পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনা মোকাবিলায় কোনও ধরণের সরঞ্জাম নেই এটা বলা যাবে না, তবে ঘাটতি আছে। সংগ্রহ করার জন্য উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
গতকাল সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যুতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনার প্রকোপ কমাতে প্রয়োজন হলে বাস চলাচল বন্ধ করা হবে। বাস্তবতাকে অস্বীকার বা এড়িয়ে কিছু করা হবে না। যখন যে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, সে বিষয়ে শেখ হাসিনা সরকার প্রস্তুত আছে। জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে কাদের বলেন, জনপ্রতিনিধিরা করোনাভাইরাসের বিষয়ে স্থানীয়দের সতর্ক করুন। কারও মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জানান। তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের সব অনুষ্ঠান বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশের জনগণের মধ্যে করোনা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। সঠিক তথ্য দিয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে। সঠিক তথ্য দিয়ে আতঙ্ক দূর করতে হবে। জনসমাগম হতে পারে এমন কর্মসূচি পরিহার করতে হবে। ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও শহর পর্যায়ে প্রবাসীদের খুঁজে বের করতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। এ যুদ্ধ জয়ের স্বার্থে সরকারের কিছু কৌশল আছে। অনেকে বলছে, তিনমাস সময় পেলেও ব্যবস্থা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করেনি এবং তথ্য গোপনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, তথ্য গোপন করে তো আমি যুদ্ধে জেতার আগেই হেরে যাচ্ছি, তথ্য কেন গোপন করবো? সরকারের কিছু কৌশলগত বিষয় আছে। কৌশলগত বিষয়টা চায়নাকেও অবলম্বন করতে হয়েছে। কাজেই এসব কিছু কিছু আছে সেগুলো প্রয়োজনে বলা যায় না।
তিনি বলেন, সরকারের একমাত্র মনোযোগ অভিন্ন শত্রু করোনা এবং সরকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই যুদ্ধে সামিল হতে গোটা জাতিকে আহ্বান জানাই। আমি একটা কথা বলছি- যখন যে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সেই ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে শেখ হাসিনা সরকার প্রস্তুত আছে।
যেখানে চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জমাদি-পিপিই নেই, সেখানে সরকারের প্রতি আস্থা কীভাবে রাখবেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সেতুমন্ত্রী বলেন, নেই এ কথাটা ঠিক নয়। কিছু ঘাটতি আছে। এটা সংগ্রহ করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আক্রান্তদের সবাই পরীক্ষা করতে পারছে না- এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কাদের বলেন, এখানে প্রাথমিকভাবে কিছু দুর্বলতা ছিল সেগুলো কাটিয়ে উঠার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে এবং টেস্টের ক্যাপাসিটি বাড়ানোর জন্য সরকার জোরদার প্রস্তুতি শুরু করেছে। চীনের অভিজ্ঞতা দেখার পরও কেন লকডাউন করা হল না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, উম্মুক্ত করে রাখা হয়নি। যেখানে প্রয়োজন হচ্ছে সেখানে লকডাউন করা হচ্ছে। যানবাহন চলাচলের বিষয়ে মন্ত্রী ট্রিপের আগে ও পরে যানবাহন যেন জীবানুমুক্ত করতে মালিকদের প্রতি আহবান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।