পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা প্রাদুর্ভাব উত্তরণে জরুরি অবস্থা নয়, বরং জরুরি চিকিৎসা ও সেবা নিশ্চিতের আহবান জানিয়েছেন সমমনা ইসলামী রাজনৈতিক দলসমূহের মুখপাত্র ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।
গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস বিশ্বের নানাপ্রান্তে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করার পর পর্যাপ্ত সময় পেয়েও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে সরকার যেমন ব্যর্থ হয়েছে, তেমনি এই সঙ্কট উত্তরণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও প্রস্তুতি গ্রহণে চরম উদাসীনতার পরিচয় দিয়ে চলেছে।
তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে বিপুল প্রবাসী দেশে প্রবেশ করেছে, কিন্তু বিমানবন্দরে যথাযথ স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ব্যাপক গাফিলতি চোখে পড়েছে। ভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য পর্যাপ্ত কিট সংগ্রহ, জেলা পর্যায়ে পরীক্ষাগার স্থাপন, স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা সরঞ্জাম, হাসপাতাল ও পরীক্ষাগারের মত অবকাঠামোগুলোতে প্রয়োজনীয়া প্রস্তুতি দেখা যায়নি। কিছু মন্ত্রীর অসংলগ্ন কথাবার্তায় একদিকে আত্মম্ভরিতার যেমন প্রকাশ ঘটেছে, অন্যদিকে সরকারের প্রস্তুতিহীনতা জনমনে আতঙ্ক ও আস্থাহীনতার জন্ম দিয়েছে।
আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরী হল, রাজনৈতিক ও সামাজিক সমঝোতা এবং মতৈক্যের মাধ্যমে সমন্বিত ও সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ।
তিনি বলেন, যথাসম্ভব দ্রুত রোগী শনাক্ত করার জন্য পর্যাপ্ত টেস্ট কিট আমদানি ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পরীক্ষাকেন্দ্র সম্প্রসারণ করতে হবে। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং আইনশৃঙ্খলা ও প্রতিরক্ষাবাহীনির সদস্যদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম জরুরিভিত্তিতে আমদানি ও দেশে উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়ে দ্উততম সময়ে সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে সশস্ত্রবাহিনীর চিকিৎসা ইউনিটগুলো এবং স্থাপনাসমূহ কাজে লাগানো যেতে পারে। ফিল্ড হাসপাতাল তৈরির মত পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন হলে, তাদেরকে সেই দায়িত্বও দেয়া যেতে পারে। পাশাপাশি কর্মহীন শ্রমিক, দিনমজুর ও বস্তিবাসীর জন্য বিশেষ ভাতা ও ত্রাণের ব্যবস্থা করতে হবে।
আল্লামা কাসেমী আরো বলেন, বিশেষ গুটি কয়েক মহল করোনা প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতি উত্তরণে দেশে জরুরী অবস্থা জারির কথা বলছেন। কিন্তু কোন অবস্থাতেই করোনার অজুহাতে জরুরী অবস্থা জারি করা যাবে না। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব উত্তরণে রাষ্ট্রীয় জরুরী অবস্থা নয়, বরং দেশব্যাপী জরুরী চিকিৎসা ও সেবা ব্যবস্থা নিশ্চিত করাই প্রয়োজন।
আল্লামা কাসেমী করোনা দুর্যোগের এই সময়ে জাতীয় ঐক্যের আহবান জানিয়ে বলেন, এখন বিভক্তি নয়। বরং এই বিপদে আমাদের সকলকে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে মানবিকতার জায়গায় দাঁড়াতে হবে। সবসময় পাকপবিত্র ও শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে।
পাপকর্ম ও অন্যায়কর্ম পরিহার করে খাঁটি মনে তাওবা করে ইবাদত-বন্দেগীতে অধিক মনোনিবেশ করতে হবে এবং আগামীতে সৎ ও স্বচ্ছ জীবন-যাপনের অঙ্গীকার করে আল্লাহর সাহায্য কামনা করে দোয়া-মুনাজাতে শরীক থাকতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।