পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস সংক্রমন ও প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে রোববার বিকেলে গাইবান্ধা শহরের কেন্দ্রস্থলে শহীদ মিনার সংলগ্ন জনবহুল পৌর পার্ক অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছেন পৌর মেয়র অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন। ফলে পৌর পার্কে যাওয়া থেকে জনগণকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং পৌর পার্কের সকল দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ লকডাউন অনির্দিষ্টকালের জন্য অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে শহরের খাঁপাড়ায় আমেরিকা প্রবাসী জনৈক গৃহবধু প্রতিমা সরকার ও তার সন্তান বাংলাদেশে বেড়াতে এসে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তাদের শরীরে করোনাভাইরাস পজেটিভ প্রমাণিত হয়। ফলে তাদেরকে নিজ বাড়িতে পুলিশ প্রহরায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
অপরদিকে সাদুল্যাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নবীনেওয়াজ স্বাক্ষরিত ২২ মার্চের এক পত্রে সাদুল্যাপুর রোববার উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নে হবিবুলাপুর গ্রামে কাজল মন্ডল পিতা শচিন্দ্র নাথ মন্ডলের বোনের বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারি দু’জন আমেরিকা প্রবাসী আত্মীয় করোনা পজেটিভ হিসাবে শনাক্ত হয়েছেন। অনুষ্ঠানে প্রায় পাঁচশ লোক দাওয়াতপ্রাপ্ত হয়ে উপস্থিত ছিলেন। এ অবস্থায় ভাইরাসটি দ্রæত সংক্রমণ ঘটতে পারে মর্মে আশঙ্কা থাকায় উপজেলার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে সাদুল্যাপুর উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে সাদুল্যাপুর উপজেলাকে ‘লকডাউন’ এর সিদ্ধান্ত গ্রহন করে মর্মে পত্রে উল্লেখ করা হয়। এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে পত্রটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরিত হয়।
সাদুল্যাপুর উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহিনুর ইসলাম জানান, সাদুল্যাপুর উপজেলার হবিবুলাপুর গ্রামের কাজল চন্দ্র মন্ডলের বোনের বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণে তার বাড়িতে আমেরিকা প্রবাসী দু’জন আত্মীয় (যাদের গাইবান্ধা শহরের খাঁ পাড়ায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে) কাজল চন্দ্র মন্ডলের বাড়িতে ১১ ও ১২ মার্চ অবস্থান করে ১৩ মার্চ বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ খেয়ে গাইবান্ধা শহরের খাঁ পাড়ায় নিজ বাড়িতে চলে যায়। তিনি আরও জানান, পরে তাদের দু’জনের নমুনা ঢাকায় রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়। রোববার ঢাকা আইইডিসিআর থেকে জানানো হয়, ওই দু’জনের নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ বলেন, সাদুল্যাপুরের হবিবুলাপুরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত পজেটিভ কোন রোগী শনাক্ত হয়েছে এ মর্মে কোন তথ্য নেই। সুতরাং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নবীনেওয়াজ স্বাক্ষরিত উল্লেখিত বিষয়টি সঠিক নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন এবং গুজবে কান না দেয়ার জন্য তিনি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মতিন জানান, সাদুল্যাপুর উপজেলার ওই গ্রামে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এ মর্মে কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। সুতরাং লকডাউন করার কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। প্রকৃতপক্ষে হবিবুলাপুর গ্রামে সন্দেহভাজনদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। সাদুল্যাপুর উপজেলাকে লক ডাউন করার সিদ্ধাšট সঠিক নয় উল্লেখ করে এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে কারণ দর্শাও নোটিশ জারি করা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সে সাথে কোন গুজব না ছড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।