পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী। সারাদেশের জেলা শহরসহ থানা এবং মফস্বল এলাকাতেও সেনাবাহিনী নামার খবর পাওয়া গেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লোকসমাগমরোধে সেনাবাহিনীকে মাঠে পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছে দেশবাসী।
ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর কাজের ধরণ আর প্রক্রিয়া নিয়ে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ।
আইএসপিআর পরিচালক বলেন, পরম আস্থা থেকে সেনাবাহিনীকে যে দায়িত্বটা দেওয়া হয়েছে, সেই দায়িত্ব পালনে সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ্য থাকবে, প্রথমে যে বিদেশ থেকে প্রত্যাবর্তন করেছেন, সেই নাগরিকগুলোকে তাদের স্ব স্ব অবস্থান নির্ণয় করে তারা কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গরোধ) আছে কিনা সেইটা নিশ্চিত করা। এটা মূল কাজ।
এরপর করোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্যে যে গৃহীত বা ভবিষ্যতে গৃহীত হবে এরকম সব সরকারি কার্যক্রম যথাযথ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজকে প্রাথমিকভাবে সকল লেভেলের কমান্ডাররা একটা পর্যবেক্ষণে বের হবেন এবং সমন্বয় সাধন করবেন। তার জন্য আমাদের যে সব এরিয়াগুলো আছে যেমন, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রামু, বগুড়া, যশোর -সেখানে তাদের লেভেলে তারা সব ধরনের সমন্বয় করবেন।
তিনি বলেন, এই সমন্বয়ের জন্য তারা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে যাবেন। জেলা প্রশাসকের কাছে যাবেন, পুলিশ প্রশাসনের কাছে যাবেন। সিভিল সার্জনের কাছে যাবেন। এবং তাদের যে দল, সেই দলে কিন্তু উপযুক্ত পর্যায়ের ডাক্তারও থাকবে, আমাদের সেনাবাহিনীর যেসকল ডাক্তার আছেন, তারাও থাকবেন।
আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা যেটা করব, সেটা হচ্ছে একটা সমন্বিত কার্যকরী পরিকল্পনা গ্রহণ করা। এই সমন্বিত কার্যকরী পরিকল্পনায় কিছু জিনিস আমরা বিবেচনা করব। জেলা পর্যায়ে অলরেডি তারা করোনা পরিস্থিতির ওপরে অ্যাসেসমেন্ট করেছেন। তারা একটা প্রস্তুতি নিয়েছেন। সেই অ্যাসেসমেন্ট এবং প্রস্তুতির মধ্যে কোন জায়গাটায় সশস্ত্র বাহিনী, সেনাবাহিনী বা নৌবাহিনী কীভাবে ফিটিং হবে, কীভাবে তাদের সহায়তা প্রদান করবে-সেটা আমরা চিহ্নিত করব এবং নিশ্চিত করব।
এ ছাড়া এক মাস আগে দেশে ফেরা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে এক মাস আগে যারা এসেছে, তাদের চিহ্নিত করব। তারপরে যেটা করব, যেখানে সেলফ কোয়ারেন্টিনের জন্য যাদের নির্বাচন করেছেন জেলা পর্যায়ে তাদের পরিসংখ্যান নেব। তারপর তারা কি সেলফ কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে পেরেছেন কিনা বা তাদের যে মনিটরিং আছে-সেটা কতটুকু কার্যকরী এবং তা আমাদের অ্যাসেসমেন্টের সঙ্গে মিলিয়ে দেখব।
সারাদেশের জেলা শহর থেকে শুরু করে মফস্বল এলাকাগুলোতে এখনও বহু বিদেশফেরত হোম কোয়ারেন্টাইান না মেনে অবাধে চলাফেরা করছেন। তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার জন্য সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী অনেকেই। বগুড়া জেলার আদমদীঘি থানার নিমাইদীঘি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সালাম সকালে টেলিফোনে জানান, সকালেই সেনাবাহিনীর দুটি গাড়ি ইউনিয়ন অফিসে এসে এলাকার কোন কোন বাড়িতে বিদেশফেরত আছেন তার খোঁজ খবর নিয়েছে। বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তৎপরতাও বেড়ে গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।