বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনার জন্য থমকে গেছে গোটা বিশ্ব। ভয়াবহ এ পরিস্থিতির মধ্যেই আজ (শনিবার) ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩, বাগেরহাট-৪ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে বারবার জনসমাগমের ওপর বিধিনিষেধ করা হলেও এরই মাঝে এই তিন আসনের নির্বাচন থেকে পিছপা হয়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে নেটিজেনরা।
সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ তার ফেইসবুক প্রোফাইলে নির্বাচন নিয়ে ইসি দেয়া বক্তব্যের স্ক্রিনশর্ট প্রকাশ করে ক্যাপশনে লিখেন, ‘গত কয়েকবছরে ভোটের পরে ভোটার উপস্থিতি কম কেন- এমন প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে ইসি জেরবার। নতুন নতুন কারণ আবিস্কার সম্ভব হলেও জনগণের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হয় না। তাই জনগণের ভোট দিতে না যাওয়ার কারণ বলার এমন গ্রহণযোগ্য মওকা ইসি কিভাবে হাতছাড়া করে? আমি অবশ্য ভোট পেছানোর পক্ষে না। জনগণ যেখানে ভোট দিতেই যায় না সেখানে ভোট পিছিয়ে জনগণের টাকা খরচের কোনো মানেই হয় না।’
‘..............র দল... সারা বিশ্বে যেখানে জরুরী অবস্থায় ও লক ডাউনে, সেখানে গোপাল ভাঁড়ের দেশে নির্বাচন করছে!’ - ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেন মুস্তাফিজুর রহমান সুমন।
আসাদ রাজিব লিখেন, ‘গোটা বিশ্বে একটি মাত্র দেশে একটি মাত্র সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান আছে, যেখানে প্রতিনিয়ত অভূতপূর্ব সব সার্কাস মঞ্চায়িত হয়। যেখানে সার্কাস পরিচালনায় আছে সাংবিধানিক সব ব্যক্তিবর্গ। এদের একেকদিনের সার্কাস পুর্বের সব রোমাঞ্চকে ছাড়িয়ে যায়, প্রত্যেকটি দৃশ্য হয়ে উঠে অভূতপূর্ব। দর্শকেরা শুধু অবাক হয়ে চোখ স্থির করে দেখে, সার্কাসের বাস্তবতা বিশ্বাস করতে পারে না, দ্বিধান্বিত হয়ে যায়—স্বপ্ন, সার্কাস না বাস্তবতা দেখছি। ধন্যবাদ নির্বাচন কমিশনকে এমন সার্কাস উপহার দেয়ার জন্য। প্রত্যেকটি নির্বাচনের (সার্কাসের) বৈশিষ্ট-বর্ণনা আশ্চর্যজনকভাবে পুর্বেরটাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।’
‘সিইসিকে নিয়ে কিছু লিখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু যেসব শব্দ মাথায় আসে, তা লেখার অযোগ্য। তাই লিখলাম না।’ - মোরশেদুল আলম চৌধুরীর মন্তব্য।
শামসুজ্জামান নাঈম লিখেন, ‘আহা- করোনার প্রভাবে স্কুল, কলেজ, উপাসনালয় বন্ধ হয়, ....র সিইসি পরিচালিত নির্বাচন বন্ধ হয় না।’
শহিদুল ইসলাম রিন্টুর প্রশ্ন, ‘করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে যেখানে গ্রামের বিয়ের অনুষ্ঠানে বাঁধা দেওয়া হয় সেখানে নির্বাচন হয় কিভাবে?’
জাহিদ হাসান লিখেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন বলবে, নির্বাচন অবাধ সুন্দর এবং সুস্থ হয়েছে। করোনা ভাইরাস নির্বাচনের উপর কোন প্রকার প্রভাব ফেলতে পারে নি। আওয়ামী লীগ বলবে, খুব শান্তিপূর্ণ নির্বাচন জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। বিএনপি বলবে, ‘অবৈধ' সরকারের অধীনে এই নির্বাচন মানি না মানবো না। আমার মত সাধারন জনগন বলবে, এই মিরাক্কেল আর ভালো লাগে না।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।