পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে সিটি ব্যাংক। ব্যাংকটি বিশেষ কমিটি গঠন করে সারা দেশে ব্যাংকের শাখাগুলো মনিটরিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। গুলশানে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে থার্মাল স্ক্যানারে সবার শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। হাত হাইজেনিক করার জন্য পর্যাপ্ত স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো ভবনের দরজা ও হ্যান্ডেল হাইজেনিক রাখতে নতুন করে ওয়াশ করা হচ্ছে। রোববার (২২ মার্চ) ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সিটি ব্যাংকের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা মির্জা ইয়াহিয়া জানান, করোনাভাইরাসের কারণে দেশে নতুন এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু অন্ন-বস্ত্রের মতো মৌলিক চাহিদা তো পূরণ করতেই হবে। তাই লেনদেন চালু থাকবে। জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান, আমরা যারা ব্যাংকিং সেক্টরে আছি তাদের কর্মকা- থামানোর উপায় নেই। কিন্তু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতেই হবে। এ বিষয়ে সিটি ব্যাংক বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি জানান, সম্প্রতি করোনা মোকাবেলায় সভা করেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিন। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে তিনি একটি বিশেষ কমিটি করে দেন। এর মাধ্যমে সিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ সারাদেশে ব্যাংকের সব শাখা মনিটর করা হবে।
করোনা প্রতিরোধের পদক্ষেপ হিসেবে এরইমধ্যে রাজধানীর গুলশানে সিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে থার্মাল স্ক্যানারে সবার শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। হাত হাইজেনিক করার জন্য পর্যাপ্ত স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো ভবনের দরজা ও হ্যান্ডেল হাইজেনিক রাখতে নতুন করে ওয়াশ করা হচ্ছে বলে জানান এই জনসংযোগ কর্মকর্তা।
তিনি আরও জানান, সিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আপাতত গেস্ট আসা বন্ধ রাখা হয়েছে। ফোনে ও ভিডিওকলে তাদের সঙ্গে কাজ সারতে হবে। একান্তই যদি কাউকে অফিসে আনতে হয়, তবে তার শারিরীক পরিস্থিতি সতর্কতার সঙ্গে যাচাই করা হবে।
অন্যদিকে সিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ সারাদেশের সমস্ত শাখা অফিসে ফিঙ্গার ইমপ্রেশন সিস্টেম হাজিরা ইনেকটিভ করে, আইডি-কার্ড বেসড হাজিরা চালু করা হয়েছে। ক্যাশ, ফ্রন্ট ডেস্ক ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সব কর্মীর মুখে মাস্ক থাকতে হবে।
তাদের সবাইকে গ্লাভস পরে কাজ করতে হবে। সবিমিলিয়ে সিটি ব্যাংক পরিবার তাদের সব স্তরের কর্মী ও গ্রাহকের সুরক্ষায় শতভাগ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা সবাই এতে সংশ্লিষ্টদের সহায়তা করবো।
ব্যাংক থেকে জানানো হয়েছে, এই সময় নগদ টাকা ব্যবহারের চেয়ে কার্ডে লেনদেন তুলনামূলক ভালো। সিটি ব্যাংকের কার্ড ব্যবহারকারীরা এ বিষয়েও জোর দেবেন। সবাই সতর্ক থাকলে করোনাভাইরাস অবশ্যই একটা সময় পরাজিত হবে। এজন্য আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে হবে। হাইজেনিক থাকতে হবে সবাইকে।
জরুরি পরিস্থিতিতে কীভাবে সিটি ব্যাংক কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া যায়, তার প্রস্তুতি নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ব্যাংকটি কর্মীদের দুই ভাগে ভাগ করেছে। একটি দল অফিস করছে, আরেকটি দল ছুটিতে থাকছে অথবা বাসায় থেকে কাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।