি এম এ মুবিন খানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল এই প্রাক বাজেট আলোচনায় অংশ নেন। পাঁচ সদস্যের মধ্যে অন্যান্যরা হলেন আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খান, ইস্ট-ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন, গ্রীন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মাইনুল ইসলাম ও ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের চেয়ারম্যান পৃথী চক্রবর্তী।
এ আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ঢাকার সদস্য (মূসক নীতি/শুল্ক নীতি/আয়কর নীতি), প্রথম সচিব (মূসক নীতি/শুল্ক নীতি/আয়কর নীতি), চেয়ারম্যানের ব্যাক্তিগত সহকারী (দ্বিতীয়), সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা প্রমুখ।

এতে বিপিএমসিএর সভাপতি ও ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য সংগঠনটির সুপারিশমালা তুলে ধরেন। এই সুপারিশমালায় আরও রয়েছে, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত যে সব যন্ত্রপাতি ও জীবন রক্ষাকারী ঔষুধ দেশে তৈরি হয় না, ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আমদানি হলে সেক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক রহিতকরণের অনুরোধ। যৌক্তিকতা হিসেবে বলা হয়, এ সুবিধা পেলে আরও কম খরচে বা কিছু ক্ষেত্রে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।

এছাড়া মূল্য সংযোজন কর (মূসক) সংক্রান্ত প্রস্তাবও দেওয়া হয়। সেবা খাতের সকল বাড়ি/অফিস ভাড়ার উপর ৪ শতাংশ হারে মূসক নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়। যৌক্তিকতা হিসেবে তুলে ধরে, এ খাত শ্রম নির্ভর এবং সাধারণ মানুষ সরাসরি সুফল ভোগ করে। আর বেশিরভাগ সেবাখাত ভাড়া করা কার্যালয় হতে পরিচালিত হয়। এছাড়া জনসাধরণের জন্য কর ব্যবস্থা আরও কীভাবে সহজ ও উন্নত করা যায়, এ নিয়েও সুপারিশ করা হয়।

এতে এম এ মুবিন খান বলেন, আমাদের এই প্রস্তাবনা জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, সরকারের ভিশন ২০২১ ও ২০৪১, এসডিজি লক্ষমাত্রা অর্জন, সল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রক্রিয়াসহ স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষা খাতে লক্ষমাত্রা অর্জনে সহায়তা করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাজেট

১৩ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ