Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

কুষ্টিয়ায় প্রবাসীর বাড়িতে লাল পতাকা টাঙাচ্ছে পুলিশ

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০২০, ৫:১৫ পিএম

কুষ্টিয়া জেলার ছয় উপজেলায় গত ১ মার্চ থেকে ১১৩৯ জন প্রবাসী তাদের গ্রামের বাড়িতে এসেছেন। এদের মধ্যে ৭ মার্চ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত বিদেশ থেকে আসা ৭১৩ জনকে শনাক্ত করে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো তালিকা অনুযায়ী জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় প্রত্যেক থানার ওসিরা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের নিয়ে কাজ করেছে। পুলিশ বিদেশফেরৎ এসব ব্যক্তিকে শনাক্ত করে ওই সব বাড়ির সামনে লাল নিশানা টাঙিয়ে দিচ্ছে। বাড়ির ফটকের সামনে প্রবাসীর দেশে আসার তারিখ লিখে স্টিকার সেটে দেওয়া হচ্ছে, সেইসঙ্গে প্রবাসীর হাতে সিল লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী এসেছে দৌলতপুর উপজেলায় ৩৯৮ জন ও ভেড়ামারা উপজেলায় ২৭০ জন। এদের মধ্যে ইতালি, সিঙ্গাপুর, দুবাই, সৌদি আরব ও দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী বেশি। তারা বাড়ি আসার পর বিভিন্ন সময় এলোমেলোভাবে ঘোরাফেরা করেছেন।তালিকা পাওয়ার পর পুলিশ জোরালো অভিযান চালায়। কর্মসূচি নিয়ে গ্রামে গ্রামে গিয়ে বাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছে। চিহ্নিত বাড়ির প্রবাসীকে নজরে রাখা হয়েছে।

একজন আনসার সদস্য ও একজন গ্রাম পুলিশ প্রত্যেক প্রবাসীর বাড়িতে দিনে দুইবার খোঁজ নিচ্ছে। ওই প্রবাসীর প্রতিবেশীদের মাধ্যমে তাদের গতিবিধি নজরে রাখা হচ্ছে। ঘরের বাইরে বের হলেই তাকে মোটা অংকের জরিমানা করা হচ্ছে। এছাড়া এলাকাবাসীকে নজরে রাখার জন্য বলা হয়েছে।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আরিফুর রহমান বলেন, এ উপজেলায় প্রবাসীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। চরাঞ্চলেও প্রবাসী আছে। তাদের প্রত্যেকের বাড়িতে লাল নিশানা টাঙানো হয়েছে। নিয়মিত সকাল বিকেল খোঁজ নেয়া হচ্ছে।

পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, প্রবাসীদের কড়া নজরে রাখা হয়েছে। তারা যাতে ঘরের বাইরে ১৪ দিন বের না হতে পারে সে ব্যাপারে পুলিশ সজাগ রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সবাই সুস্থ আছে। সিভিল সার্জনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ১৪ দিন হয়ে গেলে পর্যায়ক্রমে তাদের স্বাভাবিক জীবনে চলার অনুমতি দেয়া হবে।

জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জেলা প্রশাসন একটি কমিটি গঠন করে আটটি কৌশল গ্রহণ করেছে। সেগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এরমধ্যে লকডাউনের বিষয়ও আছে। যদি কোনো এলাকা লকডাউন করা লাগে সেক্ষেত্রে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ওষুধপত্র কিভাবে পৌঁছাবে ও কী করণীয় সে ব্যাপারেও প্রস্তুতি রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ