বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনাভাইরাস সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় বিরূপ প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম ২০-৩০%-এর বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে কয়েক লাখ মানুষ ঘরে ফিরে এসেছেন। প্রতিদিন শুধু ঢাকা থেকে অর্ধ শতাধিক বড় মাপের নৌযানে দেড় লক্ষাধিক মানুষ নিজ ভিটায় ফিরছেন। সড়ক পথেও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঘরে ফিরছেন।
অনেক শ্রমজীবী ও কর্মজীবী মানুষ প্রাণ ভয়ে নিজ ভিটায় ফিরে এলেও তাদের বেশিরভাগের আর্থিক সংগতি সীমিত। এরা সংসারে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। ফলে বাড়তি চাপ পড়তে শুরু করেছে আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায়। সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্যেই করোনার বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। পরিবহন ব্যবসার অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। তবে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যেও দক্ষিণাঞ্চলে এনজিওগুলো তাদের কিস্তি আদায় বন্ধ বা কোন ছাড় দিচ্ছে না।
সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলেই অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। বরিশাল মহানগরীর রাস্তাঘাটও সপ্তাহের প্রথম দুই কর্ম দিবসে অনেকটাই ফাঁকা দেখা গেছে। নগরীর বেশিরভাগ পথ খাবারের দোকান ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। এদের বেশিরভাগই ক্রেতার অভাবে ব্যবসা গুটিয়েছেন গত তিন-চার দিনে। প্রশাসন থেকেও রাস্তার পাশের খাবার দোকানগুলো সরিয়ে নিতে প্রচারনা চালানো হচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের জেলা ও উপজেলা সদরগুলোতে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক বার্তাও প্রচার করা হচ্ছে।
বিদেশ ফেরতদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যেও সচেতনতা বেড়েছে। গতকাল সকাল পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে দুই হাজার জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। যা প্রতিদিনই বাড়ছে। তবে দায়িত্বশীল সূত্রের মতে, গত এক মাসে দক্ষিণাঞ্চলে চীন, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে অন্তত দশ হাজার মানুষ বাড়ি ফিরেছেন।
এদিকে, বরগুনা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনার লক্ষণ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীর রক্তের নমুনা ঢাকায় আইইডিসিআরে পরীক্ষার পরে নেগেটিভ আসায় তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত সপ্তাহে অনুরূপ দুজনকে ভর্তি করা হলেও তাদের রক্তে করোনার কোন লক্ষণ না মেলার পাশাপাশি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন তারা।
তবে দক্ষিণাঞ্চলে করোনা বেশি বিরূপ প্রভাব ফেলছে আর্থ-সামাজিক অবস্থায়। প্রতিটি ব্যবসা-বাণিজ্যে এখন ভাটির টান। এ অবস্থা মোকাবেলায় ঢালাওভাবে গ্রামে ফিরে আসা পরিহারের পাশাপাশি শ্রমজীবী ও কর্মজীবীদের কর্মসংস্থানসহ তাদের মজুরির বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া দরকার। পাশাপাশি পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত অবিলম্বে এনজিওগুলোর কিস্তি আদায় স্থগিতের সরকারি নির্দেশনা প্রয়োজন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কিস্তির টাকা আদায়কারী এনজিও কর্মীদেরও স্বাস্থ্য ঝুঁকিও রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।