Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

হে আল্লাহ! করোনা মহামারী থেকে হেফাজত করুন

সারাদেশে মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের কান্নার রোল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

হে আল্লাহ! করোনাভাইরাস মহামারী থেকে আমাদেরকে হেফাজত করুন। হে আল্লাহ! আমাদের পাপের কারণে মসজিদের নামাজের জামাত থেকে বঞ্চিত করো না। হে আল্লাহ! আমাদের ও মুসলিম উম্মাহকে সব ধরনের মহামারী ও দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে হেফাজত করুন। হে আল্লাহ! আমাদের তাওবা কবুল করুন। তুমি ছাড়া আমাদের ফরিয়াদ শোনার আর কেউ নেই। হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া আর কে আছে ? যার কাছে আমারা সাহায্য চাইবো?

গতকাল শুক্রবার বাদজুমা রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ সারাদেশে মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়ায় কায়মনোবাক্যে এসব কথা উচ্চারণ করতে গিয়ে মুসল্লিদের মাঝে কান্নার রোল পড়ে যায়। জুমার নামাজের পূর্বে বায়তুল মোকাররমের উত্তর ও দক্ষিণ গেইট মুসল্লীদের মধ্যে খেলাফত মজলিসের পক্ষে থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও করেনাভাইরাস সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া সারাদেশের বিভিন্ন মসজিদে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

মসজিদের ইমাম ও খতীবরা মহান আল্লাহপাকের কাছে রোনাজারি করে বলেন, করোনাভাইরাসের গজব থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীকে মুক্তি দাও। তোমার এ গজব আমরা সহ্য করতে পারবো না। হে ক্ষমাশীল রব! তুমি তো দয়ার সাগর। তোমার রহমত থেকে আমাদেরকে নিরাশ করো না। বাদজুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে করোনাভাইরাস মহামারী থেকে হেফাজতের জন্য মোনাজাত পরিচালনা করেন মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি এহসানুল হক।

খেলাফত মজলিস : খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সবাইকে স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে । একইসাথে আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে হবে। অন্যায়, অত্যাচার, অনাচার, পাপাচার পরিহার করে সবাইকে তাওবাহ ইস্তিগফার করেত হবে।

গতকাল বাদজুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে দেশ জাতি ও বিশ^বাসীর মুক্তি কামনায় খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরীর বিশেষ দোয়ার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগরী সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আজীজুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নেতা মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, আমীর আলী হাওলাদার, হাজী নূর হোসেন ও তাওহিদুল ইসলাম তুহিন। বৈশি^ক মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে দেশ জাতি ও বিশ^বাসীর মুক্তি কমনায় দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন।

খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশ : করোনাভাইরাস বাংলাদেশেও দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে জন সচেতনতা বৃদ্ধি এবং চিকিৎসার জন্য সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মুহতামিম ও খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশ-এর আমীর আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস যেভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে তাতে দেশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক এবং ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উচিত দেশের জনগণকে দিক নির্দেশনামূলক ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধক ঔষধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার বিষয়ে অবগত করে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেয়া।

মুফতি রুহুল আমীন বলেন, ইতোপূর্বে দেখা গেছে, কোনো সঙ্কটাপন্ন অবস্থার সৃষ্টি হলে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে যেন এমন কোনো অবস্থার সৃষ্টি না হয় সে বিষয়েও প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বর্তমান পরিস্থিতিতে সমাজের বিত্তবানদের গরীব অসহায় মানুষে সহযোগিতায় তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। দেশের মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ মেনে চলা এবং বেশি বেশি তাওবা, ইস্তেগফার ও দোয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ জনসেবা আন্দোলন : বাংলাদেশ জনসেবা আন্দোলনের চেয়ারম্যান মুফতি ফখরুল ইসলাম বলেছেন, করোনাভাইরাসের মোকাবেলা নয় সকল পাপের কাজ বন্ধ করে দিয়ে মহান আল্লাহ তাআলার করুণা প্রার্থনা করতে হবে। রাজধানীর মোড়ে মোড়ে যত মূর্তি রয়েছে সকল মূর্তিগুলো ঢেকে দিন। টিভি চ্যানেলগুলোতে গান বাজনাসহ সকল অশ্লীল প্রদর্শনী বন্ধ করুন।

তিনি বলেন, জনগণ যেন কোন প্রকার পাপ করতে না পারে সরকারিভাবে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। সকল মসজিদে মসজিদে আল্লাহর আজাব থেকে মুক্তির জন্য দোয়া চালু রাখুন। তাহলে হয়তোবা আল্লাহ তাআলার এই আজাব থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। গতকাল সকালে কামরাঙ্গীরচর মারকাজুল আজিজ মাদরাসা বন্ধ ঘোষণাকালে দোয়া মাহফিলে মুফতি ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন ।

অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন মুফতি আব্দুল কাদের, মাওলানা মনির হোসেন, মাওলানা মামুনুর রশিদ, শফিকুল ইসলাম, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন, মুফতি আবু দারদা ও হাফেজ নাজমুল হাসান।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামবাসী গতকাল জুমার নামাজে মসজিদে মসজিদে মহান আল্লাহতায়ালার দরবারে কান্নাভরা চোখে দুহাত তুলে দোয়া মোনাজাত করেন। ঘরে-ঘরে মা-বোনদের ফরিয়াদ- হে আল্লাহ! করোনাভাইরাসের মহামারীর আজাব-গজব যাবতীয় বিপদাপদ মুসিবতে পানাহ চাই। ‘লা হাউলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম।’ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো শক্তি নেই। কোনো ভরসা নেই। যিনি মহান ও সর্বশক্তিমান।’

বারো আউলিয়ার পুণ্যভূমি চাটগাঁর ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ মোনাজাতে সাহায্য চেয়েছেন আল্লাহর। গোনাহ মাফের জন্য তাওবা ক্ষমাভিক্ষা চান।‘লা-ইলাহা ইল্লা আনতা সুাবহানাকা ইন্নি কুনতুম মিনাজ জোয়ালিমীন’। ‘একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। নিশ্চয়ই আমি সীমা লঙ্ঘনকারী’।
জুমাবার চট্টগ্রামজুড়ে অন্যরকম ধর্মীয় ভাব-গম্ভীর পরিবেশে প্রতিটি মসজিদে ছেলে-বুড়ো, যুবক-তরুণ-শিশু নির্বিশেষে ভক্তিভরে সবাই মহামারী রোগের কবল থেকে পরিত্রানের জন্য প্রার্থনা করে। বাংলাদেশ, মুসলিম উম্মাহসহ সমগ্র বিশ্ববাসীর শান্তি, মুক্তি ও কল্যাণ কামনার সময় ‘আমীন’ ‘আমীন’ ধ্বনিত মুখরিত হয় মসজিদ ও আশপাশের এলাকা।

জুমার জামাতের পূর্বে ইমাম খতিবগণ করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতিতে আল্লাহমুখী ও ইবাদত বন্দেগিতে সজাগ করেন খুতবার বয়ানে। সরকার ও চিকিৎসকদের নির্দেশ, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের আহ্বান জানান তারা। চট্টগ্রামে বিদেশফেরত কেউ যাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা কিংবা কোয়ারেন্টাইন ফাঁকি দিয়ে মানুষের সাথে মিশে যেতে না পারে এ জন্য সামাজিক-পারিবারিক সচেতনতা জোরদারের তাগিদ দেন।
এদিকে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন সংক্রামক কারোনাভাইরাস থেকে চট্টগ্রামবাসী ও দেশবাসীকে রক্ষায় আগেই ইমাম খতিবদের প্রতি দেওয়া বার্তায় জুমার নামাজে আল্লাহর কাছে বিশেষ দোয়া মোনাজাতের আহ্বান জানান। সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমানের উদোগে বাদজুমা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার সকল থানার ১৪৫টি বিটের মসজিদে মসজিদে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক বক্তব্য প্রদান করা হয়।

বরিশাল ব্যুরো জানায়, দক্ষিণাঞ্চলের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে জুমার নামাজে। শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবা পূর্ব বয়ানেও ইমাম ছাহেবগন সকল মুমিন মুসলমানকে বেশি বেশি করে তওবা করাসহ মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমীনের দরবারে পানাহ চাওয়ার আহবান জানান। বরিশালের চক বাজার জামে এবাদুল্লাহ মসজিদে জুমা নামাজ বাদ মিলাদ শেষেও বিশেষ দোয়া করা হয়।
ভারতের জৌনপুর থেকে ভোলাতে আগত পীর ছাহেব সকলকে প্রতি ফরজ নামাজ বাদে বিসমিল্লাহসহ সূরা ফাতেহা পাঠ করে দু হাতের তালুতে দম দিয়ে সমস্ত শরীরে মোসাহাবা করার পরামর্শ দিয়েছেন। ফরিদপুরের বিশ^ জাকের মঞ্জিলে ফজর ও মাগরিব নামাজ বাদ ৭ বার তওবা করার পরে ৩বার সূরা ফাতেহা, ১০বার সূরা এখলাস এবং ১১বার দুরুদ শরিফ পাঠন্তে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এছাড়া জোহর, মাগরিব ও এশা নামাজ বাদে দু রাকাত করে নফল নামাজ আদায়ন্তেও দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ফজর নামজন্তে ফাতেহা শরিফের আমল শেষে ১শ বার দরুদ শরিফ ও ৫শত বার লাহাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লাবিল্লাহ পঠন্তে আরো ১শ বার দুরুদ শরিফ পাঠ করা হচ্ছে। এছাড়া এশা নামাজন্তে বেতের নামাজ আদায় করে ৫শ বার দরুদ শরিফ পাঠন্তে নবী করিম (সাঃ)-এর রুহ পাক-এর ওপর বখশিয়া দেয়া হচ্ছে।
সিলেট ব্যুরো জানায়, প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস থেকে রেহাই পেতে আজ (২০ মার্চ) নগরী সহ সিলেটের মসজিদগুলোতে কান্নার মাতম দেখা দেয় মুসল্লীদের মধ্যে। মসজিদে ইমাম সাহেবদের মুনাজাত পরিচালনার মাধ্যমে কায়মনাাবাক্যে দু’হাত তোলে শরিক হন মুসল্লিরা। জুম্মার নামাজের জামায়াত শেষে মুনাজাতের সময় মুসল্লিরা মহান আল্লাহর দরবারে অঝোর ধারায় কেঁদে কেঁদে নিজেদের জীবনের গুনাহের জন্য ক্ষমা এবং প্রাণঘাতি করোনা থেকে বাঁচতে হেফাজত কামনা করেন।
মঠবাড়িয়া : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় শুক্রবার মসজিদে মসজিদে জুমার নামাজে মরন ব্যাধি করোনা ভাইরাস সতর্কতা নিয়ে আলোচনা এবং নামাজ শেষে বিশেষ দোয়া করা হয়েছে। মঠবাড়িয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান জানান, মরন ব্যাধি করোনার কোন প্রতিশোধক নাই। এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর রহমত ছাড়া আর কোন উপায় নাই।



 

Show all comments
  • Kamil Hosen ২১ মার্চ, ২০২০, ১:০৭ এএম says : 0
    ঘরে নামাজ পড়া চেয়ে হাজার গুন শান্তি মসজিদে নামাজ পড়া,তাই মসজিদ যেনো বন্ধ না হয়,
    Total Reply(0) Reply
  • AS Shohan ২১ মার্চ, ২০২০, ১:০৮ এএম says : 0
    আল্লাহ নিশ্চয়ই শুনবে তার বান্দার কথা
    Total Reply(0) Reply
  • Foyaz Ahmed ২১ মার্চ, ২০২০, ১:০৮ এএম says : 0
    Amin
    Total Reply(0) Reply
  • Tofayel Bhunia ২১ মার্চ, ২০২০, ১:১১ এএম says : 0
    সার্বিকভাবে সারাবিশ্ব মহা দুর্ভিক্ষের দিকেই এগোচ্ছে। কঠিন মুহূর্ত আলিঙ্গনে প্রস্তুত হও জাতি!
    Total Reply(0) Reply
  • তিতাস আহমেদ ২১ মার্চ, ২০২০, ১:১১ এএম says : 0
    দেশকে নিরাপদ রাখতে করুনা ভাইরাস নিয়ে দেশের দায়িত্বশীল নেতাদের বেফাঁস কথাবার্তা ও রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পর কাঁদা ছুড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে। এর জন্য দল, মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে ও একে অন্যের প্রতি ভাইরাস নিরোধক উপকরণ দিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি এই আপদকালীন সময়ে জাতীয় ঐক্য করে এদেশে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জনসমাগম ও প্রবাসী আসা রুখে দিতে হবে। নইলে পাগলা ঘোড়া (করুনা ভাইরাস) লাগামহীন ছুটবে। মনে রাখা ভালো বাংলাদেশের কেউ করুনায় আক্রান্ত ছিলনা একমাত্র প্রবাসীদের জন্যই এদেশে করুনা ভাইরাসের আগমন ঘটেছে। তাই দ্রুত ব্যাবস্থা নিতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • পারভেজ আলম ফ্রান্সিং ডিজাইনার ২১ মার্চ, ২০২০, ১:১২ এএম says : 0
    এই করোনাভাইরাস টা যে আল্লাহর পক্ষ থেকে একটা আজাব, এটা এখনো অনেকে বিশ্বাস করতে পারেনা? তাহলে আসুন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা, আজ পর্যন্ত এই করোনা না থেকে মুক্তির একমাত্র উপায়, দৌড়ে পালানো, অথবা তার থেকে দূরে থাকা,, কারণ এই করোনা কে, সৃষ্টি কর্তা এমন ভাবে দিয়েছে যে এটা একটু পরপর তার গতি, আকৃতি, পরিবর্তন করতে পারে, অতএব এটার জন্য স্থায়ী কোন ভ্যাকসিন বানানো মানুষের পক্ষে সম্ভব না, হয়তো সৃষ্টিকর্তার মন মতো যতটুক প্রয়োগ করা প্রয়োজন ততটুকু করার পর অটোমেটিক উঠিয়ে নিবেন, তবে আশ্চর্য ব্যাপার হলো এই রোগটা শুধুমাত্র গরিবদের জন্য নয়, এমনকি প্রভাবশালীরা তো অন্য কোন রোগ অথবা বিপদ সংকেত পেলেই অন্যদেশে পাড়ি জমায় কিন্তু আল্লাহ এই লোকটাকে এমনভাবে দিয়েছে যে এটা কার কখন কিভাবে হবে কেউ বলতে পারে না, এবং গরীব-ধনী একই হাসপাতালে আসতে হবে
    Total Reply(0) Reply
  • Kazi Kamal ২১ মার্চ, ২০২০, ১:১৩ এএম says : 0
    সর্বপ্রথম মুসলিমরাই আল্লাহর দরবারে নামাজ পড়ে দোয়া করেছেন হেফাজত পাওয়ার জন্য সব শেষে আমরা ভাবি সকল আদম সন্তান আমরা ভাই ভাই তাই আমরা বলি আমরা একা বেহেস্তে যেতে চাই না তাদের‌ও বেহেস্তে যাওয়ার জন্য ঢাকি এই ঢাকার জন্য আমাদের ওরা মারে ও জুলুম করে তবুও আমাদের ভালবাসা থাকবে অটুট
    Total Reply(0) Reply
  • Talibul Haque ২১ মার্চ, ২০২০, ১:১৩ এএম says : 0
    প্রিয় মুসলিম ভাই- বোনেরা! অবশ্যই আমরা ইসলামের সর্বোচ্চ দিক -নির্দেশনা মেনে করোণা ভাইরাস থেকে বাচার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাবো। তথাপি কেউ আক্রান্ত হলে আল্লাহ তায়ালার কাছে আফিয়াত-সুস্থতা কামনার পাশাপাশি তারই উপর পূর্ণ ভরসা করে সুচিকিত্সার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।আর হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কারণ, করোণা কাফেরদের জন্য শুধুই গজব।আর মুসলিমদের জন্য প্রথমে গজব হলেও পরিশেষে রহমত । ধরলে হয় গুনাহ মাফ,,,, মরলে হয় শাহাদাত, বাচলে তো যিন্দাবাদ,,,, ,,,,,,,,,,,,,,,শুকরান, ,,,,
    Total Reply(0) Reply
  • সুমন ১ এপ্রিল, ২০২০, ৪:২৮ পিএম says : 0
    হেল্প মাই আললাহ
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ