পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাস্তা ফাঁকা। গণপরিবহন কম। যাত্রীও কম। কয়েকদিন ধরেই রাজধানীতে এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। তবে ব্যতিক্রম ব্যস্ত এলাকাগুলো। সেখানে কোনোভাবেই ভিড় কমছে না। গুলিস্তান, পল্টন, জিপিও, দৈনিক বাংলা মোড়, মতিঝিল শাপলা চত্বরে দেখা গেছে শত শত মানুষ কেনাকাটায় ব্যস্ত। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনো ভয় যেন নেই তাদের মনে। এর বাইরে রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন তিনশ’ ফুট সড়কের কয়েকটি স্পটে ফাস্ট ফুড ও ফুসকার দোকানগুলোতে ভিড় লেগেই থাকতো। এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে লোকসমাগমরোধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং পুলিশের সামনেই দেদারছে চলেছে বেচাকেনা। শেষ পর্যন্ত লোকসমাগমরোধে আজ থেকে সেনাবাহিনী নামছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধারণ মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছেন। গতকাল রাতে ইনকিলাবকে কয়েকজন বলেন, সেনাবাহিনী ছাড়া লোকসমাগম রোধ করা এতোদিন যখন সম্ভব হয় নি, তখন এটা কোনোভাবেই রোধ করা যেত না।
রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে লোকসমাগম বন্ধ করার জন্য গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তাতে পুরো রাজধানীজুড়েই কমে যায় মানুষের পদচারণা। বিশেষ করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মূল সড়কগুলোতে যাত্রী ও গণপরিবহনের সংখা ছিল কম। গতকাল সোমবারও এর ব্যতিক্রম ছিল না। যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তায় গিয়ে দেখা গেছে, গাজীপুরগামী বলাকা পরিবহনের দুটি বাস দাঁড়িয়ে আছে। বাসে বসা দুজন যাত্রী। কখন বাস ছাড়বে জানেন না যাত্রীরা। একজন বলেন, সেই কখন থেকে বসে আছি। যাত্রী হচ্ছে না বলে বাস ছাড়ছে না। ওই বাসের হেলপার শহীদ বলেন, সকাল থেকে এভাবেই চলছি। যাত্রী মিলছে না। হেলপার বলেন, এই ট্রিপ গাজীপুরে গিয়ে শেষ। প্রাদুর্ভাবে ছড়িয়ে পড়লেও রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় লোকসমাগম কোনোভাবেই যেন রোধ করা যাচ্ছিল না। মতিঝিল শাপলা চত্ত্বরে ফুটপাতে কেনাকাটার করার শত শত মানুষ দেখা গেলেও বাস স্টপেজে কোনো যাত্রী ছিল না। কর্তব্যরত একজন ট্রাফিক পুলিশ জানান, অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ গণপরিবহন ও যাত্রী দুটোই কম। তবে ব্যতিক্রম শাপলা চত্ত্বরের ফুটপাত। শত শত মানুষ ভিড় ঠেলে কেনাকাটায় ব্যস্ত। গুলিস্তান এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে একই চিত্র। হাজার হাজার মানুষ কেনাকাটায় ব্যস্ত। একজন হকার জানান, অনেকেই বাড়ি চলে যাবেন বলে কেনাকাটা করতে এসেছেন। সে কারণে ভিড় একটু বেশি। পল্টন মোড়, বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনেও দেখা গেছে শত শত মানুষ ভিড় ঠেলে কেনাকাটা করছে।
এদিকে, রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন বারিধারার অদূরে তিনশ’ ফুট সড়কের কয়েকটি স্পটে ফাস্টফুডের দোকানে প্রতিদিন ভিড় লেগে থাকতো। গতকাল সোমাবার দুপুরের পর থেকে বিক্রেতারা রীতিমতো তাদের পসরা সেজে বসেছিল। বিকালে সরকারি অফিস আদালত বন্ধ ঘোষণা ও লোকসমাগমবন্ধে সেনাবাহিনী নামার ঘোষণার পর পরই পাল্টে যায় দৃশ্যপট। পুলিশ এসে সবগুলো দোকান বন্ধ করে দেয়। জানতে চাইলে একজন দোকানদার বলেন, পুলিশকে টাকা দিয়েই সড়কের পাশে তারা ব্যবসা করে আসছিলেন। করোনার ভয়ে গত কয়েকদিন ধরে ক্রেতা একটু কম ছিল। তাই বলে ব্যবসা মন্দা যায় নি।
রাজধানীর অভিজাত এলাকা উত্তরার অলিগলিতে ফাস্টফুডের দোকানকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই লোকসমাগম হয়েছে এতোদিন। এ নিয়ে এলাকার বাসিন্দারা ছিলেন খুবই উদ্বিগ্ন।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার দনিয়া বর্ণমালা স্কুল রোডেও গত কয়েকদিন ধরেই লোকসমাগম বেড়েই চলছিল। গোয়ালবাড়ী মোড় থেকে বর্ণমালা স্কুল পর্যন্ত রাস্তা দখল করে গড়ে ওঠা দোকানগুলোতে ফাস্টফুড খেতে প্রতিদিন বিকালে আসতো তরুণ-তরুণী ও শিক্ষার্থীরা। তাদের ভিড়ে এলাকার মানুষ আতঙ্কিত ছিল। এ নিয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় কয়েকজন অভিযোগ করার পরেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। দনিয়া এলাকার এক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, বিকালের পর মানুষের ভিড়ে এখানে চলা যায় না। শত শত দোকান আর রাস্তার উপর ভ্যানগাড়ির চাপে একটা অস্বস্তিকর পরিবেশ। পুলিশকে বার বার বলার পরেও কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় আমরা আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম। এখন সেনাবাহিনী নামার খবরে গতকাল বিকালের পর থেকে সব ফাঁকা হয়ে গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।